Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

সাম্প্রতিক খবর


খেলাধুলা

বিনোদন

ফিচার

mujib

w

যাবতীয় খবর

জিওগ্রাফিক্যাল

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » » » নাটকীয় ফাইনালে বরিশালকে হারিয়ে ৩য় শিরোপা কুমিল্লার




নাটকীয় ফাইনালে বরিশালকে হারিয়ে ৩য় শিরোপা কুমিল্লার ফের বাজিমাত! বিপিএল অষ্টম আসরের নাটকীয় ফাইনালে ফরচুন বরিশালকে হারিয়ে তৃতীয়বারের মতো শিরোপা জিতে নিল আগের দুইবারের চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। টুর্ণামেন্ট শুরুর আগে দেয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে পারলেন না সাকিব আল হাসান। তাঁকে বঞ্চিত করে কুমিল্লাকে আরও একবার শিরোপার আনন্দে মাতালেন ইমরুল কায়েস। শিরোপা নির্ধারণী হাইভোল্টেজ এ ম্যাচে ব্যাট হাতে রীতিমত তাণ্ডব চালিয়ে ফিফটি হাঁকান সুনীল নারিন। পরে মঈন আলী ও আবু হায়দার রনির ব্যাটিং দৃঢ়তায় শেষ পর্যন্ত বরিশালকে ১৫২ রানের লক্ষ্য দিতে সক্ষম হয় কুমিল্লা। জবাব দিতে নেমে সৈকত আলীর তাণ্ডব ও গেইলের ব্যাটে শেষ ওভার পর্যন্ত জয়ের পথে থাকলেও শ্বাসরুদ্ধকর শেষ বলে প্রয়োজনীয় ৩টি রানই নিতে পারেনি ৮ উইকেট হারানো বরিশাল। দৌড়ে দুই রান নিতে গিয়ে রান আউট হন মুজিব। ফলে ১ রানের রুদ্ধশ্বাস জয়ের মাঠ মাতায় ইমরুল কায়েস, মুস্তাফিজ, শহিদুলরা। ম্যাচ সেরা হন সুনীল নারিন। আর সিরিজ সেরা হন ১৬ উইকেটের সঙ্গে ২৮৪ রান করা বরিশাল অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। ১৫২ রানের মাঝারি লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে মুস্তাফিজের দেয়া চার ওয়াইডে প্রথম ওভারে মাত্র ৪ রান তুলে শুরু করে বরিশাল। পরের ওভারে শহিদুলকে চার্জ করতে গিয়েই মিড অনে ডু প্লেসিসের তালুবন্দি হয়ে ফেরেন ফিজের ৬ বল খেলেও কোনো রান নিতে না পারা মুনিম শাহরিয়ার (০)। যাতে মাত্র ৫ রানেই প্রথম উইকেট হারায় বরিশাল। তবে সৈকত আলীর তাণ্ডবে চার-ছক্কার ফুলঝুরিতে কাঙ্ক্ষিত জয়ের লক্ষ্যেই ছুটতে থাকে সাকিবের দল। ফাইনালে সুযোগ পেয়েই ব্যাট হাতে ঝড় তুলে মাত্র ২৬ বলে ফিফটি আদায় করে নেন সৈকত। যাতে পাওয়ার প্লে-তে পঞ্চাশ টপকানো বরিশালের সংগ্রহ ৭ ওভারে ১ উইকেটে ৬৫ রান। তবে ফিফটির পর আর বেশিদূর যেতে পারেননি সৈকত আলী। আউট হন ৫৮ রান করেই। তাঁর ৩৪ বলের এই মারকুটে ইনিংসে ছিল ১১টি দর্শনীয় চারের সঙ্গে একটি ছক্কার মার। সৈকত আউট হলে খোলস ছেড়ে বের হন গেইল। তবে ক্যারিবীয় দানব ৩১ বলে ৩৩ করে আউট হলে দলের হাল ধরতে পারেননি তেমন আর কেউই। সাকিব ৭ বলে ৭, শান্ত ১৫ বলে ১২, সোহান ১৩ বলে ১৪ এবং ব্রাভো ২ বলে ১ রান করে আউট হলে যেন পথ হারায় বরিশাল। তবুও তৌহিদ হৃদয় ও মুজিব উর রহমানের জুটিতে শেষ ওভারে জয়ের জন্য ১০ রান প্রয়োজন পড়ে দলটির। শহিদুলের করা প্রথম পাঁচটি বলে ৭টি রান নিলে শেষ বলে ৩ রান দরকার পড়ে বরিশালের। কিন্তু শ্বাসরুদ্ধকর ওই বলটি মিড অনে ঠেলে দিয়ে দুই রানের জন্য দৌড়ালে এক রান পূরণ করেই রান আউট হন মুজিব (৪)। ৯ বলে ৯ রান করে অপরপ্রান্তে পরাজয়ের গ্লানিতে মুষড়ে পড়েন হৃদয়। কুমিল্লার পক্ষে নারিন ও তানভীর ২টি করে এবং মুস্তাফিজ ও শহিদুল একটি করে উইকেট লাভ করেন। এর আগে শুক্রবার বিকেলে ‘হোম অব ক্রিকেট’ খ্যাত মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন কুমিল্লার অধিনায়ক ইমরুল কায়েস। অধিনায়কের এ সিদ্ধান্তকে ছক্কা-চারের ফুলঝুরিতে স্বাগত জানান ব্যাট হাতে ক্রিজে আসা সুনীল নারিন। আগের ম্যাচে মাত্র ১৩ বলে ফিফটি হাঁকানো এই ব্যাটারকে এদিনও ওপেন করতে পাঠায় কুমিল্লা টিম ম্যানেজমেন্ট। তাঁদের সেই আস্থার প্রতিদান দিতে বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি মারকুটে এই ক্যারিবিয়ান। মুজিব-উর-রহমানের করা প্রথম ওভারেই একটি ছক্কা ও দুটি চারে নারিন তুলে নেন ১৭টি রান। এরপর শফিকুলের ওভারেও দুটি ছক্কা ও একটি চারে আদায় করেন আরও ১৬ রান। যাতে মাত্র ১০ বলেই ৩৩ রানে পৌঁছে নারিনের ব্যক্তিগত সংগ্রহ, আর দলের স্কোর পৌঁছে যায় ৩৬-এ। এরপর সাকিব এসে মাত্র ৪ রান দিয়ে শেষ বলে লিটনকে বোল্ড করে কিছুটা হলেও কুমিল্লার লাগাম টেনে ধরার চেষ্টা করেন। তবে থামাতে পারেননি নারিনকে। ব্রাভোর করা চতুর্থ ওভারে একটি চারে মাত্র ছয় রান নিলেও সাকিবের দ্বিতীয় ওভারে টানা তিন চারের মারে আবারও ১৬ রান তোলেন নারিন। একইসঙ্গে পূরণ করেন এবারের আসরে নিজের দ্বিতীয় ফিফটিটাও। আগের ম্যাচে মাত্র ১৩ বলে ফিফটি করা নারিন এদিন ফিফটি পূরণ করেন ২১টি বলে খেলে। তবে আগের দিনের মত এদিনও আউট হন এরপরেই। তাঁর আগে ক্যারিবীয় এই পিঞ্চহিটারের ব্যাট থেকে আসে ৫৭টি মূল্যবান রান। তাঁর এই ২৩ বলের তাণ্ডুবে ইনিংসে ছিল সমান পাঁচটি করে চার ও ছক্কার মার। মেহেদী হাসান রানার শিকার হয়ে নারিনের আউটের মধ্যদিয়েই দ্বিতীয় উইকেট হারায় কুমিল্লা। তারপরও দলটি পাওয়ার প্লে-তে তুলে নেয় ৭৩ রান। তবে এরপরই বিপর্যয় নেমে আসে কুমিল্লার ইনিংসে। একে একে আউট হয়ে ফেরেন মাহমুদুল হাসান জয় (৮), ফ্যাফ ডু প্লেসিস (৪), ইমরুল কায়েস (১২) ও আরফুল হক (০)। যার ফলে একাদশ ওভার (১০.৩) শেষ হওয়ার আগেই ৯৫ রানেই ষষ্ট উইকেট হারিয়ে বসে দলটি। তবে মঈন আলী ও আবু হায়দার রনির ব্যাটিং দৃঢ়তায় শেষ পর্যন্ত ১৫১ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়তে সক্ষম হয় কুমিল্লা। মঈন ৩২ বলে ৩৮ রানে এবং রনি ২৭ বলে ১৯ রান করে আউট হন। এ দুজনের ৫১ বলে ৫৩ রানের লড়াইয়ের পর অবশ্য শেষ ওভারে তাণ্ডব চালান শহিদুল। একটি রান আউটসহ ওই ওভারে মাত্র তিনটি উইকেট তুলে নিয়ে মাত্র ৩টি রান খরচ করেন এই পেসার। যার ফলে দেড়শ রানের বেশি আগাতে পারেনি কুমিল্লা। বরিশালের পক্ষে মুজিব উর রহমান ও শহিদুল ২টি উইকেট শিকার করেন। এছাড়া সাকিব, ব্রাভো ও রানা নেন একটি করে উইকেট। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স একাদশ মাহমুদুল হাসান জয়, লিটন দাস, ইমরুল কায়েস (অধিনায়ক), ফ্যাফ ডু প্লেসিস, মঈন আলী, আরিফুল হক, সুনীল নারিন, শহিদুল ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান, তানভীর ইসলাম ও আবু হায়দার রনি। ফরচুন বরিশাল একাদশ মুনিম শাহরিয়ার, ক্রিস গেইল, নাজমুল হোসাইন শান্ত, সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), তৌহিদ হৃদয়, ডোয়াইন ব্রাভো, সৈকত আলী, নুরুল হাসান সোহান, মুজিব উর রহমান, মেহেদী হাসান রানা ও শফিকুল ইসলাম।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply