সালিসের সুযোগে ৬০ বছর বয়সী চেয়ারম্যানের ‘বাল্য বিবাহ’, তদন্তের নির্দেশ
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কনকদিয়ায় সালিসের ‘সুযোগ’ নিয়ে কিশোরীকে চেয়ারম্যানের বিয়ের ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। ওই ঘটনার তদন্তে অপরাধের প্রমাণ মিললে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
জেলা প্রশাসককের প্রতি এই নির্দেশ দিয়ে আদালত ওই ঘটনায় কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হলে সেটিও জানাতে বলেছেন। আর এক্ষেত্রে ‘বাল্য বিবাহ’ ঘটেছে কিনা তা তদন্ত করতে জেলা নিবন্ধককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া পুরো ঘটনায় ফৌজদারী অপরাধ ঘটেছে কিনা তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)কে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
করোনা মিডেল এ্যাড
আগামী ৩০ দিনের মধ্যে এই তদন্ত প্রতিবেদন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের মাধ্যমে হাইকোর্টে দাখিল করতে বলা হয়েছে। এছাড়া পটুয়াখালীর পুলিশ সুপারকে ওই কিশোরী ও তার পরিবারের নিরাপত্তা দিতে বলা হয়েছে।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত এবিষয়ক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘প্রেমের টানে এক তরুণের হাত ধরে বাড়ি ছেড়েছিল ওই কিশোরী। বিষয়টি জানার পর কিশোরীর বাবা নালিশ দিয়েছিলেন চেয়ারম্যানের কাছে। চেয়ারম্যান সালিসে বসার পর মেয়েটিকে পছন্দ হয়ে যায়। পরে তিনি ওই কিশোরীকে (১৪) বিয়ে করেন।তবে বিয়ের পরদিনই অষ্টম শ্রেণির সেই কিশোরী (১৪) তালাক দিয়েছেন চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদারকে (৬০)। যিনি বিয়ে পড়িয়েছেন তাঁর মাধ্যমে শনিবার সন্ধ্যার দিকে চেয়ারম্যানকে তালাক দিয়ে পরিবারের কাছে ফেরে ওই কিশোরী।’
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আমাতুল করিম ও একরামুল হক টুটুল বিষয়টি হাইকোর্টের নজরে আনলে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে রুলসহ এই আদেশ দেন। আর এবিষয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য আগামী ৮ আগস্ট দিন ধার্য করেছেন আদালত। আজ আদালতে শুনানি করেন আইনজীবী আমাতুল করিম ও ইকরামুল টুটুল। তদের সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী খায়রুন্নেসা নাসিমা, সীমা জহুর ও কানিজ ফাতেমা। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস।
Tag: English News politics
No comments: