ভয়ঙ্কর রূপ নিয়ে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘তৌকতাই' গুজরাট উপকূলে, সতর্কতা জারি

ভয়ঙ্কর রূপ নিয়ে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘তৌকতাই', সতর্কতা জারি ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘তৌকতাই'। ভয়ঙ্কর রূপ নিয়ে স্থলভাগে প্রবেশ করে আছড়ে পড়তে চলেছে গুজরাট

আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আরব সাগরে নিম্নচাপে ঘনীভূত হয়েছে এটি। আরও শক্তি বাড়িয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে আগামী ১৮ মে সন্ধের পর আছড়ে পড়তে চলেছে ঘূর্ণিঝড়টি। ইতিমধ্যে প্রশাসনকে প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দিয়েছে গুজরাট সরকার। ওই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রুপানি বলেন, রাজ্যজুড়ে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, দক্ষিণ পূর্ব আরব সাগরে নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে। আগামী কালের মধ্যে সেটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। উত্তর উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে গুজরাট উপকূলের দিকে এগোবে এটি। ইতিমধ্যে লাক্ষাদ্বীপ, কেরল, তামিলনাড়ু, কর্নাটক, দক্ষিণ কঙ্কন, মহারাষ্ট্র ও গোয়ায় ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। কেরল ও লাক্ষাদ্বীপের কয়েকটি জেলায় শুক্রবার ও শনিবার ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে তিরুবনন্তপুরম, কোল্লাম সহ লাক্ষাদ্বীপের একাধিক জেলায়। কমলা সর্তকতা জারি করা হয়েছে কেরলের চারটি জেলায়। মৌসম ভবন জানিয়েছে, লাক্ষাদ্বীপ উপকূলে ও দক্ষিণ-পূর্ব আরব সাগরে আজ ঝোড়ো হাওয়া বইবে। গুজরাট, লাক্ষাদ্বীপ কেরল, কর্নাটক, তামিলনাড়ু উপকূলের পাশাপাশি ১৫ মে গোয়া এবং মহারাষ্ট্র উপকূলেও সমুদ্র উত্তাল থাকবে। মৌসম ভবনের পূর্বাভাস, কচ্ছ সহ দক্ষিণ পাকিস্তানের দিকে ধীরে ধীরে যেতে পারে ঘূর্ণিঝড়। ১৭ মে থেকেই গুজরাটে শুরু হতে পারে বৃষ্টি। এরপর ১৮ মে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়া দফতরের তরফে ইতিমধ্যে মৎসজীবীদের উপকূল অঞ্চল, সমুদ্রে যাওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। যাঁরা সমুদ্রে গিয়েছেন তাঁদের ফিরে আসার জন্য তড়িঘড়ি নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। এদিকে কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে বলেছেন, ওই সমস্ত এলাকায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। যার ফলে সেখানে বিদ্যুৎ পরিষেবা, রাস্তাঘাট সহ বিভিন্নভাবে ব্যাঘাত ঘটতে পারে সেই জন্য করোনা রোগীদের কথা মাথায় রেখে অবিলম্বে ৩০০ মেট্রিকটন অক্সিজেন দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তিনি।