তালেবানকে যুক্তরাষ্ট্রের কঠোর হুঁশিয়ারি

যুক্তরাষ্ট্র সেনা প্রত্যাহার শুরুর পর থেকেই আফগানিস্তান দখলে নিতে মরিয়া সশস্ত্র গোষ্ঠী তালেবান। দেশটিতে তালেবানের উত্থান চোখে পড়ার মতো। সেখানে নিজেদের অবস্থান আরও মজবুত করতে বৈশ্বিক সমর্থন আদায় কিংবা নানা পক্ষের সঙ্গে আলোচনায় সরব তারা। তালেবানের সেই অগ্রযাত্রার বিষয়ে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন তিনি বলেন, আফগানিস্তানে একমাত্র আলোচনার মধ্য দিয়েই শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এজন্য সব পক্ষকেই বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে নিতে হবে। বুধবার (২৮ জুলাই) ভারতীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করতে নয়াদিল্লি সফরকালে ব্লিনকেন এ কথা বলেন। এদিকে সেনা প্রত্যাহারের কার্যক্রমের মধ্যেই আনুষ্ঠানিকভাবে আফগানিস্তানের সেনাদের কাছে সাতটি সামরিক স্থাপনা হস্তান্তর করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এরইমধ্যে আফগানিস্তান থেকে ৯৫ শতাংশ মার্কিন সেনা ও সামরিক সরঞ্জাম সরিয়ে নিয়েছে দেশটি। অন্যদিকে চীন সফরে গেছেন তালেবান গোষ্ঠীর ৯ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল। এসময় চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি, শান্তিপ্রক্রিয়া ও দুই দেশের রাজনীতি-অর্থনীতি এবং নিরাপত্তাসংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন তালেবান সদস্যরা। তালেবান বলছে, চীনের আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণেই এই সফর। এদিকে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং হির সঙ্গে দেখা করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বেইজিং কর্তৃপক্ষ। চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং হি বলেন, আফগানিস্তান থেকে মার্কিন ও ন্যাটো সেনারা চলে যাওয়ায় আবারো দেশটির নাগরিকরা স্বাভাবিক পরিবেশ পেল। আশা করবো তালেবান দেশটির গঠনমূলক কাজে সহায়তা করবে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নির্দেশে নিজেদের সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণার পর থেকেই তালেবান ও আফগান সেনাদের মধ্যকার তীব্র লড়াই এর মধ্যেই চীনে এই সফর আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তালেবানের শক্ত অবস্থান তৈরি করতে পারে বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা। এদিকে, ৯৫ শতাংশ মার্কিন সেনা ও সামরিক সরঞ্জাম সরিয়ে নেয়ার পর আনুষ্ঠানিকভাবে আফগানিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে সাতটি সামরিক স্থাপনা হস্তান্তর করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে দেশটিতে অবস্থিত মার্কিন কূটনীতিকদের নিরাপত্তার জন্য ছয়শোর বেশি সেনা মোতায়েন থাকবে। এছাড়া, প্রয়োজনে তালেবান হামলা ঠেকাতে আফগানিস্তানে মার্কিন বিমান হামলা চালিয়ে যাওয়া হবে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।