রোহিঙ্গা গণহত্যার দায়ে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
রোহিঙ্গা গণহত্যার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র তার অবস্থান থেকে এক বিন্দুও সরে আসেনি বলে জানান মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন । বুধবার মালয়েশিয়ায় এক সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন বলেন, রাখাইনে গণহত্যার জন্য মিয়ানমারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
২০১৭ সালের আগস্টে মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও দেশটির সরকারের দমন-পীড়নের মুখে বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নেয় সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা। জাতিসংঘসহ একাধিক আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিবেদনে রোহিঙ্গা নির্যাতনের জন্য মিয়ানমার সেনাপ্রধানসহ দেশটির স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চি ও মিয়ানমার সরকারকে সরাসরি দায়ী করা হয়। রোহিঙ্গা নির্যাতনকে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবেও আখ্যা দেয় জাতিসংঘ।
এবার রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যার অভিযোগে মিয়ানমারের জান্তা প্রধানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানালো ওয়াশিংটন। বুধবার মালয়েশিয়া সফররত মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন বলেন, রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমার সেনাবাহিনীর গণহত্যার বিষয়টি এখনো তদন্ত করছে যুক্তরাষ্ট্র।
এ বিষয়ে শিগগিরই জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান তিনি। বলেন, রোহিঙ্গা জাতিগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে যে নির্যাতন-নিপীড়ন করা হয়েছে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
অ্যান্টনি ব্লিংকেন বলেন, মিয়ানমারের বিরুদ্ধে আমরা বরাবরই কঠোর পদক্ষেপ নিয়ে থাকি। ভবিষ্যতে দেশটির বিরুদ্ধে আরো কঠিন ব্যবস্থা নেয়া হবে। আমরা সেই নিয়ে সামনের দিকে এগোচ্ছি। রাখাইনে গণহত্যার বিষয় নিয়ে আমরা তদন্ত করছি। এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এর আগে, গত সপ্তাহে গণতন্ত্রপন্থীদর ওপর নিরাপত্তা বাহিনীর দমন-পীড়নের অভিযোগে মিয়ানমারের জান্তা প্রধান মিন অং হ্লাইংকে মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত করে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত।
সংস্থাটি বলছে, মিয়ানমারে নিরাপত্তা বাহিনী যে গণনৃশংসতা চালিয়েছে, তার দায় সেনাপ্রধানকে নিতেই হবে। আইসিসির ঐ রায়ের পরই এবার মিয়ানমার সেনাপ্রধানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলছে যুক্তরাষ্ট্র।
No comments: