মিয়ানমারে দুই গ্রামে আগুন দিল সেনারা, সু চির বিরুদ্ধে আরও মামলা

মিয়ানমারে দুই গ্রামে আগুন দিল সেনারা, সু চির বিরুদ্ধে আরও মামলা মিয়ানমারের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের দুটি গ্রাম পুড়িয়ে দিয়েছে দেশটির সেনারা। জান্তা সরকারকে মেনে না নেওয়ায় গ্রাম দুটি পুড়িয়ে দেয় তারা।

এদিকে বিদ্রোহীদের ওপর ব্যাপক দমন-পীড়নের মধ্যেই ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চির বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা করেছে সামরিক সরকার। এদিকে আসিয়ানের আসন্ন বৈঠকে মিয়ানমারের সামরিক সরকারের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন না করায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানিয়েছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর জোটটি। মিয়ানমারে গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে জান্তাবিরোধী বিক্ষোভ করে আসছে দেশটির সাধারণ মানুষ। অন্যদিকে, বিদ্রোহীদের দমাতে বিভিন্ন অঞ্চলে বিমান হামলাসহ ব্যাপক দমন-পীড়ন চালিয়ে আসছে সামরিক সরকার। এখনো অনেক রাজনৈতিক নেতা কারাবন্দি রয়েছেন। কারাগারে আছেন ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চিও। গণতন্ত্রের জন্য একসময় বাহবা পাওয়া এই নেত্রীর বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা দিয়ে যাচ্ছে মিন অং হ্লাইং সরকার। সবশেষ বৃহস্পতিবার সু চির বিরুদ্ধে নতুন একটি মামলা করা হয়েছে। এ নিয়ে ১১ নম্বর মামলার মুখোমুখি হলেন সু চি। দুর্নীতির নতুন মামলায় বলা হয়, সু চির মায়ের নামে একটি দাতব্য প্রতিষ্ঠানে সাড়ে পাঁচ লাখ ডলার অবৈধভাবে গ্রহণ করেন সাবেক এই স্টেট কাউন্সিলর। নতুন এই অভিযোগের বিচার কবে শুরু হবে, সে বিষয়ে এখনো কিছু জানানো হয়নি। আরও পড়ুন: গণহত্যার দায় স্বীকার মিয়ানমারের তবে এরই মধ্যে কোভিড বিধি লঙ্ঘনসহ সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে উসকানির অভিযোগের বিভিন্ন মামলায় ছয় বছরের সাজা দেওয়া হয়েছে অং সান সু চিকে। তার বিরুদ্ধে দায়ের করা প্রত্যেক মামলায় অন্তত ১৫ বছর করে সাজা হতে পারে বলে জানিয়েছে গণমাধ্যম। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় মিয়ানমারের জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী বিভিন্ন অভিযোগ আনলেও নিজেদের সিদ্ধান্তে অটল নেপিডো সরকার। এমনকি মিয়ানমারে শান্তি ফেরাতে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর জোট আসিয়ানের কাছে দেওয়া প্রতিশ্রুতিও রক্ষা করেনি তারা। এ অবস্থায় চলতি মাসে আসিয়ানের আসন্ন পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে মিয়ানমারকে যোগদানে বিরত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জোটটি।