Sponsor



Slider

দেশ

মেহেরপুর জেলা খবর

মেহেরপুর সদর উপজেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

যাবতীয়

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » কণ্ঠশিল্পী এন্ড্রু কিশোরের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী আজ




বরেণ্য কণ্ঠশিল্পী এন্ড্রু কিশোরের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। গত বছরের আজকের এই দিনে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। করোনার কারণে তার মৃত্যুবার্ষিকী ঘিরে নেই বিশেষ কেনো আয়োজন। পারিবারিকভাবে শুধু প্রার্থনা সভার আয়োজন রাখা হয়েছে। প্রিয়জনের আত্মার শান্তি কামনা করতে রাজশাহীতে এসেছেন শিল্পির স্ত্রী ও কন্যা। এ ব্যাপারে ডা. প্যাট্রিক বিপুল বিশ্বাস জানান, প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে আজ মঙ্গলবার বিকেলে পরিবারের পক্ষ থেকে প্রার্থনার আয়োজন করা হবে। এর আগে বিকেল ৪টায় রাজশাহী সিটি চার্চেও প্রার্থনা করা হবে। করোনা মহামারীতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে খুবই স্বল্প পরিসরে এসব আয়োজন হবে। এতে এন্ড্রু কিশোরের পরিবারের সদস্য এবং হাতে গোনা কয়েকজন ঘনিষ্ঠজন অংশগ্রহণ করবেন। এ ছাড়া এন্ড্রু কিশোর প্রতিষ্ঠিত ওস্তাদ আব্দুল আজিজ বাচ্চু স্মৃতি সংসদ আজ সকালে অসহায় মানুষের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করবে। উল্লেখ্য, বাংলা গানের কিংবদন্তি এই শিল্পী ১৯৫৫ সালের ৪ নভেম্বর রাজশাহীতে জন্মগ্রহণ করেন। চার দশকেরও বেশি সময় ধরে সুরের জাদুতে সংগীতপ্রেমীদের মাতিয়ে রেখে না ফেরার দেশে চলে যান। সুখ-দুঃখ, হাসি-আনন্দ, প্রেম-বিরহ সব অনুভূতির গানই তার কণ্ঠে পেয়েছে অনন্য মাত্রা। তার শত শত গান এখনো মানুষের মুখে মুখে। এরমধ্যে ‘আমার সারা দেহ খেয়ো গো মাটি’, ‘ডাক দিয়াছেন দয়াল আমারে’, ‘কারে দেখাব মনের দুঃখ গো’ বা ‘তুমি আমার জীবন, আমি তোমার জীবন’—সহ অসংখ্য শ্রোতাপ্রিয় গান আজও তাকে বাঁচিয়ে রেখেছে। বাংলা গানের কিংবদন্তি এই সংগীতশিল্পী ‘প্লেব্যাক সম্রাট’ নামেও পরিচিত। বাংলা চলচ্চিত্রের গানে তাকে বলা যেতে পারে এক মহাসমুদ্র। যেখানে তিনি সাঁতার কেটেছেন কয়েক দশক ধরে। আটবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এই কণ্ঠশিল্পী ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে বেশকিছু দিন চিকিৎসা শেষে মৃত্যুবরণ করেন। রাজশাহীতে জন্ম নেওয়া কিশোর সেখানেই বেড়ে ওঠেন। পড়াশোনা করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে। স্বাধীনতা যুদ্ধের পর, কিশোর নজরুল, রবীন্দ্রনাথ, আধুনিক, লোক ও দেশাত্মবোধকসহ প্রায় সব ধারার গানে রাজশাহী বেতারে তালিকাভূক্ত হন। তার চলচ্চিত্রে প্লেব্যাকের যাত্রা শুরু হয় ১৯৭৭ সালে আলম খান সুরারোপিত মেইল ট্রেন চলচ্চিত্রের ‘অচিনপুরের রাজকুমারী নেই যে তাঁর কেউ’ গানের মধ্য দিয়ে। তার রেকর্ডকৃত দ্বিতীয় গান বাদল রহমান পরিচালিত এমিলের গোয়েন্দা বাহিনী চলচ্চিত্রের ‘ধুম ধারাক্কা’। তবে এ জে মিন্টু পরিচালিত ১৯৭৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত প্রতীজ্ঞা চলচ্চিত্রের ‘এক চোর যায় চলে’ গানে প্রথম দর্শক তার গান শুনে এবং গানটি জনপ্রিয়তা লাভ করেন। তার জনপ্রিয় গানের মধ্যে রয়েছে, জীবনের গল্প আছে বাকি অল্প, হায়রে মানুষ রঙিন ফানুস, ডাক দিয়াছেন দয়াল আমারে, আমার সারা দেহ খেয়ো গো মাটি, আমার বুকের মধ্যে খানে, পৃথিবীর যত সুখ আমি তোমার ছুঁয়াতে খুঁজে পেয়েছি, সবাইতো ভালোবাসা চায়, বেদের মেয়ে জোসনা আমায় কথা দিয়েছে, তুমি আমার জীবন আমি তোমার জীবন, ভালো আছি ভালো থেকো, তুমি মোর জীবনের ভাবনা, চোখ যে মনের কথা বলে’ ইত্যাদি।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply