সু চি অসুস্থ, হাজির হতে পারেননি আদালতে
অসুস্থতাজনিত কারণে মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চি সোমবার আদালতের শুনানিতে হাজির হতে পারেননি।
সু চি অসুস্থ, হাজির হতে পারেননি আদালতে
তার আইনি দলের সদস্য ইউ খিন মাউং জাও জানিয়েছেন, সু চি ভালো নেই। তিনি হাঁচি দিচ্ছিলেন, তার চোখ মুখ লাল হয়েছে। তিনি গাড়ি ভ্রমণে অসুস্থবোধ করছেন।
করোনাভাইরাস বিধিনিষেধ ভাঙা ও অবৈধভাবে ওয়াকিটকি রাখার মামলায় রাজধানী নেপিডোর আদালতে সু চির বিচার চলছে। জান্তা সরকার তার বিরুদ্ধে আরও চারটি দুর্নীতির মামলা দায়ের করেছেন।
সোমবার সকালে সুচি তার আইনজীবীদের অসুস্থতার কথা জানিয়ে অনুপস্থিতির আবেদন করেন। আদালত চলাকালে আইনজীবীরা বিচারকরা তার অসুস্থতার কথা অবহিত করেন। আদালতও আগামী সোমবার পর্যন্ত সু চির বিরুদ্ধে তিনটি মামলার শুনানি মুলতবি করেন।
আগামী মঙ্গলবার সু চির দুটি মামলার হাজির হওয়ার দিন ধার্য করা আছে।
এর আগে গত মঙ্গলবার ফেসবুকে পোস্ট করা ভিডিওবার্তায় সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে গণপ্রতিরক্ষা যুদ্ধের ঘোষণা দেন দুয়া লাসি। এতে তিনি সামরিক বাহিনী ও সরকারের কর্মকর্তাদের এনইউজির পক্ষ নেওয়ার আহ্বান জানান।
গেল ফেব্রুয়ারিতে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে অং সান সু চি সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। অভ্যুত্থানের প্রতিবাদে রাজপথে বিক্ষোভের পাশাপাশি জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে গেরিলা লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন বিরোধীরা।
আরও পড়ুন: ছায়া সরকারের ডাকে রাজপথে নেমে নিহত ২০
গত ১ আগস্ট মিয়ানমারের জান্তা সরকারের নেতৃত্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করেন সামরিক শাসক মিন অং হ্লাইং। তিনি আগামী ২০২৩ সালের মধ্যে নতুন বহু দলীয় নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন।
দেশটির মায়াবতী টেলিভিশনে বলা হয়, দেশের দায়িত্ব গতিশীল, সহজ ও কার্যকর করতে কাউন্সিলকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারে রূপ দেওয়া হয়েছে।
মিয়ানমারের সংঘাত বন্ধ এবং জান্তা সরকার ও তার বিরোধীদের মধ্যে আলোচনা ছাড়া কোন পথ নেই বলে মনে করছে জাতিসংঘ। এছাড়াও সমস্যা সমাধানে কূটনৈতিকভাবে জোরালো পদক্ষেপ নিতে আসিয়ানের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র, চীনসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ।
দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশটির সাম্প্রতিক ঘটনাবলীর ওপর নজর রাখা সংগঠন অ্যাসিস্ট্যান্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিকাল প্রিজনার্সের (এএপিপি) হিসাবে মিয়ানমারে অভ্যুত্থানের পর থেকে এ পর্যন্ত অন্তত সাত হাজারের জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে মারা গেছে প্রায় এক হাজার জন।
মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর দাবি, অভ্যুত্থানের পর মারা যাওয়া বিদ্রোহীদের সংখ্যা খুবই কম। এছাড়া সহিংসতায় মারা গেছে সামরিক বাহিনীর সদস্যরাও। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য দেশের জাতীয় নিরাপত্তা হুমকির মধ্যে রয়েছে।
Tag: English News Featured world
No comments: