পৃথিবীর যে কোনো প্রান্তে হামলা চালাতে সক্ষম যুদ্ধবিমানটি

পৃথিবীর যে কোনো প্রান্তে হামলা চালাতে সক্ষম যুদ্ধবিমানটি

পৃথিবীর যে কোনো প্রান্তে পারমাণবিক হামলা চালাতে সক্ষম এমন এক যুদ্ধবিমান আনতে যাচ্ছে রাশিয়া। এমন যুদ্ধ বিমানকে অ্যাডভান্সড লং-রেঞ্জ এভিয়েশন কমপ্লেক্স বা ‘পিএকে ডিএ’ বলা হচ্ছে। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এপ্রিলের শুরুর দিকে এর বাহ্যিক কাঠামোর চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে। ভয়ংকর এই যুদ্ধবিমান তৈরিতে দুটি বিষয়কে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে তা হলো- রাডারে এর উপস্থিতি যেন ধরা না পড়ে আর এর দূরপাল্লার অস্ত্র ব্যবহারের সক্ষমতা। নতুন এই যুদ্ধ বিমান ঘণ্টায় ১ হাজার ১৯০ কিলোমিটার গতিতে উড়ত পারবে। রাডার থেকে নিজেকে লুকিয়ে রাখতে এটি কেবলমাত্র ইন্ট্রা-ফিউসলেজ অস্ত্র ব্যবহার করবে। যে ধরনের অস্ত্র এটি ব্যবহার করবে তার মধ্যে থাকছে দূরপাল্লার ক্রুজ মিসাইল ও হাইপারসনিক মিসাইল। এ বিষয়ে ভাদিম কোজুলিন নামে অ্যাকাডেমি অব মিলিটারি সায়েন্সের একজন অধ্যাপক রাশিয়া বেয়ন্ডকে বলেছেন, এর সমস্ত সরঞ্জাম যতটা সম্ভব স্বয়ংক্রিয় রাখা হয়েছে। প্রকৌশলীরা এখন এটিকে চালকবিহীন মুডে চালিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছেন। এখন পর্যন্ত ধারণা করা হচ্ছে, যুদ্ধবিমানটি আকাশে থেকেই আরও কিছু চালকবিহীন যান নিয়ন্ত্রণ করবে আর সম্পূর্ণভাবে এয়ার টু এয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা ব্যবহার করতে পারবে। ওই অধ্যাপক জানান, যুদ্ধবিমানটি ৪০ টন গোলাবারুদ বহনে সক্ষম। কমপক্ষে ১২ বছর পর্যন্ত এই যুদ্ধবিমান সার্ভিস দিতে পারবে। তবে পর্যাপ্ত রক্ষণাবেক্ষণের মাধ্যমে বিমানগুলো দিয়ে ২১ বছর পর্যন্ত কাজ করানো সম্ভব। নির্মাতা প্রতিষ্ঠান তুপোলেভ আশা প্রকাশ করেছে ২০২৭ সালের মধ্যে বিমানটি রুশবহরে যোগ দেবে।