দুইবার নীতি পরিবর্তন হচ্ছে ইইউ দেশগুলোতে

বছরে দুইবার সময় পরিবর্তনের নীতি পরিবর্তন হচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোতে। আগামীতে একক সময় নীতি গ্রহণ করবে ইইউ দেশগুলো। দুইবার নীতি পরিবর্তন হচ্ছে ইইউ দেশগুলোতে তবে, ইতালি এবছর সময় পরিবর্তন করার জন্য জানিয়েছে ইইউকে। ১৯৭৬ সাল থেকে বছরে ইইউ দেশগুলো তাদের ঘড়ির কাঁটা দুইবার পরিবর্তন করে আসছে। অক্টোবরের শেষ শনিবার দিবাগত রাতে, শীতের জন্য এবং মার্চের শেষ শনিবার দিবাগত রাতে গ্রীষ্মের জন্য ঘড়ির কাঁটায় সময় পরিবর্তন করা হয় দেশগুলোতে। তবে ইইউ থেকে ইউকে বের হয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তের পর, ২০১৮ সালে এক জনমত সমীক্ষায় দেখা যায় প্রায় ৮০ শতাংশ ইউরোপিয়ান নাগরিক ঘড়ির কাঁটায় সময় পরিবর্তনের বিপক্ষে। ২০১৯ সালে ইইউ পার্লামেন্টে, ২০২১ সাল থেকে সময় পরিবর্তন হবে কি না তার উপর ভোটাভুটির আয়োজন করে। সময় পরিবর্তন বন্ধ করার পক্ষে ৪১০ এবং বিপক্ষে ১৯২ ভোট পড়ে। সিদ্ধান্ত হয় দুইবার ঘড়ির কাঁটা পরিবর্তন না করার। আরও পড়ুন: যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী সময় পরিবর্তন না করার পক্ষে ফ্রান্স ও উত্তর ইউরোপের দেশগুলো। তবে ইতালি আনুষ্ঠানিকভাবে শুধু এই বছরই সময় পরিবর্তন করার জন্য জানিয়েছে ইইউকে। ইউরোপের দেশগুলো সম্মিলিতভাবে সময়ের পরিবর্তন না করলে ইইউর সীমান্তবর্তী দেশগুলোর মধ্যে দেখা দিবে বিশৃঙ্খলা। কারণ ইইউর অনেক নাগরিক নিজ দেশে বসবাস করে, প্রতিবেশি দেশে কাজ- কর্ম ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করেন। দেশগুলোর বর্ডার ফ্রি, তাই তারা সকালে গিয়ে আবার সন্ধ্যায় নিজ দেশের ঘরে ফিরে আসেন। এমন ব্যক্তিদের জন্য বারবার সময় পরিবর্তন একটা ভোগান্তির বিষয়ে বলে মনে করেন ইইউর অনেক নেতা। বাংলাদেশের সঙ্গে শীতে ইউরোপের সময়ের ব্যবধান ৫ ঘণ্টা আর গ্রীষ্মে ৪ ঘণ্টা।