Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

মেহেরপুর জেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

মেহেরপুর সদর উপজেলা

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » » ইসরায়েলের জনসংখ্যা নব্বই লাখের বেশি। এর পাঁচ ভাগের এক ভাগ অর্থাৎ প্রায় ১৯ লাখ ইসরায়েলি আরব।




ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংকট: ইসরায়েলি আরব কারা? নিজ দেশে তারা কী ধরনের বৈষম্যের শিকার?

ইসরায়েলি আরবদের ভোটদানের অধিকার আছে, কিন্তু অনেকেই বলেন দেশটির বিভিন্ন প্রশাসনিক ব্যবস্থায় তাদের প্রতি বৈষম্য করা হয়। ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের সংঘাত এ সপ্তাহে খুবই সহিংস ও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। কয়েকদিন ধরে চলা সংঘাত ও অসন্তোষের পর ইসরায়েল তেল আবিবের কাছে কেন্দ্রীয় একটি শহর লড-এ জরুরি অবস্থা জারি করেছে। ইসরায়েল বলছে সেখানে দাঙ্গায় জড়িয়েছে ইসরায়েলি আরবরা। ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে একটা নতুন মাত্রা যোগ করেছে এই দাঙ্গা। ১৯৬৬ সালের পর এই প্রথম ইসরায়েল সরকার সেদেশের আরব সম্প্রদায়ের ওপর জরুরিকালীন ব্যবস্থা প্রয়োগ করেছে। কিন্তু কারা এই ইসরায়েলি আরব? তেল আবিবের কাছে জাফায় আবাসিক ভবন ক্রয়কে কেন্দ্র করে ২০২১এর এপ্রিল মাসে একসাথে প্রতিবাদ বিক্ষোভ করেন ইসরায়েলি আরব ও তাদের ইহুদি সমর্থকরা সাধারণ বলা হয় ইসরায়েল একটি ইহুদি রাষ্ট্র, কিন্তু ইসরায়েলে ইহুদি নয়, এমন মানুষও বাস করেন। যেমন ইসরায়েলের সংখ্যালঘু আরব সম্প্রদায়, যারা বংশ পরিচয়ে ফিলিস্তিনি, কিন্তু তারা ইসরায়েলের নাগরিক। ইসরায়েলের জনসংখ্যা নব্বই লাখের বেশি। এর পাঁচ ভাগের এক ভাগ অর্থাৎ প্রায় ১৯ লাখ ইসরায়েলি আরব। ইসরায়েল রাষ্ট্র যখন সৃষ্টি হয় ১৯৪৮ সালে, তখন এই ফিলিস্তিনিরা ইসরায়েল রাষ্ট্রের সীমানার ভেতরে রয়ে গিয়েছিল। এদের মধ্যে প্রায় সাড়ে ৭ লাখ, ১৯৪৮ পরবর্তী যুদ্ধের সময় হয় ইসরায়েল ছেড়ে পালিয়ে যায় অথবা তাদের বসতভিটা থেকে তাদের উচ্ছেদ করা হয়। যারা ইসরায়েল থেকে চলে গিয়েছিলেন তারা সীমান্ত এলাকার কাছেই পশ্চিম তীর ও গাযায় বসতি গাড়েন অথবা ওই এলাকার বিভিন্ন শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নেন। ইসরায়েলের ভেতরে যারা থেকে যান তারা নিজেদের পরিচয় দেন ইসরায়েলি আরব, ইসরায়েলি ফিলিস্তিনি বা শুধুই ফিলিস্তিনি হিসাবে। ইসরায়েলি আরবদের গরিষ্ঠ সংখ্যকই মুসলমান। তবে অন্যত্র ফিলিস্তিনি সমাজে যেমন, তেমনই ইসরায়েলি আরবদের মধ্যে খ্রিস্টানও রয়েছেন। ইসরায়েলি আরবদের মধ্যে দ্বিতীয় বৃহৎ গোষ্ঠীর মানুষ খ্রিস্টান। ইসরায়েলে ১৯৪৯ সালের ২৫শে জানুয়ারি প্রথম নির্বাচন হবার সময় থেকেই ইসরায়েলি আরবদের ভোটাধিকার রয়েছে। কিন্তু তারা বলেন কয়েক যুগ ধরে ইসরায়েলের বিভিন্ন প্রশাসনিক ব্যবস্থায় তারা বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। মহামারির সময় হাসপাতালে ভর্তি কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দিতে একযোগে কাজ করেন ইহুদি এবং ইসরায়েলি আরব চিকিৎসকরা ইসরায়েলে আরব ও ইহুদি সম্প্রদায়ের মানুষ অনেক সময়ই জনসাধারণের ব্যবহারের জন্য একই জায়গা ব্যবহার করেন না। যদিও করোনাভাইরাস সঙ্কটের সময় সাম্প্রতিক কয়েক মাসে দেখা গেছে দুই সম্প্রদায়ের মানুষ এক সাথে কাজ করেছেন। এটা বিশেষভাবে দেখা গেছে স্বাস্থ্য পরিষেবা ব্যবস্থার ক্ষেত্রে। যেখানে একই হাসপাতালে এক সাথে কাজ করেছেন ইহুদি ও আরব চিকিৎসকরা। একই হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন আরব ও ইহুদি রোগীরা। চিকিৎসকের ২০%, নার্সদের মধ্যে ২০% এবং