Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

সাম্প্রতিক খবর


খেলাধুলা

বিনোদন

ফিচার

mujib

w

যাবতীয় খবর

জিওগ্রাফিক্যাল

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » » » ইউক্রেন যুদ্ধ যুক্তরাষ্ট্রের যে ‘বন্ধুদের’ মুখোশ খুলে দিল




তাদের মনে করা হতো যুক্তরাষ্ট্রের হাতের ‘পুতুল’। যুক্তরাষ্ট্রের ইশারাতেই তারা চলে। তবে কথায় আছে সংকটের সময় ‘বন্ধু’ চেনা যায়। ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনে যুক্তরাষ্ট্রের কাছেও প্রকাশিত হয়েছে তাদের দীর্ঘদিনের দুই ‘বন্ধুর’ প্রকৃত চেহারা। বার্তা সংস্থা এএফপি বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইংক্রেন সংকট মধ্যপ্রাচ্যের যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ মিত্র সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে একটি অকল্পনীয় বিভেদ সামনে এসেছে। যুক্তরাষ্ট্রের কাছে খুলে গেছে ওই ‘বন্ধুদের’ মুখোশ। যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদপত্র দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের একটি প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে বুধবার বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছিল, ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরু করায় রাশিয়া থেকে জ্বালানি আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বিকল্প উৎস হিসেবে সৌদি আরব ও আরব আমিরাত থেকে জ্বালানি ও তেল আমদানির কথা ভাবছে ওয়াশিংটন। এ নিয়ে কথা বলতে চেয়ে দুদেশের নেতাদেরকে ফোনেই পাচ্ছেন না যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। মধ্যপ্রাচ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে জানিয়েছিলেন, সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের যুবরাজ শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল-নাহিয়ানের সঙ্গে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন কথা বলার চেষ্টা করছেন। তিনি ফোনালাপ আয়োজনের নির্দেশ দেন। এ লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধ উভয় নেতাই প্রত্যাখ্যান করেছেন। ধনী উপসাগরীয় দেশগুলোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘদিনের সুসম্পর্ক থাকলেও বাইডেন প্রশাসন যখন একের পর এক অবরোধ আরোপ করে অর্থনৈতিক ও কূটনীতিকভাবে মস্কোর টুটি চেপে ধরার চেষ্টা করছে, তখন প্রকাশ্যেই ওয়াশিংটনকে সমর্থন করা থেকে বিরত রয়েছে তারা। তেলসমৃদ্ধ দেশগুলোর এই নতুন অবস্থান নিয়ে চলছে জল্পনা। ২০১৮ সালে সৌদি রাজতন্ত্রের সমালোচক জামাল খাসোগি হত্যাসহ যুক্তরাষ্ট্রে মোহাম্মদ বিন সালমানের নামে একাধিক মামলা করা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারের সময় সৌদি আরবের কঠোর সমালোচনা করে মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য সৌদিকে মূল্য চোকাতে হবে বলে জানিয়েছিলেন বাইডেন। অবশ্য বাইডেনের সঙ্গে সৌদি যুবরাজের তিক্ততার ঘটনা নতুন নয়। ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে বাইডেন প্রিন্স সালমানের বাবা কিং সালমানের সঙ্গে কথা বলেছেন। বাইডেন সরাসরি ক্রাউন প্রিন্সের সঙ্গে কোনো চুক্তিতে যেতে অস্বীকার করেছেন বলে ব্লুমবার্গ জানিয়েছে। ২০১৮ সালে ওয়াশিংটন পোস্টের কলামিস্ট জামাল খাশোগিকে হত্যার পর থেকে প্রিন্স সালমানকে এখনও যুক্তরাষ্ট্রে একজন আগন্তুক হিসেবে মনে করা হয়। বাইডেনের কথাতেও এর ইঙ্গিত মিলেছিল। গত অক্টোবরে কারো নাম উল্লেখ না করে বাইডেন জানিয়েছিলেন, মধ্যপ্রাচ্যের অনেকেই আমার সঙ্গে কথা বলতে চায়। তবে তারা আমার সঙ্গে কথা বলল কী না সে ব্যাপারে আমি চিন্তিত নই। অন্যদিকে সৌদি প্রিন্সও সম্প্রতি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তার সম্পর্কে কিছু ভুল বুঝেছেন কি না তা নিয়ে তিনি মোটেও চিন্তিত নন। বাইডেন তার ব্যাপারে ভুল বোঝেন কী না জিজ্ঞাসা করা হলে এক সংবাদ মাধ্যমকে প্রিন্স সালমান বলেছিলেন, সোজা কথায় তাতে আমার কিছু আসে যান না। এদিকে, বর্তমানে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রেসিডেন্টের দায়িত্বে থাকা সংযুক্ত আরব আমিরাতও গত মাসে ইউক্রেনে আগ্রাসনের নিন্দা জানিয়ে একটি মার্কিন-আলবেনিয়ান খসড়া প্রস্তাবে ভোট দেওয়া থেকে বিরত ছিল। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের এক সময়ের উপসাগরীয় মিত্ররা এখন ইয়েমেনে ইরান-সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে এবং রাশিয়া ও চীনের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করেছে। অন্যদিকে সংযুক্ত আরব আমিরাতও ইরানের চিরশত্রু ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করেছে। এসব বিষয় এটাই ইঙ্গিত দিচ্ছে যে এক সময় যুক্তরাষ্ট্রের ‘হাতের পুতুল’ মনে করা দেশগুলোর মধ্যেই বর্তমানে মাথা চাড়া দিচ্ছে নিজেদের স্বাধীন সত্তা।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply