ইউক্রেন ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের জরুরি বার্তা
ইউক্রেনে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস কর্মীদের আত্মীয়দের দেশত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ক্রমবর্ধমান ইউক্রেন সংকটের মধ্যে এই নির্দেশনা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট খুব জরুরি নয় এমন কর্মী ও মার্কিনিদের খুব দ্রুত ইউক্রেন ছাড়ার জোর আহ্বান জানিয়েছে।
এক বিবৃতিতে বলা হয়, রাশিয়া ইউক্রেনের বিরুদ্ধে বড় ধরনের সেনা অভিযানের পরিকল্পনা করছে। তবে রাশিয়া সেই পরিকল্পনার কথা অস্বীকার করেছে।
স্টেট ডিপার্টমেন্ট এও জানিয়েছে, চলমান এই উত্তেজনার মধ্যে লোকজন যেন রাশিয়াও ভ্রমণ না করে। এতে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য হয়রানি ও অশান্তি সৃষ্টি করা হতে পারে।
স্টেট ডিপার্টমেন্টের একজন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছে, ইউক্রেনে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস খোলা রয়েছে। কিন্তু হোয়াইট হাউস থেকে বারবার সম্ভাব্য আক্রমণের বিষয়ে সতর্ক করা হচ্ছে। কারণ এ পরিস্থিতিতে মার্কিন নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়ার মতো অবস্থানে সরকার নেই।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনে ‘পুতুল সরকার’ বসানোর পরিকল্পনার রাশিয়ার
সামরিক প্রতিরক্ষা জোট ন্যাটোর প্রধান সতর্ক করে জানিয়েছে, ইউক্রেন সীমান্তে রুশের এক লাখ সেনা সমাবেশ করা হয়েছে, যা পরিকল্পিত একটি নতুন যুদ্ধের রূপ নিতে পারে। অন্যদিকে ইউক্রেনকে সহযোগিতায় যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো বিভিন্ন ‘যুদ্ধ উপকরণ’ পাঠিয়েছে। সবশেষ বাইডেন প্রশাসনের পাঠানো ২০ কোটি ডলারের প্রতিরক্ষা সহায়তা কিয়েভে পৌঁছেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি ইউক্রেন ইস্যুতে বেশ সরব হয়েছে ব্রিটেনও। ইউক্রেনে হামলার বিষয়ে রাশিয়াকে ফের সতর্ক করেছেন ব্রিটিশ উপপ্রধানমন্ত্রী ডমিনিক রাব। হামলা হলে কঠোর জবাবের হুঁশিয়ারি দেন তিনি। একইসঙ্গে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনে পুতিনের ‘অনুগত পুতুল সরকার’ বসানোর পরিকল্পনার অভিযোগ তোলেন তিনি।
এদিকে সংঘাত বন্ধে আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছেন পোপ ফ্রান্সিস। চলমান দ্বন্দ্ব নিরসনে শান্তির জন্য বুধবারকে প্রার্থনার দিন ঘোষণা করেন তিনি।
Tag: English News Featured world
No comments: