পাকিস্তানকে কোনো গুরুত্বই দিচ্ছে না যুক্তরাষ্ট্র
দক্ষিণ এশিয়ায় পাকিস্তানকে কোনো গুরুত্বই দিচ্ছে না যুক্তরাষ্ট্র। কেবল গুরুত্ব পাচ্ছে ভারত।
এ অঞ্চলে চীনকে মোকাবিলা করতেই মার্কিন এ কৌশল। আর তাই তো আজ পর্যন্ত পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে একবারও কথা বলেননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এ নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছে পাক পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
দক্ষিণ এশিয়ায় ভারত হলো যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র। এ দুই দেশেরই বৈরী সম্পর্ক চীনের সঙ্গে। অন্যদিকে চীনের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্ক খুবই মধুর। আর সে জন্য যুক্তরাষ্ট্রও এখন পাকিস্তানকে সেভাবে গুরুত্ব দিচ্ছে না। পাকিস্তানি গণমাধ্যমে এমনই তথ্য উঠে এসেছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মধ্যে তাই এখনো কোনো ফোনালাপ হয়নি। এটি আয়োজনে প্রভাবশালী এক পাকিস্তানি আমেরিকানকে ব্যবহারের চেষ্টা করছে ইসলামাবাদ। নিজস্ব সূত্রের বরাতে এই খবর জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।
সাধারণ প্রথা অনুযায়ী, নতুন নির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন। তবে গত জানুয়ারিতে দায়িত্ব নেওয়ার পরও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে কথা বলেননি জো বাইডেন। তার পূর্বসূরি ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচনী প্রচারণায় পাকিস্তানের সমালোচনা করলেও শপথ নেওয়ার আগেই পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের সঙ্গে কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ফুটব্রিজের তলায় আটকে গেল বিমান! (ভিডিও)
বাইডেন কেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেননি তা নিয়ে হোয়াইট হাউস কোনো স্পষ্ট ব্যাখ্যা দেয়নি। তবে বিশ্লেষকদের ধারণা, এর মধ্য দিয়ে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে পাকিস্তান আর কোনো অগ্রাধিকার নয়। এই ইস্যুতে ইসলামাবাদ হতাশা প্রকাশ করলেও সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন, প্রেসিডেন্ট হয়তো ব্যস্ত রয়েছেন।
এক্সপ্রেস ট্রিবিউন জানিয়েছে, পাকিস্তান এখন অনানুষ্ঠানিক চ্যানেল ব্যবহার করে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছে। এই উদ্দেশে 'প্রভাবশালী' পাকিস্তানি আমেরিকানদের ব্যবহার করে দুই নেতার ফোনালাপ আয়োজনের চেষ্টা চলছে। ওই প্রভাবশালী পাকিস্তানি আমেরিকান প্রেসিডেন্ট বাইডেনের বন্ধু। আর ইসলামাবাদ তার মধ্যস্থতা ব্যবহারের চেষ্টা করছে। তবে সরকারিভাবে এমন প্রস্তাব উত্থাপিত না হওয়ায় এখনই এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চায়নি পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
অতীতেও অনানুষ্ঠানিক চ্যানেল ব্যবহার করে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে পাকিস্তান। ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমলে পাকিস্তান সৌদি যুবরাজ এবং ট্রাম্পের জামাই জ্যারেড কুশনারকে এ কাজে ব্যবহার করে। এ ছাড়া ইমরান খানের দর্শনে মুগ্ধ সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহামও ট্রাম্প-ইমরান সংযোগ স্থাপনে ভূমিকা রাখেন।
No comments: