অকাস' নিয়ে উত্তেজনা, নিন্দা উত্তর কোরিয়ার

ত্রিদেশীয় জোট 'অকাস' নিয়ে উত্তেজনার জেরে এবার যুক্তরাজ্যের সঙ্গে পূর্বনির্ধারিত প্রতিরক্ষা দপ্তরের বৈঠক বাতিল করল ফ্রান্স। তবে স্বার্থের কারণেই ফ্রান্সের কাছ থেকে সাবমেরিন ক্রয় চুক্তি বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন। ' এদিকে চীনের পর এবার নতুন নিরাপত্তা জোট গঠনের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে উত্তর কোরিয়া। অকাস গঠনের কারণে পরমাণু অস্ত্রের প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে যাবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছে দেশটি। ইন্দো প্রশান্ত অঞ্চলে নিরাপত্তা নিশ্চিতে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়ার গঠিত নতুন জোট- অকাস নিয়ে ফ্রান্সের সঙ্গে জোটভুক্ত দেশগুলোর উত্তেজনা বেড়েই চলেছে। ২০১৬ সালে ফ্রান্সের সঙ্গে করা চুক্তি অনুযায়ী ১২টি সাবমেরিন কেনার কথা ছিল অস্ট্রেলিয়ার। তবে নতুন জোট গঠনের পর সেই চুক্তি বাদ দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে পরমাণু শক্তি চালিত সাবমেরিন কেনার নতুন চুক্তি করে অস্ট্রেলিয়ার। অস্ট্রেলিয়ার এ সিদ্ধান্তকে বিশ্বাসঘাতকতা আখ্যা দিয়ে কূটনৈতিকভাবে প্রতিবাদ করে আসছে ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ সরকার। নিজেদের রাষ্ট্রদূতদের ডেকে আলোচনার পর এবার আগামী সপ্তাহে যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে পূর্ব নির্ধারিত বৈঠক বাতিল করেছে ফরাসি প্রতিরক্ষা দপ্তর। আরও পড়ুন: সবচেয়ে কম বয়সীদের টিকা দিচ্ছে কিউবা তবে নতুন জোট গঠনের পক্ষে সাফাই গেয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন। তার দাবি নিজেদের নিরাপত্তার জন্য যেটি ভালো মনে হয়েছে সেটিই করেছে তার দেশ। একইসঙ্গে ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূতকে ডাকার কারণে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান তিনি। স্কট মরিসন বলেন, রাষ্ট্রদূতকে ডেকে নেয়ার বিষয়টি সত্যিই হতাশাজনক। সাবমেরিন বিক্রয় চুক্তি বাতিল হওয়ায় ফ্রান্স নিরাশ হয়েছে। এটা স্বাভাবিক। তবে অস্ট্রেলিয়ার সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে যে সিদ্ধান্ত নেয়া দরকার ছিলো আমরা সেগুলোই করেছি। শুরু থেকেই ইন্দো প্রশান্ত অঞ্চলে নতুন জোট অকাস গঠনের তীব্র নিন্দা জানিয়ে আসছে চীন। এবার সে তালিকায় যুক্ত হয়েছে উত্তর কোরিয়াও। এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে ব্যালিস্টিক ও ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালানো দেশটি জানিয়েছে, নতুন জোট গঠনের কারণে প্রশান্ত অঞ্চলের কৌশলগত যে ভারসাম্য রয়েছে তা নষ্ট হবে। একইসঙ্গে দেশগুলোর মধ্যে পরমাণু অস্ত্র প্রতিযোগিতে বেড়ে যাবে বলেও হুঁশিয়ারি করেছে দেশটি।