হোটেল-ফাস্ট ফুডের দোকানে খাবারে ভ্যাট কমল
করোনাভাইরাসে ক্ষতিগ্রস্ত রেস্তোরাঁ ও খাবারের ব্যবসায়ীদের সাহায্যে কমানো হয়েছে ভ্যাট হার। চলতি অর্থবছরে (২০২১-২০২২) শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত রেস্তোরাঁয় ৫ শতাংশ আর সাধারণ রেস্তোরাঁ বা ফাস্ট ফুডের দোকানে আড়াই শতাংশ মূসক (ভ্যাট) কমিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
এনবিআরের মূসক বিভাগের (তথ্যপ্রযুক্তি ও প্রকল্প ব্যবস্থাপনা) দ্বিতীয় সচিব সম্প্রীতি প্রামাণিক সই করা এক প্রজ্ঞাপনে এসব তথ্য জানা গেছে।
এতে বলা হয়েছে, নন-এসি রেস্তোরাঁর ক্ষেত্রে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ এবং এসি রেস্তোরাঁর ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ ভ্যাট নির্ধারণ করা হয়েছে। যা ১ জুলাই থেকে কার্যকর ধরা হয়েছে।
একই সঙ্গে ভ্যাট ফাঁকি রোধে রেস্তোরাঁগুলোতে ইলেকট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইস (ইএফডি) বসানোর প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের অনুরোধ করা হয়েছে।
অনেক দিন ধরেই বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি এনবিআরের চেয়ারম্যানের কাছে ভ্যাটের হার ৫ শতাংশ করার অনুরোধ জানিয়ে আসছিল। তাদের দাবি ছিল, রেস্তোরাঁয় খাবার তৈরিতে যেসব উপকরণ ব্যবহৃত হয়, তার বেশির ভাগ ভ্যাটমুক্ত। ফলে রেয়াত নেয়া যায় না। এতে খুচরা পর্যায়ে ১৫ শতাংশ ভ্যাটের প্রভাব অনেক বেশি হয়। হারটি ৫ শতাংশ করা হলে সবাই ভ্যাট দেবে। এতে সরকারের রাজস্ব অনেক বাড়বে। ভোক্তারাও সুফল পাবেন।
এনবিআরকে দেয়া চিঠিতে আরও বলা হয়, অন্যান্য পণ্য বা সেবা সরবরাহের ক্ষেত্রে রেয়াত সুবিধা পায়। এ কারণে সাধারণভাবে প্রকৃত ভ্যাট দাঁড়ায় ৩ থেকে ৫ শতাংশ। বিপরীতে রেস্তোরাঁ রেয়াত পায় না। ভ্যাট দাঁড়ায় ১৫ শতাংশ। সব মিলিয়ে রেস্তোরাঁ বড় ধরনের বৈষম্যের শিকার হয়।
বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির তথ্যানুসারে, দেশে বর্তমানে ৪ লাখ ৩৬ হাজার ২৭৪টি রেস্তোরাঁ রয়েছে। তবে ফাস্টফুডের দোকানের কোনো পরিসংখ্যান জানা যায়নি।
Tag: English News politics
No comments: