Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

সাম্প্রতিক খবর


খেলাধুলা

বিনোদন

ফিচার

mujib

w

যাবতীয় খবর

জিওগ্রাফিক্যাল

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » » আছড়ে পড়ল রুশ ক্ষেপণাস্ত্র, খাবার কিনতে বেরিয়ে নিহত ভারতীয় ছাত্র




ইউরোপীয় ইউনিয়নে ইউক্রেন, চাপে পুতিন আছড়ে পড়ল রুশ ক্ষেপণাস্ত্র, খাবার কিনতে বেরিয়ে নিহত ভারতীয় ছাত্র কিয়েভ ও নয়াদিল্লি: প্রথম শান্তি বৈঠক চলাকালীনই শুরু হয়েছিল ক্ষেপণাস্ত্র হামলা। সোমবার রাত যত গড়িয়েছে, বেড়েছে বিস্ফোরণের তীব্রতা। দু’চোখের পাতা এক করতে পারেনি ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভের বাসিন্দারা। মঙ্গলবার, যুদ্ধের ষষ্ঠ দিনের সকালেও রুশ আগ্রাসনের সেই ধারা ছিল অব্যাহত। আর দু’দেশের এই অসম যুদ্ধের খেসারত দিতে হল ২১ বছরের এক ভারতীয় ডাক্তারি পড়ুয়াকে। এদিন সকালেই খারকিভের গভর্নর হাউসের সামনে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় রাশিয়া। সেই বিস্ফোরণেই মৃত্যু হয় কর্ণাটকের বাসিন্দা নবীন শেখরাপ্পা জ্ঞানগৌদার সহ ১০ জনের। নবীন খারকিভ ন্যাশনাল মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের চূড়ান্ত বর্ষের ছাত্র। যুদ্ধের জেরে শহর ছাড়তে পারেননি। বন্ধুদের সঙ্গে আশ্রয় নিয়েছিলেন একটি বাঙ্কারে। রাতের কার্ফু উঠতেই দুই বন্ধুকে নিয়ে তিনি খাবারের খোঁজে বের হন। গভর্নর হাউসের অদূরে একটি সুপার মার্কেটের লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তখনই বিস্ফোরণ হয়। ঘটনাস্থলে প্রাণ হারান নবীন। আহত হয়েছেন আরও এক ভারতীয়। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি টুইটারে একথা জানান। খবর পাওয়া মাত্র নিহত পড়ুয়ার বাড়িতে ফোন করে সমবেদনা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। টুইটারে শোকপ্রকাশ করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে এই প্রথম কোনও ভারতীয়ের মৃত্যু হল। খারকিভে ক্ষেপণাস্ত্র হামলাকে ‘যুদ্ধাপরাধ’ আখ্যা দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদামির জেলেনস্কি। রাশিয়াকে ঠেকাতে ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) যোগ দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন তিনি। এদিন রাতেই সেই অনুরোধ গ্রহণ করে ইইউ। তারপরেই জানা যায়, বুধবার ফের শান্তি বৈঠকে বসবে যুযুধান দু’দেশ। পরিস্থিতিতে যে এদিকে গড়াচ্ছে, তা বুঝতে পারছিল সবপক্ষই। সোমবার উপগ্রহ চিত্রে পর্যন্ত স্পষ্ট দেখা গিয়েছে, রাশিয়া হামলা চালাতে আরও মরিয়া। ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের উত্তর দিক থেকে এগিয়ে আসছে রুশ সেনার সেনা কনভয়। ৬৪ কিমি দীর্ঘ সেই কনভয়ে রয়েছে ট্যাঙ্ক ও অন্যান্য সমরাস্ত্রের গাড়ি। অন্যদিকে, দক্ষিণ বেলারুশের দিক থেকেও মস্কোর সেনার এগিয়ে আসার দৃশ্য ধরা পড়েছে উপগ্রহ চিত্রে। খারকিভ এবং খারসন শহর প্রায় ঘিরে ফেলেছে রুশ ফৌজ। এদিন ইউক্রেনের অন্য একটি শহর ইভানকিভের একটি সেনাঘাঁটি ধ্বংস করেছে তারা। এছাড়াও গত ২৪ ঘণ্টায় ২০ জন শিশু সহ ৪০০ সাধারণ নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। যদিও নয়াদিল্লি দাবি করেছে, এখন কিয়েভে একজনও ভারতীয় নেই। রাষ্ট্রসঙ্ঘের দাবি, ইতিমধ্যে ৬ লক্ষ ৬০ হাজার মানুষ ইউক্রেন ছেড়েছেন। যুদ্ধবিধ্বস্তদের জন্য ১৭০ কোটি মার্কিন ডলারের অর্থসাহায্য প্রয়োজন। রুশ সেনার কনভয় যত এগচ্ছে, ততই বদলে যাচ্ছে কিয়েভ। এদিন সকালেই রাজধানীর টিভি টাওয়ার উড়িয়ে দিয়েছে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র। ফলে টিভির সম্প্রচার হচ্ছে না। শহরে জায়গায় জায়গায় কাটা হয়েছে ট্রেঞ্চ। রাশিয়ার হুঁশিয়ারি, কিয়েভের সাধারণ মানুষ যেন গোয়েন্দা ও সামরিক পরিকাঠামো থেকে দূরে থাকেন। অর্থাৎ একটা বিষয় স্পষ্ট, হামলার তীব্রতা আরও বাড়াবেন পুতিন। রুশ সেনার গতিবিধি অনুযায়ী, কিয়েভের ভিক্ট্রি অ্যাভিনিউ দিয়েই ঢুকবে তারা। ভিক্টর রুডনিচেঙ্কো নামে এক ব্যাঙ্ককর্মী জানাচ্ছেন, ‘আমরা মলোটভ ককটেল আর বুলেট দিয়ে রুশ সেনাকে অভ্যর্থনা জানাব। ওরা ফুল পাবে শুধু কবরে।’ এই মুহূর্তে সমীকরণ বদলাতে পারে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। ইউক্রেনের সদস্যপদের তুরুপের তাস তাদেরই হাতে।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply