Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

সাম্প্রতিক খবর


খেলাধুলা

বিনোদন

ফিচার

mujib

w

যাবতীয় খবর

জিওগ্রাফিক্যাল

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » » রুশ সাঁজোয়া যানে ‘জেড’ লেখা নিয়ে কেন মাতামাতি




ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে, ইউক্রেনে রাশিয়ার সর্বাত্মক হামলার ঠিক আগে। ইংরেজি ‘জেড’ বর্ণ খচিত ট্যাংক, যোগাযোগ ট্রাক ও রকেট লাঞ্চার সীমান্তের দিকে যাচ্ছে—এমন একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিকমাধ্যমে। এরপর থেকে প্রতীকটির রহস্য উদঘাটনে উঠেপড়ে লেগেছেন সামরিক বিশেষজ্ঞ ও গবেষকেরা। রুশদের গাড়িতে আনাড়ি হাতে লেখা ‘জেড’, গায়ের কালো হুডিতেও বর্ণটি আঁকা। কোটের কলারের ভাঁজ করা লেপেলেও লোকজন ব্রৌচ পরছেন জেড অক্ষরের। রাশিয়াজুড়ে প্রতীকটি রীতিমত ফ্যাশনে রূপ নিয়েছে। রোমান বর্ণমালার বদলে স্লাভ ভাষায় অক্ষরটি লেখায় এ নিয়ে জল্পনা-কল্পনা শুরু করেন ডিজিটাল গোয়েন্দারা। তারা আভাস দিয়েছিলেন, এই শব্দটি দিয়ে মূলত রাশিয়ার পরবর্তী পদক্ষেপের ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। সামরিক বিশেষজ্ঞদের ভাষ্য, ‘জা পোবেডি’ হিসেবে ‘জেড’ বলতে বোঝায় ‘রাশিয়ার বিজয়’। আর জাপাদ অর্থ পশ্চিমা বিশ্ব। সাঁজোয়া যানের গায়ে ‘জেড’ লেখার অনেকে অর্থ করেছেন, ‘জোরো স্কোয়াড’। আবার অনেকের মতে, ‘জেড’ বলতে ক্রেমলিনের নিজস্ব পদ্ধতির ‘এক নম্বর নিশানা’ বোঝাচ্ছে। এক নম্বর নিশানা হচ্ছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলোনিস্কি। তদন্ত সংস্থা বেরিংক্যাটের গবেষক আরিক টোলের বলেন, এই ‘জেড’ প্রতীকের অর্থ নিয়ে আমাদের কোনো ধারণা নেই। তবে এটি দিয়ে অনেক খারাপ পরিস্থিতিকে বোঝানো হতে পারে।আট বছর আগে পূর্ব ইউরোপে যুদ্ধের সুর চড়া হয়ে ওঠার পর রাশিয়ার সামরিক অভিযানগুলো পর্যবেক্ষণ করছে বেরিংক্যাট। ইউক্রেনের সীমান্তে ‘জেড’ লেখা সামরিক যান জড়ো হওয়ার পর থেকে তা পর্যবেক্ষণ করছেন রুশ প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ রব লি। লন্ডনের কিংস কলেজের ওয়ার স্টাডিজ বিভাগের এই পিএইচডি গবেষক বলেন, প্রতীকটি দিয়ে দেশের হয়ে লড়াই করা সামরিক কন্টিনজেন্টকে শনাক্ত করা হতে পারে। সীমান্তে সমবেত যানগুলোতে পেইন্টিং মার্কার দিয়ে বড় করে ‘জেড’ বর্ণটি লেখা রয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন টাস্কফোর্স ও সেনাদলের যানেও বর্ণটি আঁকা। ইউক্রেনে রাশিয়ার রক্তক্ষয়ী অভিযানের নির্দেশ দেওয়ার পর থেকে বর্ণটি রহস্যময়ী সামরিক প্রতীক হয়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে এসেছে। মানুষের মধ্যে চলছে এ নিয়ে এক ধরনের উন্মাদনা। রুশ যুদ্ধে জনসমর্থনের বিষয়টিও এই বর্ণ দিয়ে প্রকাশ করা হতে পারে। বিশ্লেষকরা বলছেন, একটি বর্ণ দিয়ে ভীতিকর জাতীয়তাবাদী আন্দোলনকে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রেসিডেন্ট পুতিন ও ইউক্রেনে রাশিয়ার প্রভাব বিস্তারে তার পদক্ষেপের যে এখনো যে জনপ্রিয়তা আছে—প্রতীকটি ফ্যাশনে রূপ নেওয়ায় তা স্পষ্ট হয়ে ওঠেছে। আরও পড়ুন: ইউক্রেনে বিমান হামলায় শিশুসহ নিহত ১০ উইলসন সেন্টারের সাবেক গবেষক কামিল গালিভ বলেন, ইউক্রেন আগ্রাসনের পক্ষে জনসমর্থন পেতে কর্তৃপক্ষ অনেক অপপ্রচার চালিয়েছে। তারা সেটি অর্জনও করেছেন। প্রতীকটি অল্প কয়েকদিন আগে উদ্ভাবন করা হয়েছে। এটি রাশিয়ার নতুন পরিচয় ও মতাদর্শের প্রতীক এখন। রাশিয়ায় যুদ্ধমাঠে রুশ সেনাদের হতাহত নিয়ে খবর প্রকাশে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। ভুয়া খবর ছড়ালে কঠোর সাজার ব্যবস্থা রেখে আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। এ সময়ে যুদ্ধের পক্ষে জনসমর্থন বাড়াতে ব্যাপক প্রচারে নেমেছেন পুতিন সমর্থকেরা। রাশিয়ার দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর তাতারস্থানের কাজানের একটি হাসপাতালে ক্যানসারে আক্রান্ত শিশুদের তুষারের মধ্যে জেড আকারে দাঁড়াতে বলা হয়েছিল। ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানে তাদের সমর্থন প্রকাশে এই নির্দেশ দেওয়া হয়। হাসপাতালটি পরিচালনা করা ক্যানসার চ্যারিটি প্রতিষ্ঠানের প্রধান ভ্লাদিমির ভ্যাভিলভ বলেন, হাসপাতালের কর্মীরাসহ সব রোগী সেখানে দাঁড়িয়েছিলেন। তারা জেড বর্ণের আকারে দাঁড়িয়ে সামরিক বাহিনীর সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছেন। তাদের এক হাতে ছিল জাতীয় পতাকা, অন্যটি মুষ্টিবদ্ধ করে উপর দিকে ওঠানো ছিল। রুশ পার্লামেন্ট দুমায়ও এখন জেড বর্ণের উন্মাদনা ঢুকে পড়েঠে। ২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে-পরে প্রখ্যাত রক্ষণশীল রাজনীতিকদের পরিসরে ঢুকে পড়ার চেষ্টা করেছিলেন মারিয়া বৌতিনা। যুক্তরাষ্ট্রে তার বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ আনা হয়েছিল। বর্তমানে তিনি পার্লামেন্টে পুতিন সমর্থক রাজনৈতিক দল ইউনাইটেড রাশিয়ার হয়ে কিরোভ অঞ্চলের প্রতিনিধিত্ব করছেন। টেলিগ্রাম চ্যানেলে তিনি যুদ্ধের পক্ষে নিয়মিতে পোস্ট দিচ্ছেন। তার ব্লেজারের লেপেলে একটি সাদা জেড বর্ণের ব্রৌচ এঁকে তার ভিডিও সামাজিকমাধ্যমে পোস্ট দিয়েছেন। সাদা ‘জেড’ বর্ণের টি-শার্টে সেলফি তুলে তা দিয়ে প্রফাইল পিকচার হালনাগাদ করছেন। এক ভিডিওতে তিনি বলেন, ভাইয়েরা, অভিযান চালিয়ে যান, আমরা চিরদিন আপনাদের সঙ্গে থাকব।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply