ধারাবাহিকতার অভাব, তবু এবারের ইউরোয় সব থেকে বেশি আনন্দ দিচ্ছে জোয়াকিম লো-র জার্মানিই
হাঙ্গেরির বিরুদ্ধে ম্যাচ শেষ হতে আর কয়েক মিনিট বাকি। মিউনিখের আলিয়াঞ্জ অ্যারিনায় থাকা জার্মান সমর্থকরা তখন কার্যত নিস্তব্ধ। প্রায় ৭০০ কিমি দূরে বুদাপেস্টে তখন ফ্রান্স এবং পর্তুগালের ম্যাচ ড্র চলছে। অর্থাৎ, হারলেই এবারের মতো ইউরো কাপ শেষ হয়ে যাবে জার্মানির। হঠাৎই রীতিমতো দেবদূত হয়ে দেখা দিলেন লিয়ঁ গোরেৎজা। সমতা ফেরালেন, সেই সঙ্গে নিশ্চিত করলেন জার্মানির শেষ ষোলোর টিকিট। গোটা বিশ্বের জার্মান সমর্থকরা হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন। ফের সত্যি হল সেই প্রবাদবাক্য, হারার আগে হারে না জার্মানি।
কে ভেবেছিল জার্মানি শেষ দুটো ম্যাচে এ ভাবে খেলবে? প্রথম ম্যাচে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে হারের পর জোয়াকিম লো-র দলকে ছিড়ে খেয়েছিল জার্মান সংবাদমাধ্যম। প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল তাঁর রণকৌশল নিয়ে। সংবাদমাধ্যম দাবি তুলছিল, কেন ইউরোর আগেই তাঁকে সরানো হল না। লো মাথা ঠান্ডা রেখেছিলেন। ফল পাওয়া গেল পরের ম্যাচেই। ট্রফি জেতার অন্যতম দাবিদার পর্তুগালকে ছিন্নভিন্ন করে দিল জার্মান দল। গোটা ম্যাচে যেন ছবির মতো খেললেন টনি খুস, রবিন গসেন্স, ইলখাই গুন্ডোয়ানরা। ঠিক যখন দরকার, তখনই দুর্দান্ত ছন্দে ফিরতে দেখা গেল জার্মানিকে। ২০১৮ সালেও এই জিনিস দেখা গিয়েছিল। সে বার সুইডেনের বিরুদ্ধে শেষ মুহূর্তে ফ্রি-কিকে গোল করে বিদায় আটকেছিলেন খুস।
Tag: English News games
No comments: