বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমেছে
টানা মূল্যবৃদ্ধির পর গতকাল বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমেছে। গত সোমবার শি-বাইডেন ভার্চুয়াল মিটিংয়ের দুই দিন পর উভয় দেশ জ্বালানি সংরক্ষণের বিষয়টি প্রকাশ করলে গতকাল থেকেই তেলের দাম ব্যারেল প্রতি ৮০ ডলারের নিচে নেমে যায়, যা গত ছয় সপ্তাহের মধ্যে সর্বনিম্ন। খবর রয়টার্সের।
জানা গেছে, গতকাল প্রেসিডেন্ট বাইডেন তার দেশের জ্বালানি কোম্পানিগুলোর মুনাফা জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করার ঘোষণা দেন। এরপরই বিশ্বব্যাপী পড়ে যায় ক্রুড অয়েলের দাম। এছাড়া গতকাল চীনও তাদের জ্বালানি সংরক্ষণের বিষয়টি প্রকাশ করলে বেঞ্চ মার্কেটে জ্বালানি তেলের দাম কমতে থাকে।
বিশ্লেষকদের মতে, শীর্ষ এ দুই নেতার বৈঠকের পরই তেলের দাম কমতে শুরু করেছে। কারণ, তাদের বৈঠকের দুদিন পরই তেল সরবরাহকারী দেশগুলো জ্বালানি তেলের সংরক্ষণ কমাতে এবং বৈশ্বিক সরবরাহ বাড়াতে কাজ শুরু হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
লন্ডন বেঞ্চমার্কে গতকাল অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম ৪১ সেন্ট বা শূন্য দশমিক পাঁচ শতাংশ কমে ব্যারেলপ্রতি ৭৯ দশমিক ৮৭ ডলারে নেমে যায়। আর দিনের শুরুতে ব্যারেলপ্রতি ৭৯ দশমিক ৬০ ডলারে নেমে যায়, যা গত ৭ অক্টোবর থেকে গত ছয় সপ্তাহে সর্বনিম্ন দাম। অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের ইউএস ক্রুড অয়েলের দাম ৭০ সেন্ট বা শূন্য দশমিক ৯ শতাংশ কমে ব্যারেলপ্রতি ৭৭ দশমিক ৬৬ ডলারে নেমে যায়। আর দিনের শুরুতে ৭৭ দশমিক ৪০ ডলারে নেমে আসে। ফলে সার্বিকভাবে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম প্রায় চার শতাংশ কমে যায়।
বাংলাদেশ প্রেক্ষাপট
আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছিলো গত অক্টোবর থেকেই। আর এর আগের সাত বছর আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম ছিল অনেক কম। তখন বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) কম দামে তেল কিনে দেশের ভোক্তাদের কাছে বেশি দামে বিক্রি করেছে। সে সময় বিপিসি লাভ করেছে প্রায় ৪৩ হাজার কোটি টাকারও বেশি।
গত সাত বছরে বাংলাদেশে তেলের দাম কমেছে মাত্র একবার প্রতি লিটারে মাত্র ৩ টাকা। কিন্তু, দাম বাড়তে শুরু করার এক মাসের মধ্যেই বিপিসির দেয়া প্রস্তাব মেনে সরকার ডিজেল ও কেরোসিন তেলের দাম বাড়িয়ে দেয় লিটারে ১৫ টাকা বা ২৩ শতাংশ। আর এর প্রতিক্রিয়ায় পরিবহন খাতের ভাড়া বেড়েছে ২৭ শতাংশ।
প্যানডেমিক পরবর্তি অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের সময়ে তেলের দাম বাড়ানোর প্রতি সমর্থন নেই দৃশ্যত কারোরই। কিন্তু বাংলাদেশ সরকার কি ভাবছে সাধারণ মানুষের কথা? নাকি বিপিসি আর পরিবহন খাতের প্রভাবশালী মালিকদের স্বার্থ সংরক্ষণেই ব্যস্ত তা
No comments: