Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

মেহেরপুর জেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

মেহেরপুর সদর উপজেলা

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড পেল ১৫ ব্যক্তি ও সংগঠন




দেশ ও মানুষের কল্যাণে যেসব তরুণ উদ্যোক্তা ও সংগঠন কাজ করে যাচ্ছে তাদের ‘জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড’ তুলে দিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র ও সিআরআইয়ের ট্রাস্টি রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক। আজ সোমবার সাভারের শেখ হাসিনা জাতীয় যুব উন্নয়ন ইনস্টিটিউটে এ পুরস্কার তুলে দেন তিনি। চূড়ান্ত যাচাই-বাছাই শেষে ১৫ সংগঠন ও ব্যক্তির হাতে তুলে দেওয়া হলো জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড। এটি জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ডের পঞ্চম আসর। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা ও সিআরআইয়ের চেয়ারম্যান সজীব ওয়াজেদ জয়ের ধারণ করা বক্তব্য প্রচার করা হয়। যুব সমাজের অবদানকে স্বীকৃতি দিতে সব সময় তাদের পাশে থাকার কথা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের যুব সমাজ আমাদের মূল শক্তি। আমরা যে নির্বাচনি ইশতেহার দিয়েছি সেই ইশতেহার আমরা আমাদের যুব সমাজকে উৎসর্গ করেছি। আজ তরুণরা নিজেদের তৈরি করবে আগামী দিনের জন্য, যাতে তারা এই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে। আর প্রজন্মের পর প্রজন্ম যাতে এই ধারা অব্যাহত থাকে। একটা কথা মনে রাখতে হবে, আমাদের স্বাধীনতা অর্জনের পেছনে তরুণদের শক্তি, উদ্যোগ, উদ্যম কাজ করেছে।’ বঙ্গবন্ধু তরুণ বয়স থেকে এ দেশের নিপীড়িত-শোষিত মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম শুরু করেছিলেন উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু তরুণদের সব ক্ষেত্রে গুরুত্ব দিয়েছিলেন। আওয়ামী লীগ সবসময় তরুণদের গুরুত্ব দেয়। কারণ তারাই পারে পরিবর্তন আনতে। তরুণরাই পরিবর্তন এনে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এখন বিজ্ঞানের যুগ, প্রতিনিয়ত পরিবর্তন আসছে। প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে, এগিয়ে যেতে হবে। যদি এই পরিবর্তনশীল বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে না পারি, তাহলে পিছিয়ে যেতে হবে। জ্ঞান ও মেধা দিয়ে তরুণরাই সেই পরিবর্তন আনতে পারে।’ দেশ ও মানুষের কল্যাণে যেসব তরুণ উদ্যোক্তা ও সংগঠন কাজ করে যাচ্ছে তাদের পুরস্কৃত করার উদ্যোগের প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, ‘৫০ বছর আগে জাতির পিতা আমাদের স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন। এই দীর্ঘ সময়ে অনেক পথ পার হয়ে আসতে হয়েছে। ষড়যন্ত্র, হত্যাকাণ্ড, স্বৈরাচারী সরকার। তবে এখন ৫০ বছর পর খুব গর্ব করে বলতে পারি, বঙ্গবন্ধুর সেই স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়ন হচ্ছে তার কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে।’ জয় আরও বলেন, ‘যারা নিজেদের পরিশ্রম দিয়ে নিজেদের উদ্যোগে দেশের মানুষকে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন তারা সোনার বাংলার একটি উদাহরণ। সোনার বাংলা হচ্ছে আমাদের দেশের মানুষের উন্নয়নের স্বপ্ন। আমার দেশের উন্নয়নের স্বপ্ন। দেশের প্রতিটি মানুষ যাতে সুস্থ থাকে, শান্তিতে থাকে, অভাব না থাকে; সেটাই হচ্ছে সোনার বাংলার স্বপ্ন। সেই স্বপ্ন পূরণ করার জন্য আমাদের আওয়ামী লীগ সরকার পরিশ্রম করে যাচ্ছে।’ দেশের জন্য কাজ করা তরুণ উদ্যোক্তা ও সংগঠনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে জয় বলেন, ‘আমাদের ভিশন ২০২১ হচ্ছে সেই স্বপ্নের একটি ভিশন। ডিজিটাল বাংলাদেশ সেই স্বপ্নের একটা উদ্যোগ। তবে শুধু সরকারের ওপর নির্ভরশীল থাকলে হবে না। আমাদের দেশে যারা দেশের জন্য পরিশ্রম করছে, তারা সময় দিচ্ছে, অর্থ দিচ্ছে…তারা কারো কাছে হাত পেতে নয়…তাদের ইচ্ছে হচ্ছে বিভিন্ন মানুষের সমস্যা সমাধান করা। তারাই হচ্ছে আমাদের সোনার বাংলার স্বপ্ন।’ প্রধানমন্ত্রী এই উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আমরা নিজের পায়ে দাঁড়িয়েছি। লড়াই করে রক্ত দিয়ে স্বাধীনতা অর্জন করেছি। কেউ আমাদের স্বাধীনতা হাতে তুলে দেয়নি। তেমনি সোনার বাংলাও আমরা গড়ছি নিজেদের পরিশ্রম, নিজেদের মেধা দিয়ে। আমরা কারও ওপর নির্ভরশীল না। তাই আমি অত্যন্ত গর্বিত যে, আমাদের দেশে ইয়াং বাংলার পার্টিসিপেন্টের মতো উদ্যোগ আছে, মেধাবী-তরুণ ছেলেমেয়েরা আছে; যারা দেশের জন্য পরিশ্রম করে যাচ্ছে।’ পুরস্কার তুলে দেওয়ার আগে বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র ও সিআরআইয়ের ট্রাস্টি রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি সমাজের জন্য কাজ করা তরুণ উদ্যোক্ত ও ব্যক্তির প্রশংসা করেন বলেন, ‘আপনারা যেভাবে কাজ করছেন এভাবে কাজ করে যাবেন। আমরা আপনাদের কাছ থেকে অনেক উৎসাহ ও সাহস পাই। আপনারাই হচ্ছেন আমাদের ভবিষ্যৎ।’ এ সময় দেশের সব সেক্টরে আরও বেশি তরুণদের হাতে দায়িত্ব দেওয়ার সময় এসেছে মন্তব্য করে ববি বলেন, তরুণদের সামনে নিয়ে আসতে হবে, তাদের সাপোর্ট আসতে হবে। রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ইয়াং বাংলা ও সিআরআইয়ের পক্ষ থেকে তরুণদের পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। দেশের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে তরুণ প্রজন্মকে সরাসরি অন্তর্ভুক্ত করার উদ্দেশে তাদের নতুন ধারণা ও উদ্ভাবনগুলোকে তুলে আনার জন্যই ২০১৪ সালের ১৫ নভেম্বর আত্মপ্রকাশ করে ইয়াং বাংলা প্ল্যাটফর্ম। ৫০ হাজারের বেশি স্বেচ্ছাসেবী এবং ৩১৫টির বেশি সংগঠনকে সঙ্গে নিয়ে চলা এ সংগঠনটির সদস্য সংখ্যা বর্তমানে প্রায় তিন লাখ। এই প্ল্যাটফর্ম থেকে তরুণদের ক্ষমতায়ন ও দেশ গঠনে তাদের অবদান তুলে ধরার জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। তরুণদের কাজের স্বীকৃতির জন্য জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া উদ্যোক্তা সৃষ্টি করতে প্রশিক্ষণ ও নানা ধরনের সহায়তা করছে ইয়াং বাংলা। রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিআরআইয়ের ট্রাস্টি হিসেবে প্রতিষ্ঠানটি দেখভাল করেন। সিআরআইয়ের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ইয়ং বাংলার মাধ্যমে তরুণদের ক্ষমতায়ন ও উদ্বুদ্ধকরণের কাজ করছেন তিনি। সিআরআই থেকে প্রকাশিত নীতি-নির্ধারণী ম্যাগাজিন হোয়াইটবোর্ডের প্রধান সম্পাদক রাদওয়ান মুজিব।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply