পান্ডা নিয়ে পাওয়া গেল দারুণ সুখবর
ভালুক প্রজাতিগুলোর মধ্যে মানুষের সবচেয়ে পছন্দের প্রাণী হচ্ছে পান্ডা। পান্ডার আদি বাসস্থান চীন। কালো-সাদা পশমের সুন্দর পুতুলের মতো দেখতে এই প্রাণীটি হারিয়ে যেতে বসেছিল।
জায়ান্ট পান্ডা এত দিন অতি বিপন্ন প্রাণীর তালিকায় থাকলেও এবার চীনের সরকারি কর্তৃপক্ষ দিল সুখবর। তারা জানাচ্ছে, পান্ডা আর অতি বিপন্ন প্রাণীর তালিকায় নেই, তবে এখনো তারা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
প্রাণী বিজ্ঞানীরা বলছেন, চীন জায়ান্ট পান্ডার আবাসস্থল সম্প্রসারণসহ দীর্ঘমেয়াদি সংরক্ষণের প্রচেষ্টার মাধ্যমে প্রাণীটিকে রক্ষা করতে সক্ষম হয়েছে। চীনের সরকারি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, জায়ান্ট পান্ডার সংখ্যা বর্তমানে এক হাজার ৮০০ ছাড়িয়েছে এবং এই প্রাণীটি এখন আর বিলুপ্তির হুমকির মুখে নেই। চীন জায়ান্ট পান্ডাকে জাতীয় সম্পদ মনে করে। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের অংশ হিসেবে পান্ডা উপহার দেয় চীন।
এক সংবাদ সম্মেলনে চীনের পরিবেশ ও প্রকৃতি সংরক্ষণ মন্ত্রণালয়ের প্রধান কুই শুহং জানান, পান্ডার অতি বিপন্ন তালিকা থেকে উন্নতি তাদের উন্নত জীবনযাত্রার চিত্র এবং তাদের সংরক্ষণে চীনের ঐকান্তিক প্রচেষ্টারই প্রতিফলন। এদিকে ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব ন্যাচার এরই মধ্যে পান্ডাকে অতি বিপন্ন তালিকা থেকে সরিয়ে ঝঁকিপূর্ণ তালিকায় অন্তর্ভুক্তি করেছে।
এদিকে পান্ডা নিয়ে এমন সুখবরে খুশি হয়েছে চীনের নাগরিকরা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তারা চীনা কর্তৃপক্ষ ধন্যবাদ দিয়ে লিখেছেন, 'বহু বছরের অক্লান্ত পরিশ্রমে আপনারা সফল হয়েছেন। প্রকৃতি বিজ্ঞানীরা আপনাদের ধন্যবাদ।'
এদিকে আন্তর্জাতিক জীববিজ্ঞানীরা বলছেন, জায়ান্ট পান্ডাকে রক্ষা করতে সবচেয়ে বেশি যে কাজটি করা প্রয়োজন সেটি হচ্ছে পান্ডার খাদ্যের জোগান দেয়া। এটি বড় চ্যালেঞ্জ। জায়ান্ট পান্ডার খাবারের ৯৯ শতাংশ উপাদান বাঁশ। বাঁশ ছাড়া পান্ডা রক্ষা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। তবে চীনা কর্তৃপক্ষ তাতে সফল হয়েছে। চীন পান্ডাকে বাঁচাতে দেশজুড়ে প্রচুর বাঁশের বন তৈরি করেছে। অন্যদিকে চীনের চিড়িয়াখানাগুলো ক্যাপটিভ ব্রিডিং (একটি প্রজন পদ্ধতি) মাধ্যেম পান্ডার সংখ্যাও বাড়াতে সক্ষম হয়েছে।
No comments: