ভারতে থাবা বসাচ্ছে করোনা, দিল্লিতে রেকর্ড শনাক্ত
ভারতে আবারও বাড়তে শুরু করেছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। ওমিক্রন আসার পর দিল্লিসহ গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোয় করোনার সংক্রমণ বেড়ে গেছে। এতে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্বেগ বেড়েছে। দেশটির পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে গত ছয় দিনে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ১০ গুণ বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। আর শুধু কলকাতায় দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে দুই হাজার।
দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, শনিবার সকাল পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ভারতে নতুন করে ২২ হাজার ৭৭৫ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত মে মাসের পর শনিবার দিল্লিতে করোনাভাইরাস শনাক্তে নতুন রেকর্ড হয়েছে। এদিন শনাক্ত ৫০ শতাংশ বেড়েছে, নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে ২ হাজার ৭১৬ জন। শনাক্তের হার প্রায় ৩ দশমিক ৬৪।
চলতি সপ্তাহে গত সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণ ছিল ৪৩৯ জন। শনিবার (১ জানুয়ারি) সেটা বেড়ে ছাড়িয়েছে চার হাজারের গণ্ডি। অস্বাভাবিক হারে সংক্রমণ বাড়ছে হাওড়া, হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। শুধু রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণের হারও ১২ শতাংশ ছাড়িয়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে মৃত্যুও।
দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যার বিচারে জেলাভিত্তিক তালিকায় কলকাতার পরেই রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। ওই জেলায় শুক্রবার নতুন আক্রান্ত পাঁচশ’র কাছে পৌঁছেছিল। শনিবার সেটি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৮৮ জনে।
আরও পড়ুন: ইউরোপে ভয়ংকর রূপ নিচ্ছে করোনা, শনাক্ত ১০ কোটি
হাওড়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় দৈনিক আক্রান্ত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৪৪ জনে। হুগলিতে শুক্রবার নতুন সংক্রমণ ১০০ জন ছাড়িয়েছিল। শনিবার তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬৫ জনে। বুধবার দক্ষিণ ২৪ পরগনায় নতুন সংক্রমণ ১০০ জন ছাড়িয়েছিল। শনিবার তা আরও বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯৮ জনে।
অস্বাভাবিক হারে পশ্চিম বর্ধমানেও বাড়ছে সংক্রমণ। শুক্রবার এ জেলায় দৈনিক আক্রান্ত ছিল ১৩৮। শনিবার তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৪১ জনে। এ ছাড়া দৈনিক সংক্রমণ অনেকটা বেড়েছে নদিয়া, বীরভূম এবং বাঁকুড়ায়। উত্তরবঙ্গের মালদহে শুক্রবারের তুলনায় দৈনিক সংক্রমণ শনিবার কিছুটা কমলেও কোচবিহার, দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি এবং দক্ষিণ দিনাজপুরে বেড়েছে।
এ ছাড়া, দেশটির ঘনবসতিপূর্ণ শহরগুলোয় দ্রুতগতিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। এর মধ্যে রাজধানী নয়াদিল্লি, মুম্বাই ও পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতা উল্লেখযোগ্য।
Tag: English News lid news world
No comments: