Sponsor



Slider

দেশ

মেহেরপুর জেলা খবর

মেহেরপুর সদর উপজেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

যাবতীয়

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » » » টাইব্রেকারের শ্বাসরুদ্ধকর জয়ে সেমিতে স্পেন




ফ্রান্সের বিপক্ষে বীরত্বের পুনরাবৃত্তিই সবাই চাইছিল ইয়ান সমারের কাছে। তা তিনি করেছেনও। সারা ম্যাচ জুড়ে একের পর এক সেইভের পর টাইব্রেকারেও রদ্রির শট ঠেকিয়ে রূপকথার নতুন অধ্যায় লেখার ক্ষেত্র সৃষ্টি করেছিলেন তিনি। কিন্তু সুইসরা টানা তিনটি শটে গোল করতে ব্যর্থ হলে কোয়ার্টার ফাইনালেই সমাপ্তি ঘটে ইয়ান সমার, শাকিরিদের সুইস রূপকথা। সেন্ট পিটার্সবার্গে প্রথম কোয়ার্টার ফাইনালের শুরুতেই এগিয়ে যায় স্পেন। ম্যাচের ৮ মিনিটে কোকের কর্নার লাপোর্তার জন্য বেশি উঁচু হয়ে গেলে বল চলে যায় ডি-বক্সের বাইরে দাঁড়ানো জর্ডি আলবার কাছে। আলবার তীব্র গতির ভলি ডেনিস জাকারিয়ার পায়ে লেগে দিক খানিকটা বদলে, ইয়ান সমারকে হতবুদ্ধি বানিয়ে ঢুকে যায় জালে। এর মাধ্যমে ইউরো ২০২০ এর সর্বোচ্চ গোলদাতার জায়গায় চলে গেল আত্মঘাতী গোল। চলতি আসরের দশম আত্মঘাতী গোলটি আসলো ডেনিস জাকারিয়ার অপ্রস্তুত পা থেকে। গোল খেয়ে সমতা আনতে মরিয়া হয়ে ওঠে সুইজারল্যান্ড। কিন্তু ধাক্কা খায় সেখানেও। হ্যামস্ট্রিং ইনজুরিতে সাইডলাইনে চলে যেতে হয় রাইট উইঙ্গার ব্রিল এমবোলোকে। নিয়মিত অধিনায়ক গ্র্যানিট শাকার অনুপস্থিতিতে বাড়তি দায়িত্ব নিয়ে খেলা জেরদান শাকিরির নেতৃত্বে প্রেসিং বাড়ায় সুইজারল্যান্ড। বলের দখলে স্পেনের চেয়ে অনেকটাই পিছিয়ে থাকা সুইসরা তাদের প্রেসিং এর কল্যাণে আদায় করে নেয় বেশি সংখ্যক কর্নার। কিন্তু আকাঞ্জি, সেফারোভিচরা প্রথমার্ধে পারেনি খেলায় সমতা আনতে। দু’দলের আক্রমণেই ছিল ধারের অভাব। স্পেন গোলরক্ষক উনাই সিমনের কোনো পরীক্ষাই নিতে পারেননি সুইস ফরোয়ার্ডরা। আর আত্মঘাতী গোল ও বলের দখলে এগিয়ে থাকা বাদে স্পেনও পারেনি মাঠে আধিপত্য রাখতে। সারাবিয়ার মাধ্যমে ক্রস এসেছে কয়েকটি। কিন্তু কাজে লাগাতে পারেনি ফেরান, মোরাতারা। এর মধ্যেই ডিফেন্সের ভুলে গোল খায় স্পেন। লাপোর্তে ও পাউ তোরেসের ভয়ানক ভুল বোঝাবুঝিতে বল পেয়ে যান ফ্রিউলার। তার বাড়ানো বলকে অপেক্ষাকৃত দুর্বল ডান পায়ের সাহায্যে ৬৮ মিনিটে জালে জড়াতে ভুল করেননি পুরো ম্যাচেই অসাধারণ খেলা লিভারপুল ফরোয়ার্ড জেরদান শাকিরি। কিন্তু ১০ মিনিট পরেই ১০ জনের দলে পরিণত হয় সুইসরা। শাকিরির গোলে অ্যাসিস্ট করা ফ্রিউলার বলের দখল পেতে স্লাইড ট্যাকেল করে বসেন জেরার্ড মোরেনোকে। কিন্তু দেরিতে চ্যালেঞ্জ করার খেসারত দেন তিনি রেফারি মাইকেল অলিভারের লাল কার্ড দেখে। এরপরেও সুইজারল্যান্ডকে চেপে ধরতে পারেনি স্পেন। মাঝমাঠে বুস্কেটসের বল ডিস্ট্রিবিউশন ঠিকঠাক হলেও ডি বক্সে গিয়ে খেই হারিয়ে ফেলেন মোরেনো, ফেরান তোরেসরা। তবে ড্যানি অলমো ও মিকেল অয়ারজাবাল বদলি হিসেবে নামার পর আক্রমণের ধার বাড়ে স্পেনের। নির্ধারিত সময়ের খেলা অমীমাংসিত থাকলে শুরু হয় অতিরিক্ত সময়ের খেলা। সেখানে ফ্রান্স ম্যাচের পেনাল্টি বীর সুইস গোলরক্ষক ইয়ান সমারকে করতে হয় ৪ টি সেইভ। থিয়াগো আলকানতারা, রদ্রিদের নামিয়েও এলভেদি, আকাঞ্জি, সমারদের দৃঢ়তায় আর গোল খুঁজে পায়নি লুইস এনরিকের শিষ্যরা। আর ১০ জনের দলে পরিণত হয়ে ভ্লাদিমির পেতকোভিচের সুইজারল্যান্ড টাইব্রেকারে গত ম্যাচের সাফল্যকে চেয়েছেন সেইন্ট পিটার্সবার্গেও ফিরিয়ে আনতে। টাইব্রেকারের প্রথম শট মিস করে স্পেন অধিনায়ক সার্জিও বুস্কেটসও তেমনই আশঙ্কায় ফেলেছিলেন তার সতীর্থদের। কিন্তু মিস করায় সুইসরা ছিল এ রাতে অনেক এগিয়ে। উনাই সিমনের সেইভের সাথে সুইসরা টানা তিনটি শট মিস করলে স্বপ্নযাত্রায় এখানেই ছেদ পড়ে হার না মানা সুইজারল্যান্ডের।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply