Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

মেহেরপুর জেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

মেহেরপুর সদর উপজেলা

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » হোটেলে অভিযান : মেয়রকে আটকের পর যা বলল র‌্যাব




হোটেলে অভিযান : মেয়রকে আটকের পর যা বলল র‌্যাব

শিক্ষা কর্মকর্তাকে থাপ্পড় দিয়ে দেশজুড়ে ধিক্কার পাওয়া জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ পৌর মেয়র শাহনেওয়াজ শাহানশাহকে রাজধানীর হোটেল ডি মেরিডিয়ানে অভিযান চালিয়ে আটকের পর বিস্তারিত জানিয়েছে র‌্যাব। রাজধানীর উত্তরা ৬ নম্বর সেক্টরে অবস্থিত হোটেল ডি মেরিডিয়ানের কর্মচারী আশরাফ জানান, পৌর মেয়র শাহনেওয়াজ শাহানশাহকে মাদকসহ গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। এই হোটেলে তার সঙ্গে আরও ৩ জন অবস্থান করছিলেন। upay হোটেল ডি মেরিডিয়ানের এন্ট্রি খাতা থেকেও এই ৪ জনের তথ্য পাওয়া গেছে। গতকাল বুধবার (২২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় তারা হোটেলটিতে ওঠেন বলে উল্লেখ রয়েছে। তথ্য বলছে, বুধবার সন্ধ্যায় তারা ৪ জন ৩০৮ নম্বর রুমে ওঠেন। গেস্টের তালিকায় দেখা যায়, আখতারুজ্জামান নামে এক ব্যক্তির নামে রুমটি ভাড়া নেওয়া হয়। রুমের অন্য সদস্যরা হলেন- গোলাম মোহাম্মদ রাজু, পৌর মেয়র শাহনেওয়াজ শাহানশাহ ও মনোয়ার হোসেন। এ বিষয়ে র‍্যাব কর্মকর্তারা বলেন, অভিযান চালিয়ে তাদের ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমরা জানতে পেরেছি তার সঙ্গে আরও কয়েকজন হোটেল রুমে অবস্থান করছিল। আমরা যেসব বিষয় খতিয়ে দেখছি। এদিকে, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে আজ ভোর রাত থেকেই উত্তরার ৬ নম্বর সেক্টরের হোটেল ডি মেরিডিয়ান ঘিরে রেখেছিল র‍্যাব ও গোয়েন্দা সদস্যরা। অভিযান শেষে দুপুর ১২ টার দিকে হোটেল কক্ষ থেকে মাদকসহ গ্রেপ্তার করে শাহনেওয়াজ শাহানশাহকে নিয়ে যাওয়া হয় র‍্যাব-১ এর কার্যালয়ে। এ সময় র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন সাংবাদিকদের বলেন, অভিযান পরিচালনা করে মেয়রের কাছ থেকে মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা দায়ের করা হবে। এ ছাড়া জামালপুরে তার বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত আমরা জানতে পেরেছি তিনি তার দাম্ভিকতার কারণে বিভিন্ন জায়গায় নিজেকে বড়ভাবে উপস্থাপন করতেন। তার বিরুদ্ধে মারধর এবং সরকারি কর্মকর্তা লাঞ্ছনার অভিযোগসহ ৫টি মামলা রয়েছে। তিনি বলেন, হোটেলে এসে শাহনেওয়াজ মাদক নিচ্ছিলেন। তিনি একজন মাদকসেবী। মাদকাসক্ত হওয়ার কারণেই তিনি বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে নিজের দাম্ভিকতা দেখাতে শিক্ষা কর্মকর্তার গায়ে হাত তোলেন। অভিযানে তার কাছ থেকে সাড়ে ৩ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়। র‍্যাব এ বিষয়ে মাদক আইনে একটি মামলা দায়ের করবে। দাম্ভিকতা এবং ক্ষমতার অপব্যবহারে অভ্যস্ত হয়ে ওঠায় তিনি এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আমাদের কাছে তিনি স্বীকার করেছেন। তার বিরুদ্ধে আমরা পুলিশ অ্যাসল্ট মামলা পেয়েছি। বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে এসে আগে কে ফুল দেবে এ তর্কে তিনি শিক্ষা কর্মকর্তাকে থাপ্পড় দিয়েছেন। বরখাস্ত ওই পৌর মেয়র বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল কি না এমন প্রশ্নের জবাবে র‌্যাব কর্মকর্মকর্তা কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, এখন পর্যন্ত বিদেশ পালিয়ে যাওয়ার কোনো তথ্য তার কাছ থেকে পাওয়া যায়নি। তার বিরুদ্ধে মামলা এবং বিজয় দিবসের ওই ঘটনার পর আশ্রয়ের জন্য রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানসহ অনেক ব্যক্তির শরণাপন্ন হয়েছিলেন কিন্তু কেউ তার সহায়তায় এগিয়ে আসেনি। বরং, তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। আটক এড়াতে এমন পরিস্থিতিতে আতঙ্কিত হয়ে বিভিন্নভাবে আত্মগোপনে থেকে অবস্থান পরিবর্তন করছিলেন এই পৌর মেয়র।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply