Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

মেহেরপুর জেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

মেহেরপুর সদর উপজেলা

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » » শতবর্ষে বিদ্রোহী কবিতা




বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম (১৮৯৯-১৯৭৬ইং) বাংলা সাহিত্য, সমাজ ও সংস্কৃতি ক্ষেত্রের অন্যতম শ্রেষ্ঠ অনন্য ধীমান ব্যক্তিত্ব। তিনি ছিলেন বিংশ শতাব্দীর অন্যতম অগ্রণী বাঙালি কবি, ঔপন্যাসিক, নাট্যকার, সঙ্গীতজ্ঞ ও দার্শনিক, যিনি বাংলা কাব্যে যুগান্তকারী ভূমিকা রাখেন; পাশাপাশি তাঁর ভাবনা বিকশিত হয়েছিল সাহিত্যের সব শাখাতে। সঙ্গীত ভুবনেও তিনি উন্মুক্ত করেছেন একটি স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য মণ্ডিত দুয়ার। একদিকে গ্রীষ্মের প্রচণ্ড দাবদাহ, অন্যদিকে বর্ষার আগমনী বার্তাবাহী ঝিরিঝিরি ইলশেগুঁড়ি; একদিকে কালবৈশাখীর প্রচণ্ড মাতম, অন্যদিকে জ্যৈষ্ঠের রসালো ফল আম-জাম-কাঁঠাল-লিচু- আনারসের মিষ্টি সুগন্ধ- এমন প্রাকৃতিক পরিবেশে ১৩০৬ বঙ্গাব্দের ১১ জ্যৈষ্ঠ ২৫ মে ১৮৯৯ ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার আসানসোল মহকুমার চুরুলিয়া গ্রামের বিখ্যাত কাজী পরিবারে দুঃখু মিয়া হয়ে জন্মগ্রহণ করে নানা চড়াই-উৎড়াই মাড়িয়ে দেশপ্রেম ও মহজাগরণের মূলমন্ত্রে উদ্বুদ্ধ-দীক্ষিত হয়ে পরিগণিত হয়েছেন জাতি সত্তার মুক্তির মহানায়কে। রণতুর্যবাদক হিসাবে সবর্দাই লড়েছেন অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে। তিনি ছিলেন একাধারে সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ ও সৈনিক জীবনের পাশাপাশি সোচ্চার ছিলেন তার ক্ষুরধার লেখনীর মাধ্যমে। তার লেখায় ফুটে উঠেছিল বিদ্রোহী আত্মার প্রতিচ্ছবি। তাই তিনি বিশ্ব দরবারে বিদ্রোহী কবি বলে পরিচিত। ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশ দুই বাংলাতেই তাঁর কবিতা ও গান সমানভাবে সমাদৃত। তার কবিতার মূল বিষয়বস্তু ছিল মানুষের ওপর মানুষের অত্যাচার, সামাজিক অনাচার ও শোষণের বিরুদ্ধে সোচ্চার প্রতিবাদ। সৃষ্টি ও সৃজনশীলতার কালজ্য়ী সাক্ষী স্বাধীন জাতিসত্ত্বার অগ্রসেনানী দ্রোহ, প্রেম, সাম্য, মানবতার কবি কাজী নজরুল সাম্রাজ্যবাদী বৃটিশ বেনিয়াদের উপনেবেশিক শাসন, শোষণ, নিপীড়ন, বঞ্চনা আর পরাধীনতার শিকলে বাঁধা ভারতবাসীর জাতীয়তার প্রশ্নে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ছিলেন বলে তাঁর কবিতায় এদের বিরোধিতা ছিল স্বাভাবিক প্রকাশ। ভারতবষের্র মুক্তির আকাঙ্ক্ষা-স্বপ্ন এবং আবেগকে স্পর্শ করেছেন তার প্রতিদিনের অভিজ্ঞতার সঞ্চয় দিয়ে, সেই অভিজ্ঞতার রূপান্তর ঘটিয়েছেন তাঁর দ্যুতিময় প্রতিভার বিচ্ছুরণে শব্দসমবায়ে। ক্রোধ-ঘৃণা-প্রতিশোধস্পৃহা, ভালোবাসা,¯স্নেহ-মমতা এবং মুক্তির বাসনা ব্যক্ত করেছেন বিদ্রোহী কবিতায়। ১৯২১ সালের দিকে প্রথম বিশ্বযুদ্ধত্তর বিশ্বের অভিঘাতে বিশ্বব্যাপী অবক্ষয়, নৈরাজ্য, ব্যক্তির একাকিত্ব এবং রাষ্ট্রীয় ক্ষেত্রে চরম বিশৃঙ্খলা তাঁকে তীব্রভাবে আলোড়িত করে। আধুনিকতাবাদীদের মধ্যে তখন সামষ্টিকের পরিবর্তে ব্যক্তি পর্যায়ে আত্মউন্মোচনের প্রবণতা প্রবল হয়ে উঠে। ঠিক ওই সময়েই ধূমকেতুর মতো কাজী নজরুল ইসলামের অতুলনীয় প্রতিভার প্রকাশ। সময়ও তার জন্য প্রস্তুত ছিল। ফলে তিনি মিটিয়েছেন সে সময়ের সবচেয়ে কঠিন দাবি।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply