Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

সাম্প্রতিক খবর


খেলাধুলা

বিনোদন

ফিচার

mujib

w

যাবতীয় খবর

জিওগ্রাফিক্যাল

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » মিয়ানমার থেকে ভারতে পালানো মানুষের সারি দীর্ঘ হচ্ছে




ভারত সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের বহু মানুষ দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছে। ছবি : সংগৃহীত মিয়ানমারে সামরিক সরকারের দমনপীড়নের ফলে দেশটি থেকে নাগরিকদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে পালিয়ে যাওয়া মানুষের সারি দিন দিন দীর্ঘ হচ্ছে। সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোর বহু লোক ভারতে ঢুকে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় চাইছে। যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে এসব কথা বলা হয়েছে। তৃতীয়বারের চেষ্টায় ভারতে ঢুকেছেন ৪২ বছর বয়সী মিয়ানমারের নারী মাখাই (ছদ্মনাম)। ঘরবাড়ি ছেড়ে জঙ্গলের ভেতর দিয়ে কাদাপানি মাড়িয়ে উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্য মণিপুরে ঢুকেছেন তিনি। মণিপুর সীমান্তবর্তী তামু জেলায় বাড়ি মাখাইয়ের। মেয়ে ও বোনদের নিয়ে দেশ ছাড়া হওয়া মাখাই বিবিসিকে বলেন, ‘নিজেদের রক্ষায় এ ছাড়া আর কোনো পথ খোলা ছিল না আমাদের সামনে। এবার আসতে পেরেছি। কিছুদিন গেলে হয়তো কোনো সুযোগই থাকতো না।’ মাখাই বিবিসিকে আরও বলেন, ‘সেনারা বাড়িঘর তছনছ করে দিচ্ছে। সাধারণ মানুষজনকে হত্যা করছে, ধর্ষণ করছে। সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে বহু রাত সেনা অভিযানে ভয়ে আমাদেরকে জঙ্গলে কাটাতে হয়েছে।’ মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে আহত হয়ে চিকিৎসা নিতে মণিপুর রাজ্যের মোরেহ শহরের সরকারি একটি হাসপাতালে আসা দুই তরণের সঙ্গে কথা হয় বিবিসি প্রতিবেদকের। তাঁরা জানান, সুস্থ হয়েই যত দ্রুত সম্ভব দেশে ফিরতে চান। মণিপুর রাজ্য সরকার সম্প্রতি বলেছে, মিয়ানমার থেকে আসা সবাইকে শান্তিপূর্ণভাবে আন্তরিকতার সঙ্গে ফিরিয়ে দিতে হবে। চিকিৎসা ও খাদ্যসামগ্রী দিয়ে মিয়ানমার থেকে আসা লোকজনকে ফিরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষা বাহিনী। এ ছাড়া পশ্চিমবঙ্গ ও আসামে নির্বাচন চলায় অভিবাসন নিয়ে কোনোরকম নমনীয়তা দেখাতে চাইছে না ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। যদিও দীর্ঘ দিন ধরে ভারত ও মিয়ানমার একে অপরের সীমান্তবর্তী নাগরিকদের বেলায় ‘মুক্ত চলাচল নীতি’ অনুসরণ করে। এর আওতায় দুই পাশের গ্রামগুলোর বাসিন্দারা অন্য দেশের ১৬ কিলোমিটার পর্যন্ত ভেতরে যেতে পারে এবং সর্বাধিক ১৪ দিন অবস্থান করতে পারে। তবে করোনাভাইরাসের প্রকোপ শুরু হওয়ার পর গত বছর মার্চে এই সুবিধা বন্ধ রাখা হয়েছে। করোনার সংক্রমণ কমলে এ বছর সীমান্তে কড়াকড়ি তুলে নেওয়া হবে বলে আশা করছিলেন উভয় দেশের সীমান্ত গ্রামের বাসিন্দারা। কিন্তু, ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের ফলে সে আশায় গুড়ে বালি দেখা দিয়েছে। মাখাইয়ের সঙ্গে দেশ ছেড়ে আসা দুজন নারী জানিয়েছেন, দেশের পরিস্থিতির উন্নতি হলেই তারা ফিরে যেতে চান। গত ১ ফেব্রুয়ারি গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাত করে সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা দখলের পর থেকে মিয়ানমারে এখন পর্যন্ত অন্তত ৬০০ বিক্ষোভকারীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে অ্যাসিস্ট্যান্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিকাল প্রিজনার্স (এএপিপি)। এদের মধ্যে অন্তত ৪৩ জন শিশুও রয়েছে। এ ছাড়া নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে সাড়ে তিন হাজার মানুষ।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply