তুরস্কের ইতিহাস-ঐতিহ্যের সাক্ষী 'আয়া সোফিয়া মসজিদ'
তুরস্কের ইস্তাম্বুলে প্রায় ১৬শ' বছর ধরে ইতিহাস আর ঐতিহ্যের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে আয়া সোফিয়া। কখনো শাসকের সেন্টার, কখনো গির্জা, মসজিদ আর জাদুঘর হিসেবে এখনো কালের সাক্ষী হয়ে ঠাঁয় দাড়িয়ে এই ইমারত।
৮৬ বছর পর ২০২০ সালে আবারো মসজিদে রূপান্তরিত হয় আয়া সোফিয়া। তবে সব ধর্মের, মানুষই যেতে পারে সেখানে। আর এর নির্মাণ শৈলীতে মুগ্ধ হন দর্শনার্থীরা।
সময়টা ৫৩২ থেকে ৫৩৭ খ্রিস্টাব্দে ক্ষমতাসীন শাসকের দরবার হিসেবে নির্মাণ করা হয় এই আয়া সোফিয়া। একাদশ শতাব্দীতে ক্যথলিক খ্রিস্টানরা দখল করে আয়া সোফিয়াকে গির্জায় রূপান্তর করে।
আরও পড়ুনঃ ইতালিতে-বড়দিন-ও-নববর্ষ-উৎসব-ঠেকাতে-নতুন-জিক্রি
কালের ধারাবাহিকতায় ১৪৫৩ অটোম্যান সম্রাট ফাতেহ সুলতান কনস্ট্যান্টিনোপল দখল করে আয়া সোফিয়াকে মসজিদে রূপ দেন। এরপর দীর্ঘ সময় ৪৮১ বছর বাদে ১৯৩৫ সালে তুরস্ক সরকার আয়া সোফিয়াকে জাদুঘর হিসেব ঘোষণা করে। ৮৬ বছর পরে ২০২০ সালে আবারো মসজিদ হিসেবে প্রতিষ্ঠা পায় আয়া সোফিয়া।
যদিও ষোলো'শ বছর বাদে এসেও এর নির্মাণ শৈলী মুগ্ধ করে দর্শনার্থীদের। মসজিদ হলেও সব ধর্মের মানুষই প্রবেশ করতে পারে এখানে। কালে কালে আয়া সুফিয়ার ভেতরে যুক্ত হয় চোখ ধাঁধানো এমন ঝাড়বাতি। যা পর্যটকদের নজর কাড়তে বাধ্য।
Tag: English News world
No comments: