জেলেনস্কিকে বাইডেনের ফোন, কথা হলো ৩০ মিনিটেরও বেশি

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে ফোনে ৩০ মিনিটেরও বেশি সময় ধরে কথা হয়েছে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির। জো বাইডেনই জেলেনস্কিকে ফোন করেন। তাদের মধ্যে ইউক্রেনে রাশিয়ার চলমান আগ্রাসনের বিভিন্ন দিক নিয়ে কথা হয়। মঙ্গলবার হোয়াইট হাউজ থেকে জানানো হয়, রাশিয়ার আগ্রাসনে ইউক্রনের নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক সহায়তা, মানবিক সাহায্যের বিষয়ে কথা হয়েছে তাদের। এসময় জেলেনস্কি বাইডেনের প্রতি অনুরোধ করেন, যেন তিনি পুতিনকে কঠোর বার্তা পাঠান। ইউক্রেনকে বিশেষ কিছু উল্লেখ করে জেলেনস্কি বলেন, আমি মনে করি ইউরোপ ইউক্রেনকে হারাতে চায় না। টুইটারে তিনি আরও বলেন, আমেরিকা ও মিত্র দেশগুলোর রাশিয়াবিরোধী নিষেধাজ্ঞা এবং প্রতিরক্ষা সাহায্যের ব্যাপারে কথা হয়েছে। আমাদের এই আক্রমণকারীকে রুখে দিতে হবে। এদিন যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য মিত্র দেশগুলো কীভাবে রাশিয়ার উপর নতুন নিষেধাজ্ঞা দিবে এবং চলতি নিষেধাজ্ঞা কীভাবে রাশিয়ার অর্থনীতিতে গভীর প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে তা নিয়েও দুজনের মধ্যে কথা হয়। এদিকে ইউক্রেনে রাশিয়ার বিরুদ্ধে কোনো বিদেশি যোদ্ধা অংশ নিতে চাইলে সাময়িকভাবে তাদের ভিসা লাগবে না। আগ্রাসী রাশিয়ার নাগরিক ছাড়া যে কেউ ইউক্রেনের আন্তর্জাতিক প্রতিরক্ষা বাহিনীতে যোগ দিতে পারবে। সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে জেলেনস্কি এক টেলিভিশন বার্তায় এ কথা জানান। আরও পড়ুন- জ্বালানি সংকটে যে পদক্ষেপ বিশ্ব মোড়লদের জেলেনস্কি বলেন, যেকোনো বিদেশি যারা ইউক্রেনে রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করতে চান তাদের জন্য ভিসা ফ্রি ভ্রমণ ১ মার্চ থেকে চালু হবে। এ সময় তিনি খারকিভে সোমবার রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ আনেন। জেলেনস্কি বলেন, শান্তিপ্রিয় ইউক্রেনীয়দের হত্যা করার জন্য পৃথিবীর কেউ আপনাদের ক্ষমা করবে না। আরও পড়ুন: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ: তিন কারণে নড়েচড়ে বসল চীন গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে হামলা চালানোর নির্দেশ দেন। এরপর ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় রুশ বাহিনী। ধ্বংস করে বিভিন্ন বিমানঘাঁটি ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। হামলা থেকে বাঁচতে ইউক্রেন থেকে পালাচ্ছে লাখো মানুষ। এরইমধ্যে বেশ কয়েকটি শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে সেনারা।