জাতিসংঘে বাংলাদেশে গণহত্যার বিচার দাবি ভারতের
১৯৭১ সালে বাংলাদেশে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বর গণহত্যার বিচার চেয়েছে ভারত।
দ্য ইকোনমিক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে ২০২২ সালের প্রথম উন্মুক্ত বিতর্কে একাত্তরে বাংলাদেশে গণহত্যা ও ২০০৮ সালে মুম্বাই হামলায় জড়িত ‘রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকদের’ বিচার দাবি করেন জাতিসংঘের ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি টিএস ত্রিমূর্তি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারত বহুদিন ধরেই ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের ৩০ লাখ মানুষকে হত্যার দায়ে পাকিস্তানি বাহিনীর বিচার চেয়ে আসছে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে একাধিকবার চেষ্টা করা হলেও পাকিস্তানের সামরিক কর্মকর্তাদের আজও আন্তর্জাতিক আদালতে বিচারের মুখোমুখি করা যায়নি।
টিএস ত্রিমূর্তি বলেন, আমরা এরই মধ্যে শহুরে যুদ্ধ ও সন্ত্রাসী হামলার প্রভাব দেখতে পাচ্ছি। সশস্ত্র সংঘাতগুলো অবশ্যই আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসংঘ সনদের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে রাজনৈতিক-কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে সমাধান করতে হবে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত সব ধরনের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে অটল থাকা এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডকে বৈধতা দেওয়ার যেকোনো প্রচেষ্টা প্রত্যাখ্যান করা।
আরও পড়ুন: যথাযোগ্য মর্যাদায় ভারতের ৭৩তম প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপন
জাতিসংঘ মহাসচিবের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শহরাঞ্চলের সংঘাতে পাঁচ কোটির বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিস্ফোরক অস্ত্রের ব্যবহার বেসামরিক নাগরিকদের মারাত্মক প্রভাবের উচ্চঝুঁকিতে রেখেছে। আফগানিস্তান, লিবিয়া, সিরিয়া, ইয়েমেনের মানুষজন যুদ্ধের ধ্বংসলীলা প্রত্যক্ষ করছে। আরও অনেক দেশ রয়েছে যারা এখনো অতীতের গণহত্যার মতো সামরিক কর্মকাণ্ডের ফল ভুগছে, যেমন ১৯৭১ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের (বাংলাদেশ) সঙ্গে হয়েছিল।
পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ১৯৭১ সালে ৯ মাস বাংলাদেশে নজিরবিহীন গণহত্যা চালায়। বাঙালির স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা চিরতরে দমন করার জন্য এ হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়। স্বাধীনতার পর দেশে সন্ধান পাওয়া গেছে গণহত্যায় ব্যবহৃত পাঁচ হাজার বধ্যভূমি। তাতে ৩০ লাখ বাঙালি হত্যাযজ্ঞের শিকার হলেও আজও এই হত্যাযজ্ঞের আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত মেলেনি।
Tag: English News world
No comments: