Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

মেহেরপুর জেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

মেহেরপুর সদর উপজেলা

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » » » তালেবানের হাতে বন্দি ‘হেরাতের সিংহ’ ইসমাইল খান




আফগানিস্তানের বিখ্যাত যোদ্ধা ইসমাইল খানকে বন্দি করেছে তালেবান। শুক্রবার (১৩ আগস্ট) আফগানিস্তানের তৃতীয় বৃহত্তম শহর হেরাত দখলের পর তালেবান সদস্যরা ইসমাইল খানকে বন্দি করেন। পরে তালেবানের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। খবর রয়টার্সের। তালেবানের হাতে বন্দি ‘হেরাতের সিংহ’ ইসমাইল খান আ ইসমাইল খান হেরাতের সাবেক গভর্নর ছিলেন। সোভিয়েত যুদ্ধে পোড় খাওয়া এই যোদ্ধা আফগান সরকারের অধীনে থেকে স্থানীয় মিলিশিয়াদের নিয়ে তালেবানের বিরুদ্ধে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন। ইসমাইল খান হেরাতের সিংহ হিসেবে পরিচিত। ১৯৭৯ সালে সোভিয়েত বিরোধী যুদ্ধে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। বিখ্যাত মুজাহিদীন নেতা হিসেবে বেশ বিখ্যাত ছিলেন তিনি। তালেবান যোদ্ধারা বৃহস্পতিবার হেরাতের অধিকাংশ এলাকা দখলে নেয়। আফগানিস্তানের গুরুত্বপূর্ণ এই প্রদেশ তালেবানের দখলে যাওয়া ছিল সরকারের জন্য বিরাট এক ধাক্কা। শুক্রবার হেরাতের স্থানীয় প্রশাসনকে আত্মসমর্পণের আহ্বান জানায় তালেবান। আত্মসমর্পণকারীদের তারা কোনো ক্ষতি করবে না বলে আশ্বাস দেয় তারা। এরপর সেখানকার সেনা সদরদপ্তর, বিমানবন্দর এবং সরকারি স্থাপনাগুলোতে থেকে সেনা সরিয়ে নিতেও রাজি হয় তালেবান। রয়টার্সের খবরে বলা হয়, হেরাত আফগান সরকারের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এলাকা ছিল। এখানকার নেতা ইসমাইল খান স্থানীয় যোদ্ধাদের একত্র করে তালেবানের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন। কিন্তু শুক্রবার তিনি তালেবানের হাতে বন্দি হলেন। একই সূত্রে জানা যায়, তালেবানের সঙ্গে এক চুক্তি মোতাবেক হেরাতের বর্তমান গভর্নর, কয়েকজন নিরাপত্তা কর্মকর্তাসহ ইসমাইল খানকে তালেবান যোদ্ধাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। তবে চুক্তিতে কী ছিল সেটার বিস্তারিত জানা যায়নি। আরেকটি খবরে বলা হয়েছে, ইসমাইল খান তার যোদ্ধাদের নিয়ে তালেবানের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন। এরপর তালেবান তাকে গৃহবন্দি করে রেখেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা গেছে, সত্তরোর্ধ্ব ইসমাইল খান তালেবান সদস্যদের সাথে বন্দি অবস্থায় রয়েছেন। তবে এই ভিডিওটির সত্যতা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। পরে ইসমাইল খানের এক মুখপাত্র বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, বন্দি হওয়ার পর তালেবানের সাথে সমঝোতার ভিত্তিতে তাকে নিজ বাড়িতে ফিরে যেতে দেওয়া হয়েছে। ইসমাইল খান সোভিয়েত বিরোধী যুদ্ধে সাহসী যোদ্ধা হিসেবে নাম করেছিলেন। সাহসিকতার জন্য 'হেরাতের সিংহ' খেতাব পান তিনি। গত জুলাই এ তালেবানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে আফগান সরকারের সাথে সামিল হন ইসমাইল খান। তার নিয়ন্ত্রিত যোদ্ধারা তালেবানের অগ্রগতিতে অন্যতম বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল এতদিন। এমন সম্মানিত নেতার তালেবানের হাতে বন্দি হওয়া আফগান সরকারের পরাজয়ের বার্তাই বহন করে।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply