Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

সাম্প্রতিক খবর


খেলাধুলা

বিনোদন

ফিচার

mujib

w

যাবতীয় খবর

জিওগ্রাফিক্যাল

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » সম্পর্ক মেরামতে সৌদি-ইরানের বৈঠক




সম্পর্ক মেরামতে সৌদি-ইরানের বৈঠক

মধ্যপ্রাচ্যের দুই আঞ্চলিক শক্তি ইরান ও সৌদি আরব নিজেদের মধ্যকার সম্পর্ক মেরামত করতে বৈঠক করেছে। সৌদিতে শিয়া ধর্মীয় নেতা শেখ নিমর আল-নিমরের ফাঁসি কার্যকরের পর গত পাঁচ বছর ধরে তাদের মধ্যে কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। রোববার (১৮ এপ্রিল) ফিন্যান্সিয়াল টাইমস ও বার্তা সংস্থা রয়টার্স এমন খবর দিয়েছে। এতে বৈঠক নিয়ে তাদের আনুষ্ঠানিক ব্রিফের বরাত দেওয়া হয়েছে। বাগদাদে ৯ এপ্রিল দু’পক্ষের প্রথম দফার বৈঠক হয়। সৌদি আরবে ইরান-ঘনিষ্ঠ হুতি বিদ্রোহীদের হামলার বিষয়ও ছিল বৈঠকে। তবে আলোচনা ইতিবাচক ছিল। ২০১৬ সালের পর দুই দেশের মধ্যে এই প্রথম কোনো গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক সংলাপ হয়েছে। মূলত আঞ্চলিক উত্তেজনা হ্রাস ও ২০১৫ সালে বিশ্বের ছয় শক্তির সঙ্গে সই করা ইরানের পরমাণু চুক্তি পুনরুদ্ধারে এগোতে চাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এমন প্রেক্ষাপটে চিরবৈরী দুই দেশের মধ্যে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিবেশী ইয়েমেনে হুতি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ থেকে সরে আসতে চাচ্ছে রিয়াদ। এদিকে সৌদির বিভিন্ন শহর ও তেল স্থাপনায় হামলা বাড়িয়ে দিয়েছে হুতিরা। চলতি বছরে সৌদি আরবে কয়েক ডজন বিস্ফোরকবোঝাই ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে এই শিয়া বিদ্রোহী গোষ্ঠী। যুক্তরাষ্ট্রে বাইডেন প্রশাসনের আনুকূল্য পেতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে দেখা গেছে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকে। সৌদির সঙ্গে সম্পর্কের পুনর্মূল্যায়ন ও ইয়েমেনের ছয় বছরের যুদ্ধের অবসান চাচ্ছেন বাইডেন। বৈঠকে সৌদি প্রতিনিধিদের নেতৃত্ব দিয়েছেন খালিদ বিন আলী আল-হুমাইদান। তিনি দেশটির গোয়েন্দাপ্রধান। আগামী সপ্তাহে আরেকটি বৈঠকের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। ইরাকি প্রধানমন্ত্রী মুস্তফা আল-খাদিমি এই বৈঠক আয়োজনের ব্যবস্থা করেন। গত মাসে রিয়াদে এমবিএস নামে খ্যাত যুবরাজের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। কর্মকর্তারা বলেন, আলোচনা দ্রুত এগোচ্ছে। কারণ পরমাণু চুক্তি নিয়ে মার্কিন আলোচনাও ব্যাপক গতি পেয়েছে। হুতিদের হামলা বাড়ানো অবশ্য আরেকটি কারণ। তবে দু’পক্ষের মধ্যে কোনো আলোচনা হওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন এক জ্যেষ্ঠ সৌদি কর্মকর্তা। ইরাক ও ইরানি সরকারের কাছ থেকেও কোনো মন্তব্য আসেনি। এক জ্যেষ্ঠ ইরাকি কর্মকর্তা ও বিদেশি কূটনীতিক বৈঠকের কথা স্বীকার করেছেন। ইরাকি কর্মকর্তা বলেন— মিসর, ইরান ও জর্ডানের মধ্যে যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে কাজ করছে ইরাক। তিনি বলেন, এ বিষয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে প্রধানমন্ত্রী খুবই আগ্রহী। এই আঞ্চলিক বৈরী শক্তিগুলোর মধ্যে তিনি একটি সেতু রচনা করতে চান। ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে তেহরানে সৌদি দূতাবাসে ভাঙচুর ও অগ্নিকাণ্ডের পর বৈরী দুই দেশের সম্পর্ক সবচেয়ে তলানিতে চলে যায়। সৌদিতে শিয়া ধর্মীয় নেতা শেখ নিমর আল-নিমরের ফাঁসি কার্যকরের পরই এই ঘটনা ঘটেছে।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply