গড়েছেন: রাজীব ১৬, বাজপেয়ি ১৭, মনমোহন ২৩, বেচেছেন: মোদি ২৩ সংস্থা বিক্রিতেই পারদর্শী মোদি নয়াদিল্লি: অতীতের প্রত্যেক প্রধানমন্ত্রী শুধুই গড়েছেন। আর বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বেচে চলেছেন। দেশের ঐতিহ্য ভাঙায় পারদর্শী তিনি। বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতির অভিভাষণের উপর আলোচনায় রাজ্যসভায় নরেন্দ্র মোদিকে এই ভাষাতেই তীব্র আক্রমণ করল
। তাও রীতিমতো পরিসংখ্যান দিয়ে। প্রধানমন্ত্রীকে সরকারি সংস্থা বিক্রির কারিগর তকমা দিলেন কংগ্রেসের রাজ্যসভার এমপি রিপুণ বোরা। আর বললেন, ‘রাজীব গান্ধী প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন ১৬টি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা তৈরি করেছিলেন। অটলবিহারী বাজপেয়ি ১৭টি, আর মনমোহন সিং গঠন করেছিলেন ২৩টি সরকারি সংস্থা। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় আসার পর একটিও রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা গঠন করেননি। উল্টে তিনি ২৩টি সংস্থা বিক্রির ব্যবস্থা পাকা করেছেন। সেই তালিকা আরও দীর্ঘ হচ্ছে। আগে সরকারি সংস্থায় চাকরি পেত বহু মানুষ। এখন শুধু ছাঁটাই। ভারতের ১৩৮ কোটি জনসংখ্যার মধ্যে ৮৪ কোটি মানুষের আয় বিপুল কমেছে। বহু মানুষ জীবিকা হারিয়েছেন। সবথেকে বেশি কাজের সুযোগ বন্ধ হয়েছে রেলে। ছাত্রদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে কেন্দ্র। অথচ ইউপিএ সরকার ২৭ কোটি মানুষকে দারিদ্রসীমার উপরে নিয়ে এসেছিল।’ বুধবার রাহুল গান্ধী যেখানে শেষ করেছিলেন, এদিন কার্যত সেখান থেকেই আক্রমণের ব্যাটন হাতে তুলে নিয়েছিলেন রিপুণ বোরা। আর এক্ষেত্রে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার থেকে বেশি ভালো অস্ত্র অন্য কিছু হতে পারত না। জওহরলাল নেহরু থেকে ইন্দিরা গান্ধীর জমানা পর্যন্ত একের পর এক রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা দিনের আলো দেখেছিল। সবকটি পেট্রলিয়াম সংস্থা, তাবৎ ব্যাঙ্ক ও বিমা কোম্পানির জাতীয়করণ হয়েছিল এই সময়সীমায়। পরে রাজীব গান্ধী, নরসিমা রাও, অটলবিহারী বাজপেয়ি ও মনমোহন সিংয়ের আমলে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বিলগ্নিকরণ যেমন হয়েছিল, তেমনই গড়ে উঠেছিল একের পর এক নতুন সংস্থাও—কন্টেনার কর্পোরেশন, ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডর, গেইল ইন্ডিয়া, ইন্ডিয়া ইনফ্রাস্ট্রাকচার ফিনান্স কোম্পানি অথবা একঝাঁক পেপার কর্পোরেশন। এই সংস্থাগুলির হাত ধরেই উন্নয়নের উড়ান নিয়েছিল ভারত। একে একে এসেছে কোঙ্কন রেলওয়ে কিংবা দিল্লি মেট্রো রেল কর্পোরেশন, ম্যাঙ্গালোর রিফাইনারি, সাউথ ইস্টার্ন কোলফিল্ডস এবং বিএসএনএল। এই সবই মোদি জমানার সূর্যোদয়ের আগে। ২০১৬ সালের পর থেকেই তালিকা তৈরি শুরু হয় রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বিলগ্নিকরণের। এ পর্যন্ত বিক্রির জন্য ৩৬টি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার তালিকা তৈরি হয়েছে। গত বছরের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত বৃহৎ আটটি সংস্থা বিক্রি হয়ে গিয়েছে। অথচ ঘটনাচক্রে বহু সরকারি সংস্থা লাভ করছে এবং সরকারকে নিয়ম করে ডিভিডেন্ডও দিচ্ছে। ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসের হিসেব, শুধু চলতি আর্থিক বছরেই ১২টি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা লভ্যাংশ দিয়েছে নরেন্দ্র মোদি সরকারকে। এই সবই সাধারণ সংস্থা। নবরত্ন, মিনিরত্ন সংস্থার হিসেব আলাদা। বাজপেয়ির আমলে প্রথম পৃথক বিলগ্নিকরণ মন্ত্রক চালু হয়েছিল। কিন্তু মোদি সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ওই মন্ত্রক ছাড়াই বিক্রির জোয়ার এসেছে। ১ লক্ষ ৭৫ হাজার কোটি টাকার সংস্থা বিক্রির পরিকল্পনা শুধু চলতি আর্থিক বছরের। ধুঁকতে থাকা অর্থনীতির কোষাগার ভরাতে এটাই এখন ধ্যানজ্ঞান মোদির।Slider
বিশ্ব
জাতীয়
সাম্প্রতিক খবর
খেলাধুলা
বিনোদন
ফিচার
mujib
w
যাবতীয় খবর
জিওগ্রাফিক্যাল
ফেসবুকে মুজিবনগর খবর
Home
»
English News
»
lid news
»
world
» অতীতের প্রত্যেক প্রধানমন্ত্রী শুধুই গড়েছেন আর সংস্থা বিক্রিতেই পারদর্শী মোদি---- কংগ্রেস
Mujibnagar Khabor's Admin
We are.., This is a short description in the author block about the author. You edit it by entering text in the "Biographical Info" field in the user admin panel.
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
Labels
- Advertisemen
- Advertisement
- Advertisementvideos
- Arts
- Education
- English News
- English News Featured
- English News lid news
- English News national
- English News news
- English Newsn
- Entertainment
- Featured
- games
- id news
- l
- l national
- li
- lid news
- lid news English News
- lid news others
- media
- national
- others
- pedia
- photos
- politics
- politics English News
- t
- videos
- w
- world
- Zilla News
No comments: