তেল উৎপাদনে বিশ্বের শীর্ষে যুক্তরাষ্ট্র, তিনে রাশিয়া

শীর্ষ তিন তেল উৎপাদনকারী দেশের পতাকা। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশে ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরু করে রুশ সৈন্যরা। ইউক্রেনে অভিযানের কারণে রাশিয়ার ওপর একের পর এক নিষেধাজ্ঞা দিতে থাকে পশ্চিমা বিভিন্ন দেশ। রাশিয়ার তেলের ওপর সরাসরি নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ইউরোপেও বন্ধ হওয়ার উপক্রম রাশিয়ান তেল সরবরাহ। যেখানে অঞ্চলটির বেশিরভাগ দেশই রাশিয়ান তেলের ওপর নির্ভর করে। এদিকে রাশিয়ান তেল সরবরাহে বিঘ্ন ঘটায় বিশ্বেও বাড়তে শুরু করেছে তেলের দাম। কারণ, রাশিয়া বিশ্বে তৃতীয় সর্বোচ্চ তেল উৎপাদন করে থাকে। আর ইউরোপ অঞ্চলে ভ্লাদিমির পুতিনের দেশই তেল উৎপাদন ও সরবরাহে প্রথম স্থানে। তবে রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞার কারণে যুক্তরাষ্ট্রে তেলের দাম বাড়লেও এই দেশই কিন্তু তেল উৎপাদনে শীর্ষ দেশ। যুক্তরাষ্ট্র দৈনিক ১৮.৬১ মিলিয়ন ব্যারেল তেল উৎপাদন করে। যা বিশ্বের মোট উৎপাদনের ২০ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা সৌদি আরব দৈনিক ১০.৮১ মিলিয়ন ব্যারেল তেল উৎপাদন করে থাকে। যা মোট উৎপাদনের ১২ শতাংশ। তৃতীয় স্থানে থাকা রাশিয়া দৈনিক উৎপাদন ১০.৫০ মিলিয়ন ব্যারেল তেল। যা মোট উৎপাদনের ১১ শতাংশ। চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে থাকা বিশ্বের বড় দুই দেশ কানাডা ও চীন যথাক্রমে উৎপাদন করে ৫.২৩ মিলিয়ন ব্যারেল ও ৪.৮৬ মিলিয়ন ব্যারেল তেল। ৪.১৬ মিলিয়ন ব্যারেল তেল উৎপাদন করে ইরাকের অবস্থান ষষ্ঠ। ৩.৭৮ মিলিয়ন ব্যারেল তেল উৎপাদন করে আরব আমিরাত। অষ্টম স্থানে থাকা ব্রাজিল দৈনিক উৎপাদন করে ৩.৭৭ মিলিয়ন ব্যারেল তেল। ৩.০১ মিলিয়ন ব্যারেল ও ২.৭৫ মিলিয়ন ব্যারেল তেল উৎপাদন করে এই তালিকার নবম ও দশম স্থানে আছে ইরান ও কুয়েত। সূত্র: আন্তর্জাতিক শক্তি সংস্থা ও আল-জাজিরা।