ফার্মাসিস্ট বা ওষুধ বিক্রেতাদের ৫০%ই ইসরায়েলি আরব। কিন্তু জাতীয়ভাবে ইসরায়েলি আরব ও ইহুদি নাগরিকরা একইসাথে পাশপাশি কাজ করছেন এমন নজির খুঁজে পাওয়া কঠিন। উদাহরণ স্বরূপ, ইসরায়েলি সমাজে সেনাবাহিনীর একটা কেন্দ্রীয় ভূমিকা রয়েছে। ইহুদি নাগরিকদের জন্য সেনাবাহিনীতে কোন একটা সময়ে কাজ করা বাধ্যতামূলক। কিন্তু আরবদের জন্য সেটা বাধ্যতামূলক নয়। বৈষম্য পূর্ব জেরুসালেমের শেখ জারা-য় এক ফিলিস্তিনির পারিবারিক বাগানে এই ভিডিও তুলে সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করেন ইয়াকভ নামে একজন ইসরায়েলি ছবির উৎস,MUNA.KURD15 ছবির ক্যাপশান, ইসরায়েলি একজন বসতিস্থাপনকারী পূর্ব জেরুসালেমের শেখ জারায় এক ফিলিস্তিনি পরিবারের পারিবারিক বাসভবনকে নিজের বলে দাবি করে এক ভিডিও পোস্ট করলে সামাজিক মাধ্যমে তা ভাইরাল হয় আরব ইসরায়েলিরা বলছেন তারা তাদের নিজের দেশের মধ্যে নানাভাবে বৈষম্যের শিকার হন, যেটা দেশটির পরিচালনা ব্যবস্থার ভেতরেই নিহিত। বেশ কিছু আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন তাদের এই দৃষ্টিভঙ্গির সাথে সহমতও। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশানাল বলছে ইসরায়েলের বসবাসরত ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েল প্রাতিষ্ঠানিক স্তরে বৈষম্য আরোপ করে রেখেছে। এপ্রিল ২০২১-এ হিউম্যান রাইটস ওয়াচের একটি রিপোর্টে দেখা গেছে, ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ তাদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করে। যেসব ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভুত ইসরায়েলে বাস করেন এবং যেসব ফিলিস্তিনি পশ্চিম তীর ও গাযাতে ইসরায়েলি দখলদারির অধীনে বসবাস করেন, তাদের প্রতি ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের আচরণ মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ বলে এই রিপোর্টে তুলে ধরা হয়। ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঐ রিপোর্টকে "অবাস্তব ও ভুয়া" বলে প্রত্যাখান করেছে। ইসরায়েলি আরবরা বলছেন সরকারের তাদের জায়গাজমি জব্দ করার দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। তাদের অভিযোগ জাতীয় বাজেটে ইহুদি কর্তৃপক্ষ তাদের সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে পদ্ধতিগতভাবে বৈষম্য করে আসছে। উদাহরণ স্বরূপ, ইসরায়েলে নাগরিকত্বের যোগ্যতা পাবার জন্য আইনের যে বিধান রয়েছে তা ইহুদিদের অনুকূলে। ইহুদিদের এমনিতেই ইসরায়েলি পাসপোর্ট পাবার অধিকার রয়েছে, তারা কোন্ দেশ থেকে এসেছেন বা কোথায় থাকেন, সেটা বিবেচ্য হিসাবে ধরা হয় না। কিন্তু যেসব ফিলিস্তিনিকে ইসরায়েল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে, তাদের ও তাদের সন্তানদের সেই অধিকার নেই। ইসরায়েলের সংসদ ২০১৮ সালে একটি বিতর্কিত 'নেশন-স্টেট আইন' পাশ করে। ওই আইনের বলে দেশটির অন্যতম একটি সরকারি ভাষা হিসাবে আরবী ভাষার মর্যাদা বিলুপ্ত করা হয়। এবং ঘোষণা করা হয় জাতীয় পর্যায়ে আত্ম নিয়ন্ত্রণের অধিকার আছে 'শুধু ইহুদি জনগোষ্ঠীর'। যে সময় 'ইহুদি শ্রেষ্ঠত্ববাদের' এই আইন পাশ করা হয়, সে সময় সংসদে আরব ইসরায়েলি সদস্য আইমান ওডেন বলেছিলেন ইসরায়েলি আরবরা চিরকালই সে দেশে 'দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক'। ইতোমধ্যে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বিনিয়ামিন নেতানিয়াহু নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কিন্তু তিনি বলেছেন "এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত সংখ্যাগরিষ্ঠদের"।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply