যাদের কাছে ক্ষমতাচ্যুত হতে পারেন নেতানিয়াহু
একজন নিজেকে মধ্য-বামপন্থী ধর্মনিরপেক্ষ বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, ফিলিস্তিনিদের একটি স্বাধীন রাষ্ট্র থাকা উচিত। অন্যজন ধর্মীয় উগ্রপন্থী। তার মতে, ইসরাইলের উচিত অধিকৃত পশ্চিমতীরের অধিকাংশ দখল করে নেয়া। ইহুদিবাদী দেশটির এই দুই বিরোধী রাজনীতিবিদের মধ্যে কার হাতে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর পতন ঘটবে? সেটা এখন কেবল সময়ই বলে দিতে পারে। গত দুবছরে চারটি অমীমাংসিত নির্বাচন হয়েছে ইসরাইলে। এরপর ইসরাইলের সবচেয়ে বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় থাকা প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু যদি ক্ষমতা হারান, তা বিরোধীরা জাতিকে একটি নতুন রাজনৈতিক কর্মসূচির অধীন নিয়ে আসার দরুন হবে না; হবে যদি দুই বিরোধী নেতা সামান্য কিছু ক্ষেত্রে ঐকমত্যে আসেন এবং একটি চুক্তিতে রাজি হয়ে যান। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বিশ্লেষণ এমন আভাসই দিয়েছে। নতুন সরকারের জন্য নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে জোট গঠন করতে পারেননি নেতানিয়াহু। যে কারণে সরকার গঠনের ম্যান্ডেট চলে গেছে লেখক ও গীতিকার ইয়ার লাপিডের কাছে। ইসরাইলি ধর্মনিরপেক্ষ মধ্যবিত্ত শ্রেণির হয়ে তিনি কথা বলেন। ৫৭ বছর বয়সী ইয়ার লাপিড সাবেক সংবাদ উপস্থাপক ও থ্রিলার লেখক। প্রচুর পপ গানের রচয়িতাও তিনি। এখন তিনি তার পুরোপুরি বিপরীতে অবস্থান করা যুদ্ধংদেহী ধনকুবের নাফতালি বেনেত্তের সমর্থন পেলে সরকার গঠন করতে পারেন। ৪৯ বছর বয়সী নাফতালি সেনাবাহিনীর সাবেক কমান্ডো। তিনি অবৈধ বসতি স্থাপনের একজন উগ্র সমর্থক। সরকার গঠনে লাপিডের হাতে সময় ২৮ দিন। তিনি নাফতালি বেনেত্তকে মেয়াদের প্রথম পর্বের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার প্রস্তাব দিতে পরেন। পরে ইয়ার লাপিড তার কাছ থেকে ক্ষমতা নিয়ে নেবেন। কিন্তু নাফতালিকে ইতিমধ্যে নেতানিয়াহু সেই প্রস্তাব দিয়ে রেখেছেন এবং তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেছেন। রাজনৈতিক মতাদর্শে দুজন পরস্পর বিরোধী হলেও নিজেদের মধ্যে উষ্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে চলছেন ইয়ার লাপিড ও নাফতালি বেনেত্ত। ২০১৩ সালে নতুন প্রজন্মের কণ্ঠ হয়ে তারা রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। নিজেদের প্রভাব ও শক্তিমত্তা নিয়ে নেতানিয়াহুর জোটে ভেড়েন। এ দুজন কিছুদিনের জন্য নেতানিয়াহুর মন্ত্রিসভায় ছিলেন, তখন পরস্পরকে ‘ভাই’ বলে ডাকতেন। কিছুদিন অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনের পর লাপিড মন্ত্রিসভা ছাড়েন। এরপর আর ফিরে আসেননি। কিন্তু নাফতালি বেনেত্তে মন্ত্রিসভা ছাড়ার পর ভিন্ন ভূমিকা নিয়ে ফিরে আসেন। ২৩ মার্চের নির্বাচনে নেতানিয়াহুকে ঘিরে ভোটারদের কতটা মেরুকরণ হয়েছে, তা ভালোভাবেই দেখা গেছে। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির বিচারের সময়েও রক্ষণশীলরা তাকে ছেড়ে যাননি। যদিও নিজের অপরাধের কথা অস্বীকার করেছেন নেতানিয়াহু। করোনা মোকাবিলায় ইসরাইলের সফলতা নিয়ে বিশ্বজুড়ে প্রচার হলেও নির্বাচনে আসন হারিয়েছে তার লিকুদ পার্টি। বুধবার ইয়ার লাপিড বলেন, আমাদের এমন একটি সরকার দরকার, যেটি আমরা পরস্পরকে ঘৃণা করি না এমন ঘটনার প্রতিচ্ছবি হবে। অর্থনীতি ও নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় যেখানে বাম-ডান ও মধ্যপন্থীরা একযোগে কাজ করবেন। রাজনৈতিক পরিসরে সব দলকে নিয়ে একটি জোট গঠনে আগ্রহের কথা জানিয়েছেন তিনি। নেতানিয়াহুকে রাজনীতি থেকে চিরতরে বিদায় করে দেয়াই তার আসল উদ্দেশ্য। কিন্তু নাফতালি বেনেত্তের পরীক্ষার মুখে পড়ে যাবে তার এসব অঙ্গীকার। তার ডানপন্থী সমর্থকেরা নেতানিয়াহুর অনেক কার্যক্রমকেই সমর্থন ও লালন করছেন। বেনেত্তা সবকিছু নতুন করে শুরুর কথা বললেও কখনোই বলেন না যে নেতানিয়াহুকে অবশ্যই একেবারে সরে যেতে হবে। তিনি নিজে অবৈধ বসতি স্থাপনকারী না হলেও পশ্চিমতীরে বসবাস করা ইহুদিদের এজেন্ডাকে পুরো সমর্থন দিয়ে আসছেন। ফিলিস্তিনিদের বৃহৎ আকারে স্বায়ত্তশাসন দেয়ার কথা বললেও একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের কথা স্বীকার করতে নারাজ নাফতালি বেনেত্তা। তবে ধর্মীয় অধিকার দেয়ার ক্ষেত্রে অন্যদের তুলনায় তাকে বেশ উদার দেখা গেছে। আন্তধর্মীয় ও আন্তরাষ্ট্রীয় বিয়েতে তার আপত্তি নেই। এ ক্ষেত্রে ইয়ার লাপিডের সঙ্গে তার ব্যাপক মিল। নির্বাচন পরবর্তী ভাষণে তিনি ঐক্য ও সংশোধনের ডাক দিয়েছেন। লাপিডও একই কথা বলছেন। নাফতালি বলেন, পঞ্চম দফার ভোটে দেশে বিপর্যয় নেমে আসবে। যে কোনো ঐক্য সরকার গঠন হলে ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংঘাত নিয়ে বাস্তবিক নীতির বিষয়টি পাশ কাটিয়ে যাবে। নাফতালি বেনেত্তার ভাষায়, তার চেয়ে করোনা বিধ্বস্ত অর্থনীতিকে সচল করা এবং শিক্ষা ও ব্যবসায়িক সংস্কার বাস্তবায়নে জোর দিতে হবে। পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠবে লাপিড-নাফতালির জোট সরকার গঠন হলে। কারণ তাদের ইসরাইলে বাস করা ২১ শতাংশ আরব সংখ্যালঘুর নীরব সমর্থন দরকার পড়বে। এতে কয়েক দশকের মধ্যে প্রথমবারের মতো হয়ত মন্ত্রিসভায় আরবদের জায়গা দিতে হবে। এখন নাফতালিকে রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে আরবরা সহ্য করবেন কিনা, সেই প্রশ্নের জবাব মেলেনি। যদি এসবের কোনোটিই না ঘটে, তবে নেতানিয়াহু লড়াই চালিয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকবে। ওয়ালা নিউজ ওয়েবসাইটের রাজনৈতিক প্রতিবেদক তাল শালেভ বলেন, নতুন দিন আসছে নাকি নেতানিয়াহু যুগের অবসান হচ্ছে, তা বলার মতো সময় আসেনি।Slider
বিশ্ব
জাতীয়
মেহেরপুর জেলা
গাংনী উপজেলা
মুজিবনগর উপজেলা
ফিচার
খেলা
মেহেরপুর সদর উপজেলা
ছবি
ফেসবুকে মুজিবনগর খবর
Mujibnagar Khabor's Admin
We are.., This is a short description in the author block about the author. You edit it by entering text in the "Biographical Info" field in the user admin panel.
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
Labels
- Advertisemen
- Advertisement
- Advertisementvideos
- Arts
- Education
- English News
- English News Featured
- English News lid news
- English News national
- English News news
- English Newsn
- Entertainment
- Featured
- games
- id news
- l
- l national
- li
- lid news
- lid news English News
- lid news others
- media
- national
- others
- pedia
- photos
- politics
- politics English News
- t
- videos
- w
- world
- Zilla News
No comments: