Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

সাম্প্রতিক খবর


খেলাধুলা

বিনোদন

ফিচার

mujib

w

যাবতীয় খবর

জিওগ্রাফিক্যাল

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » » নিরবে সরে যাচ্ছে চীনের প্রযুক্তি খাতের প্রধানরা




গত সপ্তাহেই নিজের পদ থেকে সরে দাঁড়ান চীনের বিশিষ্ট প্রযুক্তি ফার্ম বাইটডেন্সের প্রতিষ্ঠাতা ঝাং ইয়িমিং। যার বিশেষ মেধার ফলেই উদ্ভব ঘটে টিকটকের। তবে শুধু তিনিই নন, সাম্প্রতিক সময়ে চীনের বেশ কয়েকজন বড় প্রযুক্তি উদ্যোক্তা পদত্যাগ করেছেন। চীন সরকার এসব টেক উদ্যোক্তাদের ক্রমবর্ধমান ক্ষমতা ও প্রভাবে শঙ্কিত হয়ে তাদের ওপর চাপ প্রয়োগের ফলেই তারা পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়। গত ২০ মে এক বিবৃতিতে ঝাং বাইটডেন্সের প্রধান (সিইও) হিসাবে নিজের সীমাবদ্ধতা স্বীকার করে নেন। এর পাশাপাশি তিনি সতর্ক করেন সিইও পদটি অতি মাত্রায় সরকার শাসিত হয়ে যাচ্ছে, যার ফলে কোম্পানির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা গ্রহণে অনেকটা বাধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। পদত্যাগের মধ্য দিয়ে ঝাং ইয়িমিং যুক্ত হলেন আরও কয়েকজন চীনা বিশিষ্ট প্রযুক্তি ব্যক্তিত্বদের কাতারে যারা অকালেই অবসরে যান। এর আগে গত মার্চ মাসে ই-কমার্স জায়ান্ট পিন্ডুওডুও’র চেয়ারম্যান কলিন হুয়াং মাত্র ৪০ বছর বয়সে অপ্রত্যাশিতভাবে অবসরে যান। কারণ হিসেবে জানান, দাতব্য কাজে মনোনিবেশ করতেই পদ ছেড়ে দিচ্ছেন তিনি। আরও সুপরিচিত, বিশ্বের সবচেয়ে বড় অনলাইন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আলিবাবার প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক মা। গত বছর চীন সরকারের সমালোচনা করেন তিনি। এরপর থেকেই এক বছর ধরে একেবারেই লোকচক্ষুর আড়ালে চলে যান এই ৫৬ বছর বয়সী ধনকুবের। এছাড়াও একটি অভিযোগ এনে জ্যাক মা’র প্রতিষ্ঠান আলিবাবাকে ২৮০ কোটি ডলা জরিমানা করে চীন সরকার। গত সোমবার যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ফিনান্সিয়াল টাইমস জানিয়েছে, জ্যাক মা নিজের তৈরি শিক্ষাপ্রিতিষ্ঠানের প্রেসিডেন্ট পদ থেকেও সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ভারতের সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া জানায়, চীনের কমিউনিস্ট সরকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলার আশঙ্কা থেকে দেশটির প্রযুক্তি খাতের উদ্যোক্তাদের চাপের মুখে রেখেছে। কিংস কলেজ লন্ডনের চীনা এবং পূর্ব এশীয় ব্যবসায় বিষয়ের জ্যেষ্ঠ প্রভাষক জিন সান বলছেন, এসব বড় বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের ব্যক্তিগত কারিশমা এবং জনপ্রিয়তা নিয়ে চীন সরকার ততটা উদ্বিগ্ন নয়। বরং বিরাট সম্পদশালী এসব প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের ওপর কর্তৃত্ব হারানোর আশঙ্কা রয়েছে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির। কারণ এসব প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের প্রধানরা কেবল অর্থনীতিতেই নয়, রাজনীতিতেও শক্তিশালী প্রভাবক হয়ে উঠেছে।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply