পরমাণু যুদ্ধে কেউ জয়ী হতে পারবে না’
পরমাণু যুদ্ধ ও অস্ত্রের আরও সম্প্রসারণ বন্ধ করা উচিত বলে একমত হয়েছে বিশ্বের শীর্ষ পাঁচ পরাশক্তি চীন, রাশিয়া, ব্রিটেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্স। সোমবার (৩ জানুয়ারি) ক্রেমলিনের প্রকাশিত এক যৌথ বিবৃতির বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এমন খবর দিয়েছে।
‘
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের এই পাঁচ সদস্য বলছে, তাদের প্রাথমিক দায়িত্ব হচ্ছে, পরমাণু শক্তিধর দেশগুলোর মধ্যে যুদ্ধ এড়িয়ে যাওয়া আর কৌশলগত ঝুঁকিও কমিয়ে আনা। নিরাপত্তার পরিবেশ তৈরি করতে সব দেশের সঙ্গে কাজ করতেও আগ্রহ দেখিয়েছে তারা।
বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা দৃঢ়প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলছি যে পরমাণু যুদ্ধে জয়ী হওয়া যাবে না। এ যুদ্ধে কেউ জয়ী হতে পারবে না। এ ধরনের যুদ্ধ কখনো হওয়া উচিত না।
পরমাণু অস্ত্রের ব্যবহারে সুদূরপ্রসারী ফল রয়েছে জানিয়ে পাঁচ পরাশক্তি এই বিরল বিবৃতিতে দিয়েছে। তারা জানিয়েছে, আমরা জোরালভাবে বলছি যে পরমাণু অস্ত্র যতদিন থাকবে, ততদিন তা প্রতিরক্ষা উদ্দেশ্যে, আগ্রাসন ও যুদ্ধপ্রতিরোধে ব্যবহার করা উচিত।
চীনা উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী মা ঝাওজু বলেন, পারস্পরিক আস্থা বাড়াতে এই যৌথ বিবৃতি সহায়ক হবে। এতে বড় বড় শক্তিধর দেশগুলোর মধ্যকার প্রতিযোগিতাকে সহযোগিতা ও সমন্বয়ে রূপ দেবে।
তিনি বলেন, পরমাণু অস্ত্র প্রথম ব্যবহারের নীতিতে নেই চীন।
ফ্রান্সও একটি বিবৃতি দিয়ে পরমাণু অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ ও নিরস্ত্রীকরণের প্রতি জোর দিয়েছে। দেশটি জানিয়েছে, পরমাণু অস্ত্র নিয়ন্ত্রণে তারা দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় পদক্ষেপ অব্যাহত রাখবে।
কথিত পি-ফাইভ দেশগুলোর এই বিবৃতি এমন এক সময় প্রকাশ করা হয়েছে, যখন যুক্তরাষ্ট্র ও মস্কোর দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। শীতল যুদ্ধের পর তাদের সম্পর্ক আর কখনো এতোটা খারাপ ছিল না।
আরও পড়ুন: ইরানের পরমাণু আলোচনা সোমবার শুরু
এছাড়াও বেশ কিছু ইস্যুতে মতপার্থক্যের দরুন চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক ভালো যাচ্ছে না। চীনের পরমাণু অস্ত্র বৃদ্ধি নিয়ে নভেম্বরে একটি প্রক্ষেপণ প্রকাশ করেছে মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রধান কার্যালয় পেন্টাগন।
এতে বলা হয়েছে, ২০২৭ সাল নাগাদ চীন ৭০০টি ওয়ারহেড ও ২০৩০ সালের মধ্যে তা এক হাজার পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে। নতুন একটি অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ চুক্তিতে রাশিয়ার সঙ্গে চীনকে অংশ নিতে বলেছে ওয়াশিংটন।
Tag: English News Featured world
No comments: