Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

সাম্প্রতিক খবর


খেলাধুলা

বিনোদন

ফিচার

mujib

w

যাবতীয় খবর

জিওগ্রাফিক্যাল

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » আগেও ঢাকায় ‘এ'লএসডি’ নিয়ে ধরা পড়েছিলো দুই তরুণ




এবারই প্রথম নয়, দুই বছর আগেও রাজধানী ঢাকায় এলএসডি (লাইসার্জিক অ্যাসিড ডাইথ্যালামাইড) মাদকসহ ২ তরুণকে গ্রেপ্তার করেছিলো মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি)। তাদেরকে রাজধানীর মহাখালী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিলো। ডিএনসি বলছে, ‘এলএসডি নতুন কোনো মাদক নয়। বাংলাদেশে এই মাদকের ব্যবহারে বহু বছর আগেই শুরু হয়েছে। তবে এর ব্যাপক বিস্তার হয়নি। কেননা, এই মাদকের দাম বেশি এবং এটি ইউরোপের দেশ থেকে বাংলাদেশে এসেছে। নব্বইয়ে দশকে ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদক দেশে আসায় এলএসডির ব্যবহার সেভাবে দেখা যায়নি। তবে ৩–৪ বছর ধরে কিছু কিছু তরুণের মধ্যে এই মাদক নেওয়ার প্রবণতা দেখা দিয়েছে।’ আরও পড়ুন...চাচির গোসলের ছবি তুলে ব্ল্যা'কমে'ইল করে ভাতিজার নিয়মিত শা'রীরি'ক সম্পর্ক! সূত্র বলছে, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হাফিজুর রহমানের মৃত্যু তদন্ত করতে গিয়ে এলএসডি মাদক আবার সামনে এসেছে।’ ডিএনসির ঢাকা বিভাগীয় গোয়েন্দা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক শামীম আহমেদ বলেন, রাজধানীর মহাখালী ডিওএইচএস থেকে ২০১৯ সালের ১৫ জুলাই এলএসডিসহ দুই তরুণকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় রাজধানীর কাফরুল থানায় একটি মামলাও হয়। মামলা নম্বর ২১। গ্রেপ্তার দেখানো হয় রেদোয়ান আনান ও সৈয়দ আহনাদ আতিফ মাহমুদকে। ডিএনসির সুপারিনটেনডেন্ট ফজলুল হক খান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। সেটির তদন্ত করেন পরিদর্শক মো. মনিরুজ্জামান। তদন্তের পর ২০২০ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। এখনও মামলাটি বিচারাধীন আছে। উপ-পরিচালক শামীম আহমেদ বলেন, ‘ওই দুই তরুণের কাছ থেকে ৪৬ স্ট্রিপ এলএসডি উদ্ধার করা হয়। ওই সময় প্রতিটি স্ট্রিপ ৩ হাজার টাকায় বিক্রি হতো। গ্রেপ্তার দুজন নিজেরা এলএসডি সেবন ও বিক্রিও করতেন।’ এদিকে গত বুধবার রাতে রাজধানীর একটি বাসা থেকে এলএসডি নামক (লাইসার্জিক অ্যাসিড ডাইথ্যালামাইড) মাদক জব্দ করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) রমনা বিভাগ। পুলিশ বলছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হাফিজুর রহমানের মৃত্যুর ঘটনা তদন্ত করতে গিয়ে তারা এই মাদকের সন্ধান পেয়েছে। এলএসডি বিক্রির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গতকাল বুধবার (২৭ মে) রাতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ ছাত্রকে গ্রেপ্তার করে ডিবি। তারা হলেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএর ছাত্র সাদমান সাকিব (রূপল) ও আসহাব ওয়াদুদ (তুর্জ) এবং ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটির ছাত্র আদিব আশরাফ। ডিবির ওই সূত্র বলছে, ফেসবুকে ‘আপনার আব্বা’ এবং ‘বেটার ব্রাউনি এন্ড বেয়ন্ড’ নামে দু’টি গ্রুপের মাধ্যমে ওই মাদকের ক্রেতা সংগ্রহ করা হয়। গ্রুপে সদস্য সংখ্যা এক হাজারেরও বেশি। গ্রেপ্তার সাদমান গ্রুপটি পরিচালনা করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএর ছাত্র ছিলেন। সেখান থেকে বহিষ্কার হওয়ার পর নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। এই সাদমানই বাংলাদেশ থেকে টেলিগ্রাম অ্যাপ এ যোগাযোগ করে ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা খরচ করে নেদারল্যান্ডসের এক ব্যক্তির কাছ থেকে পার্সেল সার্ভিসের মাধ্যমে ‘এলএসডি’ দেশে আনতেন। অনলাইনভিত্তিক অর্থ লেনদেন (পেমেন্ট) ব্যবস্থা পেপ্যালের মাধ্যমে এর টাকার লেনদেন হয়। এই ৩ জনের কাছ থেকে ২০০টি এলএসডি জব্দ করা হয়েছে। প্রতিটি ৩ হাজার টাকা মূল্যে তারা বিক্রি করতেন বলে জানা গেছে। ডিবি সূত্রের দাবি, ১৫ মে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের ছাত্র হাফিজুর রহমানকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হল এলাকায় তার ৩ বন্ধু এলএসডি সেবন করান। এর প্রতিক্রিয়া শুরু হলে তিনি শুধু একটি শর্টস পরে সেখান থেকে বেরিয়ে যান। এরপর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে এক ডাব বিক্রেতার ভ্যানে রাখা দা নিয়ে তিনি নিজের গলায় আঘাত করেন। সুরতহাল প্রতিবেদন অনুযায়ী ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৯টা ৪০ মিনিটে অজ্ঞাতনামা হিসেবে তার মৃত্যু হয়। এর ৮ দিন পর ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে হাফিজুরের ভাই তার লাশ শনাক্ত করেন। হাফিজের মৃত্যু, তার চিকিৎসা এবং অজ্ঞাতনামা হিসেবে ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে তার লাশ ৮ দিন পড়ে থাকার ঘটনার তদন্ত দাবি করে আসছেন তার সহপাঠীরা। ডিবি পুলিশের দাবি, যে ৩ বন্ধু হাফিজুর রহমানকে এলএসডি সেবন করিয়েছেন, তারা পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। ৩ জনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। যুক্তরাষ্ট্রের অনলাইন ফার্মাসিউটিক্যাল এনসাইক্লোপিডিয়া ড্রাগস ডটকমের ওয়েবসাইট থেকে জানা যায়, লাইসারজিক অ্যাসিড থেকে তৈরি করা হয় এলএসডি। এই অ্যাসিড বিভিন্ন দানাদার শস্যে থাকা এরগোট ছত্রাকে পাওয়া যায়। ১৯৩৮ সালে বিভিন্ন উপাদানের মিশ্রণে প্রথম এলএসডি তৈরি হয়। এটি এতই শক্তিশালী যে এর ডোজগুলো সাধারণত মাইক্রোগ্রাম হিসেবে নেওয়া হয়। এটি মনের ওপর প্রভাব ফেলে। কখনো কখনো এর প্রভাবে ভীতিকর অনুভূতি তৈরি হয়। এমনটা ঘটলে একে ‘ব্যাড ট্রিপ’ বলা হয়। নানাভাবে এলএসডি বাজারজাত করা হয়। যেমন: ব্লটার পেপার বা নকশা করা বিশেষ কাগজে এলএসডি মেশানো হয়। এভাবেই এলএসডি বেশি সহজলভ্য। এ ছাড়া ট্যাবলেট বা ক্যাপসুল আকারে, তরল বা কিউব আকারে পাওয়া যায়। এলএসডি ব্যবহারের জন্য শারীরিক এবং মানসিক উভয় ঝুঁকি রয়েছে। এলএসডি গ্রহণের পর সেবনকারী অদ্ভুত আচরণ করতে পারে, ভুল সিদ্ধান্ত নিতে পারে, নিজের উপর বা অন্যের উপর শারীরিক আঘাত করতে পারে। এলএসডি ব্যবহারে খুব অপ্রীতিকর ঘটনাও ঘটতে পারে। ব্যবহারকারী আতঙ্কজনক চিন্তাভাবনা করতে পারে, নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলতে পারে, তার মধ্যে ব্যাপক উন্মাদনা বা মৃত্যুর ভয় দেখা দিতে পারে, এমনকি তীব্র হতাশাও লক্ষ্য করা যেতে পারে। এছাড়াও তার মধ্যে মানসিক অস্থিরতা দেখা দিতে পারে। এলএসডি ব্যবহারে উল্লেখিত ঝুঁকিগুলো এটি সেবনের এক বছর পরও পুনরায় হঠাৎ করে দেখা দিতে পারে। গবেষকরা পরামর্শ দিয়েছেন যে, এলএসডি গ্রহণের ফলে দুর্বল ব্যক্তিদের মধ্যে সিজোফ্রেনিয়ার সূত্রপাত ত্বরান্বিত হতে পারে। এছাড়া যাদের সিজোফ্রেনিয়া বিকাশের ক্ষেত্রে জিনগত প্রবণতা রয়েছে তাদের ড্রাগের প্রতি বৃহত্তর মানসিক প্রতিক্রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা বেশি রয়েছে। তাই এটি খুবই বিপজ্জনক।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply