৬ গুণ বেশি সংক্রামক হতে পারে ওমিক্রন

একক ক্লোনের অ্যান্টিবডি কিংবা ককটেল চিকিৎসায় করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন থেকে সেরে ওঠা সম্ভব নাও হতে পারে। দক্ষিণ আফ্রিকা ও অন্যান্য দেশে ভাইরাসটির সংক্রমণের প্রাথমিক বিশ্লেষণের ওপর ভিত্তি করে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডেল্টার চেয়েও ছয়গুণ বেশি সংক্রামক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ধরনটির।-খবর টাইমস অব ইন্ডিয়া ভারতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের জন্য করোনার ডেল্টা ধরনকে দায়ী করা হচ্ছে। ডেল্টা সংক্রমণে প্রাণহানির সংখ্যাও ছিল বিস্ময়করভাবে বেশি। কিন্তু মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি থেরাপিতে এই ভাইরাস নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। মানুষের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতার সুরক্ষাবলয়কে ভেদ করে সংক্রমিত হতে পারে ওমিক্রন। এমনকি টিকার সক্ষমতাকে এড়িয়ে মানুষের শরীরে ছড়িয়ে পড়তে পারে এটি। আইজিআইবির গবেষক মার্সি রোফিনার তথ্যানুসারে, করোনার নতুন ধরনের সঠিকভাবে ৫৩টি পরিবর্তন রয়েছে। যার মধ্যে ৩২টির স্পাইক প্রোটিন রূপ রয়েছে। আরও পড়ুন: ওমিক্রন: ভারতের উচ্চ-ঝুঁকির তালিকায় বাংলাদেশও পর্যবেক্ষণ করা অধিকাংশ ধরন রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়তে পারে। এছাড়া ওমিক্রন অন্যান্য শারীরিক জটিলতাও তৈরি করতে পারে। এই জেনোম সায়েন্স বিশেষজ্ঞ বলেন, ইসরায়েলে অন্তত একটি বি.১.১.৫২৯ আক্রান্ত করোনার টিকার বুস্টার ডোজ নিয়েছিলেন। এতে ধারণা করা হচ্ছে, ওমিক্রন টিকার সুরক্ষাবলয় ভেদ করেও মানুষকে আক্রান্ত করতে পারে। তিনি বলেন, রোগটির তীব্রতা সম্পর্কে এখন পর্যন্ত জানা সম্ভব হয়নি। বর্তমানে এটিই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কাজেই সংক্রমণ তীব্রতা ও তার প্রাণহানির সক্ষমতার প্রতিই এখন বেশি জোর দেওয়া উচিত।