পাহাড় ধস ও ঢলে ছয় রোহিঙ্গাসহ আটজনের মৃত্যু
কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার বালুখালী রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে পাহাড় ধসে ও পাহাড়ি ঢলের পানিতে ভেসে গিয়ে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে আরও পাঁচজন। অপরদিকে, টেকনাফ উপজেলায় ঘরের দেয়ালচাপা পড়ে স্থানীয় এক বাসিন্দা এবং মহেশখালীতে দেয়াল ধসে আরও এক নারীর মৃত্যু হয়েছে।
নিহতদের মধ্যে পাঁচ রোহিঙ্গার নাম জানা গেছে। তারা হলেন শাহ আলমের স্ত্রী নূরবাহার (৫০), ছেলে শফি আলম (৮), একই ব্লকের মোহাম্মদ ইউসুফের স্ত্রী দিল বাহার (৩৫), তাঁদের দুই শিশুসন্তান আব্দুর রহমান ও আয়েশা। পাহাড়ি ঢলে ভেসে যাওয়া রোহিঙ্গা শিশুর নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
নিহত অপর দুজন হলেন টেকনাফ উপজেলার উলুবনিয়া রাস্তার মাথা মনির ঘোনা এলাকার রকিম আলী (৪৫) ও মহেশখালী উপজেলার ছোট মহেশখালী ইউনিয়নের সিপাহীপাড়ার মুরশিদা বেগম (৪৩)।
কক্সবাজারের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কার্যালয়ের অতিরিক্ত কমিশনার শামসুদ দৌজা নয়ন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাহাড় ধসে হতাহতের ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন।
শামসুদ দৌজা নয়ন জানান, দুদিন ধরে টানা বর্ষণ চলছে। আজ মঙ্গলবার সকালে ভারি বর্ষণের ফলে উখিয়ার বালুখালী ১০ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ‘জি’ ব্লকে পাহাড় ধসে দুই পরিবারের শিশুসহ পাঁচজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও পাঁচজন।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কর্মরত সিপিপির স্বেচ্ছাসেবক জাহাঙ্গীর জানান, আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এ পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে। অপরদিকে বালুখালী ৮ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাহাড়ি ঢলের পানিতে ভেসে গিয়ে এক রোহিঙ্গা শিশু মারা গেছে। তার নাম-পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া যায়নি।
অপরদিকে, টেকনাফ উপজেলার উলুবনিয়া রাস্তার মাথা মনির ঘোনা এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা রকিম আলী আজ মঙ্গলবার সকালে ঘরের দেয়াল চাপা পড়ে মারা যান।
টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নূর আহমেদ আনোয়ারী দেয়াল চাপা পড়ে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে, মহেশখালী উপজেলার ছোট মহেশখালী ইউনিয়নের সিপাহী পাড়ায় মাটির ঘরের দেয়াল ধসে পড়ে মুরশিদা বেগম নামের এক নারী মারা গেছেন।
গতকাল সোমবার থেকে টানা বর্ষণের কারণে কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের ৩৪টি রোহিঙ্গা শিবিরের আটটি ক্যাম্পের বেশকিছু বসতঘর পানির নিচে তলিয়ে গেছে। বৃষ্টির কারণে পাহাড়ি ঢলে এসব বসতির রোহিঙ্গারা পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
Tag: English News politics
No comments: