অসদাচরণের জন্য সদস্যদের তিরস্কার করলো তালেবান

আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পর তালেবানের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সংগঠনটির সদস্যদের মধ্যে ক্ষমতার কোনো ধরনের অপব্যবহার সহ্য করা হবে না। এরপরও কিছু সদস্যের অসদাচরণের খবর সামনে এসেছে বলে জানায় সংগঠনটি। এর জের ধরে তাদের তিরস্কার করেছে তালেবান। তালেবানের জ্যেষ্ঠ নেতা মোহাম্মদ ইয়াকুব অডিও বার্তায় বলেছেন, কিছু দুর্বৃত্ত ও আফগানিস্তানের সাবেক সেনাবাহিনীর সদস্য তালেবানে যোগ দিয়েছিলেন। তারা বেশ কিছু সহিংসতার ঘটনা ঘটিয়েছেন। এসব সদস্যকে তালেবান বাহিনী থেকে বের হয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন তিনি। এই নির্দেশনা না মানলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও সতর্ক করেছেন ইয়াকুব। খবর এনডিটিভির। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আমাদের পদে এমন মানুষ দেখতে চাই না।’ তালেবানের জ্যেষ্ঠ নেতার এই বার্তাটির মাধ্যমে তুলে ধরেন যে, তাদের গোষ্ঠীর মাঝে সমস্যা দেখা দিলে তা নিয়ন্ত্রণ করেন। কারণ তারা একটি শান্তির বার্তা ছড়িয়ে দিতে চান। রাজধানী কাবুলের কয়েকজন বাসিন্দাও তালেবানের সদস্যদের হাতে হয়রানির শিকার হয়েছেন বলে জানিয়েছেন। এ ছাড়া তালেবানের সদস্যদের বিরুদ্ধে দেশটির সাবেক সরকারের সদস্য ও অধিকারকর্মীদের ওপর প্রতিহিংসামূলক আচরণের একাধিক খবর পাওয়া গেছে। তালেবানের এই নেতা বলেছেন, তালেবানের কিছু সদস্যরা অনুমতি না নিয়েই হত্যাকাণ্ড চালিয়েছেন। তাই তাদের তিরস্কার করা হয়েছে। এ ধরনের কার্যকলাপ সহ্য করা হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি। এদিকে তালেবানের অনেক সদস্যকে আফগানিস্তানের নানা সরকারি অফিসে অযথা ঘোরাফেরা করতে দেখা গেছে বলে অডিও বার্তায় জানান ইয়াকুব। তাদের অনেককে সেখানে সেলফি তুলতেও দেখা গেছে। এ ধরনের কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করেছেন তালেবানের এই নেতা। তিনি বলেন, ‘কোনো কারণ ছাড়াই বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে সবাই মুঠোফোন বের করে ছবি তুলছে বিষয়টি খুবই আপত্তিকর। এ ধরনের ঘোরাঘুরি এবং ছবি তোলা ও ভিডিও করা ইহকাল-পরকাল কোথাও কাজে আসবে না।’