গাইতেন গান, নাচতেন মঞ্চে, খেলতেন গলফ, দেখতেন ফর্মুলা ওয়ান; কিন্তু বিধাতা তাকে এসবের কোনোদিকে নেয়নি- হয়ে গেলেন পাক্কা টেনিস খেলোয়াড়; সেটাও দেখতে দেখতে। শনিবার রাতে লেইলা ফার্নান্দেজকে হারিয়ে ইউএস ওপেন জিতে যেন ব্রিটিশ রূপকথার জন্মই দিলেন এই এমা রাদুকানু। কী ভেবেছিলেন- অ্যাশ বার্টি, নাওমি ওসাকা, ভিক্টোরিয়া আজারাঙ্কা, সিমোনা হালেপেরা চ্যাম্পিয়ন হতেন। না, এবার তাদের কেউ নন, যে রাদুকানুকে চিনত না কেউ তার হাতেই উঠল আর্থার অ্যাশের ট্রফিটি। যার হাত ধরে টেনিসের নতুন যুগে প্রবেশ করল গ্রেট ব্রিটেনও। ঘুচল ৪৪ বছরের অপেক্ষা। ১৯৭৭ সালে ভার্জিনিয়া ওয়েডের পর এমাই তো প্রথম কোনো ব্রিটিশ, যিনি কিনা মেজরের নারী এককে চ্যাম্পিয়ন হলেন। আর মারিয়া শারাপোভার পর সবচেয়ে কমবয়সী হিসেবে জিতলেন গ্র্যান্ডস্লাম। শৈশব থেকে খেলাধুলার প্রতি ছিল রাদুকানুর বাড়তি টান। যে টানে তিনি বেছে নেন সুন্দর ও ঐতিহ্যের টেনিসকে। স্বপ্ন দেখেন একদিন না একদিন গ্র্যান্ডস্লামের ট্রফি হাতে পাবেন। খুব বেশি সময় অপেক্ষা করতে হয়নি তাকে। কানাডায় বেড়ে ওঠার পর ব্রিটেনে বাবা-মায়ের সঙ্গে স্থায়ী হন। যদিও তার কানাডিয়ান নাগরিকত্ব রয়েছে। সুযোগ পেলেই সেখানে ছুটে যান, খুঁজে ফেরেন অতীত, হারিয়ে যান ছোটবেলার কোনো স্মৃতিতে। ২০১৮ সালটা রাদুকানুর জন্য ছিল একটু বেশিই স্পেশাল। সে বছর নটিংহাম ওপেন দিয়ে অভিষেক হয় টেনিসের পেশাদার অঙ্গনে। এরপর ওয়াইল্ড কার্ডে নাম লেখান উইম্বলডনের মতো বড় টুর্নামেন্টে। সেখান থেকেই তার নবযাত্রা। বলা যায়, ক্যারিয়ারের টার্নিং পয়েন্টও ছিল এই উইম্বলডন। বছরের তৃতীয় গ্র্যান্ডস্লামে নেমেই বাজিমাত। বেশ স্বাচ্ছন্দ্যেই চতুর্থ রাউন্ডে উঠে যান এমা। তবু রাদুকানুকে চেনেনি টেনিস! ইউএস ওপেনে ঠিকই দেখালেন ম্যাজিক। রূপকথার গল্পের মতো এক এক করে বড় বড় তারকাকে আড়াল করে দিন শেষে তিনিই কাড়লেন সব আলো। টেনিসে কি আরেক নতুনের পদধ্বনি? প্রশ্নটা এখন ওঠা অস্বাভাবিক নয়। এখন থেকে ২২ বছর আগে এই ইউএস ওপেনের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিলেন দুই অবাছাই সেরেনা উইলিয়ামস ও মার্টিনা হিঙ্গিস। সেই ম্যাচ জেতেন সেরেনা। এরপর তারা দু'জন তরতর করে টেনিসের তারকা বনে যান। এবার লেইলা আর রাদুকানু খেললেন ফাইনাল। তারাও ছিলেন অখ্যাত। তবে কি আরেকটা নতুনের আবাহন দেখবে টেনিসবিশ্ব। কঠিন একটা পথ পাড়ি দিতে হয়েছে রাদুকানুকে। প্রতিটি পদক্ষেপেই ছিল তার জয়োধ্বনি, হুংকার। বাছাইয়ে তিন ম্যাচের পর মূল পর্বে সাত ম্যাচ- সব মিলিয়ে দশটি ম্যাচে বড়-ছোট অনেক তারকার মুখোমুখি হতে হয় রাদুকানুকে। ইউএস ওপেনের এই দুস্তর পথে তিনি একটি সেটও হারেননি। প্রতিটি ম্যাচের পর স্বপ্নটা বড় করতে থাকেন। তার বিশ্বাস ছিল, কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে ঠিকই ভেড়াবেন তরী। ম্যাচ শেষে যেমনটা বললেন ১৮ বছর বয়সী এই টিনেজার, 'যখন ছোট ছিলাম তখন থেকেই এই পথ বেছে নিয়েছিলাম। আমার মনে একটা কথা সবসময় বাজত- আমি পারব জিততে। গত কয়েক রাত আমার মাথায় সেটাই ঘুরপাক খেয়েছে। যে ভাবনা নিয়ে আমি ঘুমাতে যাই।' র্যাঙ্কিং বিস্ময় টেনিস ইতিহাসে এমন র্যাঙ্কিং বিস্ময় বিরল! এ বছর র্যাঙ্কিংয়ে ঢুকেছিলেন রাদুকানু। জানুয়ারিতে ছিল ৩৪৫। উইম্বলডনে নাম লেখানোর পর ৩৩৮। সেখানে চতুর্থ রাউন্ডে ওঠায় ১৭৯। এরপর ইউএস ওপেনে খেলার যোগ্যতা অর্জন করায় র্যাঙ্কিং দাঁড়ায় ১৫০। এবার ইউএস ওপেন জিতে এক লাফে ২৩ নম্বরে চলে গেলেন তিনি।
Slider
বিশ্ব
জাতীয়
মেহেরপুর জেলা
গাংনী উপজেলা
মুজিবনগর উপজেলা
ফিচার
খেলা
মেহেরপুর সদর উপজেলা
ছবি
ফেসবুকে মুজিবনগর খবর
Mujibnagar Khabor's Admin
We are.., This is a short description in the author block about the author. You edit it by entering text in the "Biographical Info" field in the user admin panel.
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
Labels
- Advertisemen
- Advertisement
- Advertisementvideos
- Arts
- Education
- English News
- English News Featured
- English News lid news
- English News national
- English News news
- English Newsn
- Entertainment
- Featured
- games
- id news
- l
- l national
- li
- lid news
- lid news English News
- lid news others
- media
- national
- others
- pedia
- photos
- politics
- politics English News
- t
- videos
- w
- world
- Zilla News
No comments: