জার্মানিতে করোনার সংক্রমণ-মৃত্যুতে ভাঙছে একের পর এক রেকর্ড
জার্মানিতে রেকর্ড এক লাখের ওপর সংক্রমণের পাশাপাশি একদিনে ৮শ' মানুষের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে দেশটির স্বাস্থ্য বিভাগ। রাজধানী বার্লিনসহ অন্যান্য অঞ্চলের হাসপাতাগুলোর আইসিইউতে রোগীর সংখ্যা বাড়ায় চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা।
জার্মানিতে রেকর্ড এক লাখের ওপর সংক্রমণের পাশাপাশি একদিনে ৮শ' মানুষের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে দেশটির স্বাস্থ্য বিভাগ। রাজধানী বার্লিনসহ অন্যান্য অঞ্চলের হাসপাতাগুলোর আইসিইউতে রোগীর সংখ্যা বাড়ায় চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা।
করোনার ভয়াবতায় জার্মানি যেন পরিণত হচ্ছে অদৃশ্য এক মৃত্যু উপত্যকায়। সংক্রমণ ও মৃত্যুতে ভাঙ্গছে একের পর এক রেকর্ড। শুক্রবারও করোনা কেড়ে নেয় ৮শ' প্রাণ।
মৃত্যু ঝুকিতে থাকা নাগরিকদের চিকিৎসা শয্যা ধীরে ধীরে সংকুচিত হচ্ছে। ১৬টি অঙ্গরাজ্যের আড়াই হাজারেরও বেশি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের আইসিইইতে নেই তিল ধারণের ঠাই।
ভয়াবহ পরিস্থতি রাজধানী বার্লিন ও ব্রান্ডেনবুর্গসহ আশপাশের অঞ্চলের হাসাপাতালগুলোর। বার্লিনের প্রায় ৫শ' ৫৮টি আইসিইউ শয্যায় খালি না থাকায় জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে থাকা রোগীদের পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে অন্যান্য অঞ্চলে।
আরও পড়ুনঃ লেবাননে-ফিলিস্তিনি-শরণার্থী-ক্যাম্পে-ভয়াবহ-বিস্ফোরণ-বহু-হতাহত
হাভেলহোয়ে হাসপাতাল পরিচালক হারাল্ড মাথেস বলেন, দেখেন শুধু আমার এখানে নয় আমাদের বার্লিনের অন্য হাসপাতাল ও ক্লিনিকেও আইসিইউ সংকট চলছে। পর্যবেক্ষণ শয্যার একটাও খালি নেই বললে চলে। বাধ্য হয়ে অন্য অঞ্চলে রোগীদের পাঠাতে হচ্ছে। সোজা কথায় আমাদের করোনার পরিস্থিতি একেবারে অনুকুলে নয়।
এদিকে করোনার চতুর্থ ঢেউয়ে এসে নিবিড় পর্যবেক্ষণ শয্যার সংকট নিরসনে জাতীয় বাজেটে স্বাস্থ্য খাতে আরো বরাদ্দের বিষযটি বিবেচনা করছে নতুন জোট সরকার। তবে টিকা গ্রহণে অনীহার কারণে দেশজুড়ে করোনার এমন ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করেন নতুন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
বছরজুড়ে জার্মানিতে মহামারি করোনার ভ্যাকসিন গ্রহণের বিষয়টি প্রশাসনের পক্ষ থেকে বারবার বলা হলেও মোট জনসংখ্যার মাত্র ৬৯ দশমিক ৪ শতাংশ নাগরিক টিকার আওতায় এসেছেন। বাকিদের ক্ষেত্রে কড়া বিধিনিষেধসহ টিকাগ্রহণে বাধ্যতামূলক আইন প্রণয়ণের কথা ভাবছে সদ্য ক্ষমতায় আসা ওলাফ শলজ সরকার।
Tag: English News world
No comments: