Sponsor



Slider

দেশ

মেহেরপুর জেলা খবর

মেহেরপুর সদর উপজেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

যাবতীয়

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » » নারদ মামলায় চারজনের অন্তবর্তী জামিন মঞ্জুর জেল হেফাজত থেকে মুক্তি মিললেও ফিরহাদ-সুব্রতদের থাকতে হবে গৃহবন্দী




অবশেষে জেল হেফাজত থেকে মুক্তি মিলল নারদা মামলায় অভিযুক্ত চার নেতা-মন্ত্রীর। তবে এখনই ঘুচবে না বন্দীদশা। আপাতত গৃহবন্দী হয়েই কটা দিন কাটাতে হবে ফিরহাদ-সুব্রত-মদন-শোভনদের। আজ, শুক্রবার নারদ মামলায় এমনটাই জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। তবে গৃহবন্দী থাকলেও ঘরে বসে প্রশাসনিক সব কাজই তাঁরা করতে পারবেন বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এদিন, আদালতে বেলা সোয়া এগারোটা নাগাদ শুরু হয় শুনানি। ফিরহাদদের জামিন মঞ্জুর ঘিরে দুই বিচারপতির মধ্যে মতবিরোধ দেখা যায়। প্রথমে জামিন মঞ্জুর করেন বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তার বিরোধিতা করেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল। অবশেষে অভিযুক্ত চার নেতা-মন্ত্রীর অন্তবর্তী জামিন মঞ্জুন করা হয় আদালতে। তবে কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, নতুন বেঞ্চ গঠন না হওয়া পর্যন্ত তাঁদের আপাতত গৃহবন্দীই থাকতে হবে। এর আগে অনিবার্য কারণে গতকাল বৃহস্পতিবার বসলই না কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দলের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ। তাই আরও একটা দিন জেল হেফাজতে থাকতে হল নারদকাণ্ডে ধৃত রাজ্যের চার নেতা-মন্ত্রীকে। তাঁদের জামিন সংক্রান্ত হাই ভোল্টেজ মামলার শুনানির দিকে এদিন তাকিয়েছিল সারা রাজ্য। কিন্তু বেঞ্চ না বসায় দিনভর নানা জল্পনা ছড়াল। যদিও দিনের শেষে রাজ্যের শীর্ষ আদালতের ওয়েবসাইট জানিয়ে দিল, জামিনে স্থগিতের অন্তর্বর্তী নির্দেশ প্রত্যাহারের জন্য ধৃতদের এবং নারদ মামলা অন্যত্র সরাতে সিবিআইয়ের আবেদনের শুনানি হবে শুক্রবারই। তবে আগে তালিকার প্রথম দু’টি মামলার শুনবে সংশ্লিষ্ট ডিভিশন বেঞ্চ। ফলে আজ ফের হাইকোর্টের দিকে তাকিয়ে গোটা বাংলা। এদিন বেলা ১১টার পর হাইকোর্ট প্রশাসন এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, অনিবার্য কারণে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ বসবে না। হঠাৎ কেন এই সিদ্ধান্ত? তার কোনও ব্যাখ্যা এক লাইনের সেই বিজ্ঞপ্তিতে ছিল না। ধৃত মদন মিত্রের আইনজীবী এই প্রেক্ষাপটে হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে চিঠি দেন। তাঁর বক্তব্য ছিল, ১১.২৯ মিনিটে জারি হওয়া ওই বিজ্ঞপ্তিতে আমরা বিস্মিত। বিষয়টির সঙ্গে ধৃতদের জীবন ও সংবিধান প্রদত্ত স্বাধীনতার প্রশ্ন অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। তাই এই চিঠি অবিলম্বে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির কাছে পেশ করা হোক। যাতে এদিনের অন্য কোনও ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটির শুনানি করা যায়। অন্যথায় ধৃতদের প্রতি অবিচার করা হবে। তবে ওই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট প্রশাসন কোনও পদক্ষেপ করেনি বলেই জানা গিয়েছে। বরং, শুক্রবারের মামলার তালিকায় বিষয়টি শুনানির জন্য রাখা হয়েছে। আইনজীবী মহল সূত্রে অবশ্য জানা যায়, আংশিক শুনানি হওয়া অবস্থায় কোনও মামলা সাধারণত অন্য ডিভিশন বেঞ্চে স্থানান্তরিত হয় না। তার অন্যতম কারণ, সেক্ষেত্রে নয়া ডিভিশন বেঞ্চে ফের গোড়া থেকে মামলাটির শুনানি করতে হয়। প্রসঙ্গত, বুধবারের শুনানিতে মামলাকারীরা অভিযোগ করেছিলেন, সিবিআই মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে নিম্ন আদালতের দেওয়া জামিনের উপর স্থগিতাদেশ আদায় করেছে। উচ্চ আদালতের সামনে সঠিক তথ্য পেশ করা হয়নি। এমনকী, সঠিক আইনি পদ্ধতি মেনেও সিবিআই জামিনের নির্দেশে স্থগিতাদেশ প্রার্থনা করেনি। উল্টে প্রতিবাদীদের সম্পর্কে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। কিন্তু, কেউ যদি মনে করেন যে গ্রেপ্তারি আইনানুগ নয়, সেক্ষেত্রে তাঁদের প্রতিবাদ জানানোর অধিকার আছে। যদি না সেই প্রতিবাদ তদন্তকারীর কাজে বাধার সৃষ্টি করে। একই কথা প্রতিবাদী বিধায়ক বা রাজ্য মন্ত্রিসভার সদস্যদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। চার নেতা-মন্ত্রীর আইনজীবীরা মনে করেছেন, রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতেই সিবিআইয়ের এমন পদক্ষেপ। তাঁদের প্রশ্ন, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার স্বাভাবিক কাজে বাধার সৃষ্টি হয়েছে, তেমন তথ্য কোথায়? বরং, নিম্ন আদালতে টানা প্রায় চার ঘণ্টা ধরে চলা শুনানিতে সিবিআই ভার্চুয়ালি অংশ নিয়েছে বিনা বাধায়। নিজাম প্যালেসের বাইরের প্রতিবাদ আন্দোলনকে সিবিআই এখন বাহানা হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছে বলে সওয়াল করা হয়। এদিনও এস এস এস কে এম হাসপাতালের উডবার্ন ওয়ার্ডে ভর্তি রাজ্যের বর্ষীয়ান মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় এবং বিধায়ক মদন মিত্রকে দফায় দফায় অক্সিজেন দিতে হয়েছে। রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম অবশ্য রয়েছেন প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারের হাসপাতালে। জেল সুপার দেবাশিস চক্রবর্তী জানিয়েছেন, ফিরহাদ সাধারণ বন্দির মতোই রয়েছেন। এদিন তাঁর জ্বর ছিল না। পেটের সমস্যা থাকায় চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে তাঁকে মেডিক্যাল ডায়েট দেওয়া হয়েছে। এদিকে, ধৃত মন্ত্রীদের ইস্তফা দাবি করেছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply