সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) নিয়োগের ক্ষেত্রে নতুন পদ্ধতি নিয়ে ভাবা হচ্ছে। এ-সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব এরই মধ্যে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। নতুন আইন ও নিয়মে
নিয়োগ দিতে ১৮৬১ সালের পুলিশ রেগুলেশন অব বেঙ্গল (পিআরবি) ও ১৯৪৩-এর কিছু প্রবিধান সংশোধন করা হয়েছে। সব মিলিয়ে আটটি ধাপ অনুসরণ করে নতুন নিয়মের আদলে এরই মধ্যে শুরু হয়েছে কনস্টেবল নিয়োগ প্রক্রিয়া। ১১ ধাপ পেরিয়ে আগামীতে নতুন পদ্ধতিতে নিয়োগ দেওয়া হবে এসআইদের। ২০৪১ সালের মধ্যে পুলিশকে উন্নত বাংলাদেশের উপযোগী করে গড়ে তুলতে নিয়োগ, পদোন্নতিতে সৎ ও যোগ্যদের অগ্রাধিকারের বিকল্প নেই বলে মনে করেন বাহিনীর নীতিনির্ধারকরা। গতকাল রোববার পুলিশের অপরাধ পর্যালোচনা সভায় নিয়োগ-পদোন্নতি নিয়ে আলোচনা হয়। দু'দিনব্যাপী অপরাধ পর্যালোচনা সভা গতকাল সকাল ১১টায় পুলিশ সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন পুলিশ মহাপরিদর্শক ড. বেনজীর আহমেদ। এ সময় তিনি বলেন, নিয়োগ-পদোন্নতি আরও সময়োপযোগী ও আধুনিক করতে এখনই কাজ করতে হবে। যারা একই পদে দীর্ঘদিন বসে আছেন, তাদের কী হিসেবে পদোন্নতি দেওয়া যায়- সেটাও ভেবে দেখা দরকার। আবার পুলিশের ওপরের দিকে পদের সংখ্যা কম- এই বাস্তবতার কথাও বলেন তিনি। বৈঠকে উপস্থিত এক কর্মকর্তা সমকালকে জানান, পুলিশের এ ধরনের ফোরামে নানা মতামত আসে। এরপর এটা পর্যালোচনা করে কিছু কিছু বাস্তবায়নের জন্য পরবর্তী কর্মকৌশল গ্রহণ করা হয়। এমন মতামতও এসেছে, পুলিশে নিয়োগ প্রক্রিয়া দুটি ক্যাটাগরিতে হতে পারে। একটি শুরু হবে কনস্টেবল থেকে। আরেকটি শুরু হবে এএসপি। কনস্টেবল থেকে যারা বাহিনীতে যুক্ত হবেন, তারা পদোন্নতি পেয়ে এএসপিও এবং তদূর্ধ্ব পদধারী হতে পারেন। আবার যারা এএসপি থেকে শুরু করবেন, তারা আইজিপি পর্যন্ত যেতে পারবেন। এখন বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পুলিশে লোকবল নিয়োগ হয়। বৈঠকে উপস্থিত আরেক কর্মকর্তা বলেন, এসআই থেকে পরিদর্শক পদমর্যাদার বিষয়টি বৈঠকে আলোচনা হয়। পরিদর্শক পদ কম হওয়ায় অনেককে দীর্ঘদিন এসআই পদে থাকতে হচ্ছে। এতে তার মনোবল ভেঙে যায়। আবার অনেকে দ্রুত এসআই থেকে পরিদর্শক হতে চান। কেউ কেউ সাত বছরের মধ্যে পদোন্নতিও পান। পদোন্নতি নিয়ে একটি বাস্তবসম্মত কৌশল বের করার বিষয়ও আলোচনা হয়। বৈঠকে এসআই থেকে পরিদর্শক পদে পদোন্নতির বাস্তবতা, প্রেক্ষাপট ও জটিলতার বিষয়গুলো উঠে আসে। পুলিশে বর্তমানে ২৬ হাজার এসআইর পদ ও সাত হাজার পরিদর্শকের পদ রয়েছে। নন-ক্যাডার পদ থেকে সহকারী পুলিশ সুপার হন মোট পদের ৩৩ শতাংশ। বাকি ৬৭ শতাংশ সহকারী পুলিশ সুপার সরাসরি আসেন বিসিএসের মাধ্যমে। বিসিএসে এএসপির পদ কমে গেলে নন-ক্যাডার পদের কর্মকর্তাদের একই পদে আরও দীর্ঘদিন থাকতে হবে। এসআইর তুলনায় পরিদর্শকের পদ অনেক কম হওয়ায় অনেককে বাহিনীতে যোগদানের পর একটি মাত্র পদোন্নতি নিয়ে চাকরিজীবন শেষ করতে হচ্ছে। আবার অনেককে দ্রুত এসআই থেকে পরিদর্শক হয়ে ওই পদে বছরের পর বছর থাকতে হয়। অনেককে ২৫ বছরও একই পদে থাকতে হয়। তাই ক্যাডার, নন-ক্যাডার কর্মকর্তাদের কথা ভেবেই নিয়োগ ও পদোন্নতির সার্বিক বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সম্প্রতি পিআরবি সংশোধন করে পুরুষ ও নারী কনস্টেবল উভয়ের জন্যই শারীরিক উচ্চতা দুই ইঞ্চি বাড়ানো হয়েছে। পুরুষদের ক্ষেত্রে উচ্চতা হতে হবে পাঁচ ফুট ছয় ইঞ্চি; নারীদের ক্ষেত্রে পাঁচ ফুট চার ইঞ্চি। পুরুষ প্রার্থীদের বুকের মাপ ৩১ ইঞ্চি সাধারণ এবং ৩৩ ইঞ্চি বর্ধিতকরণ বাধ্যতামূলক। নতুন নিয়মে কনস্টেবল নিয়োগের জন্য সাতটি পৃথক ধাপ পেরোতে হবে। ধাপগুলো হলো- প্রিলিমিনারি স্ট্ক্রিনিং, শারীরিক মাপ ও ফিজিক্যাল অ্যান্ডুরেন্স টেস্ট, লিখিত পরীক্ষা, মনস্তাত্ত্বিক ও মৌখিক পরীক্ষা, প্রাথমিক নির্বাচন, পুলিশ ভেরিফিকেশন এবং স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর চূড়ান্তভাবে প্রশিক্ষণে অন্তর্ভুক্ত করা। অনেকে মনে করেন, এএসপি নিয়োগেও যুগের প্রয়োজনে সংশোধনী আনা উচিত। পুলিশের কাজ শ্রমসাধ্য ও ঝুঁকিপূর্ণ। এই বিবেচনায় শারীরিক ও মানসিকভাবে সক্ষমদের বাহিনীতে নিয়োগ ছাড়া কাঙ্ক্ষিত জনসেবা পাওয়া কষ্টসাধ্য। বিশেষ বিসিএসের মাধ্যমে পুলিশে সহকারী পুলিশ সুপার নিয়োগের সুপারিশে বলা হয়, পুরুষ অফিসারের উচ্চতা হবে পাঁচ ফুট ছয় ইঞ্চি আর নারী অফিসার পাঁচ ফুট চার ইঞ্চি। করোনার কারণে দেড় বছরের বেশি সময় পর মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা সশরীরে ঢাকায় হাজির হয়ে অপরাধ পর্যালোচনা সভায় অংশ নেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে আয়োজিত সভায় সব মহানগর পুলিশ কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি ও ৬৪ জেলার পুলিশ সুপার অংশগ্রহণ করেন। সভায় অতিরিক্ত আইজিপিরা, ঢাকার পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের প্রধান এবং পুলিশ সদর দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। স্বাগত বক্তব্য দেন অতিরিক্ত আইজি (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন্স) এম খুরশীদ হোসেন। প্রথম দিন জানুয়ারি-মার্চ ও এপ্রিল-জুন দুই কোয়ার্টারের সার্বিক অপরাধ পরিস্থিতি, যেমন- ডাকাতি, দস্যুতা, খুন, দ্রুত বিচার আইনে মামলা, নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা, অপহরণ, সিঁধেল চুরি, দাঙ্গা, মাদক, অস্ত্র ও গাড়ি উদ্ধার ইত্যাদি সভায় তুলে ধরেন ডিআইজি (ক্রাইম ম্যানেজমেন্ট) এ ওয়াই এম বেলালুর রহমান। অপরাধ-সংক্রান্ত উন্মুক্ত আলোচনায় মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা কিশোর অপরাধ, মুলতবি মামলা, জনকল্যাণমূলক ভালো চর্চাসহ আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন। সভার শুরুতে করোনায় জীবন উৎসর্গকারী পুলিশ সদস্যদের স্মৃতির প্রতি সম্মান জানিয়ে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।Slider
বিশ্ব
জাতীয়
সাম্প্রতিক খবর
খেলাধুলা
বিনোদন
ফিচার
mujib
w
যাবতীয় খবর
জিওগ্রাফিক্যাল
ফেসবুকে মুজিবনগর খবর
Mujibnagar Khabor's Admin
We are.., This is a short description in the author block about the author. You edit it by entering text in the "Biographical Info" field in the user admin panel.
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
Labels
- Advertisemen
- Advertisement
- Advertisementvideos
- Arts
- Education
- English News
- English News Featured
- English News lid news
- English News national
- English News news
- English Newsn
- Entertainment
- Featured
- games
- id news
- l
- l national
- li
- lid news
- lid news English News
- lid news others
- media
- national
- others
- pedia
- photos
- politics
- politics English News
- t
- videos
- w
- world
- Zilla News
No comments: