প্রস্তুত কক্সবাজার, লাখো পর্যটক সমাগমের আশা

রমজান ও তীব্র তাপদাহে দীর্ঘদিন পর্যটক শূণ্য থাকার পর কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ঈদের টানা ছুটিতে প্রাণ চাঞ্চল্য ফিরে আসতে পারে। ব্যবসায়ীদের প্রত্যাশা এবারের ঈদুল ফিতরের ছুটিতে কক্সবাজার ছুটে আসবে লাখো পর্যটক। সে লক্ষ্যে প্রস্তুত করা হয়েছে হোটেল-মোটেল জোন। পর্যটক বরণে আবাসিক হোটেল-মোটেল, গেস্ট হাউস ও রেঁস্তোরাগুলোকে সাজানো হয়েছে সুন্দরভাভে। পাশাপাশি পর্যটকদের নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন থাকবে সমুদ্র সৈকত ও হোটেল-মোটেল জোন এলাকায়। জানা গেছে, সর্বোচ্চ সেবা, নিরাপত্তা ও যাতায়াত সুবিধাকে অগ্রাধিকার দিয়ে এবার পর্যটকদের বরণ করবে কক্সবাজারের ব্যবসায়ীরা । ইতিমধ্যে শহরের প্রায় ৫০০ হোটেল মোটেল গেস্ট হাউস, রেঁস্তোরাকে নবরূপে সাজানো হয়েছে। বর্তমান অবস্থায় কক্সবাজার সৈকত জুড়েই কেবল সুনসান নিরবতা। এই নিরবতা ভাঙতে প্রস্তুত এখন কক্সবাজার। একসঙ্গে পাহাড়, সমুদ্র, নদী, ছড়া, ঝিরি-ঝরনার মেলবন্ধনে প্রকৃতির অপরূপ সব সৌন্দর্য্য দেখার সুযোগ শুধু কক্সবাজারে রয়েছে। তাই বিশেষ দিন ও সরকারি ছুটিতে মানুষ বেড়ানোর জন্যে কক্সবাজারে ছুটে আসেন। গত দুই বছর করোনা সংক্রমণের কারণে সাড়ে ৯ মাস বন্ধ ছিল দেশের প্রধান পর্যটন কেন্দ্র কক্সবাজার। দুই বছর পর এবারই করোনা পরবর্তী ঈদ আনন্দ উদযাপন হবে সমুদ্র সৈকতে। এতে পর্যটন ব্যবসায়ীরা লাখো পর্যটক সমাগমের আশা করছেন। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গত বছরের ১৯ আগষ্ট করোনার বিধিনিষেধ শিথিল করে সমুদ্রসৈকত পর্যটকদের জন্য উম্মুক্ত করা হয়। তবে এসময়ে কয়েকটি নেতিবাচক ঘটনায় ছেদ পড়ে এই শিল্পে। এবার পর্যটকদের হয়রানি রোধ ও সেবা নিশ্চিতে সব ধরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, শুক্রবার (৩০ এপ্রিল) থেকে টানা ছয়দিন সরকারি ছুটি। এর মধ্যে চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ২ অথবা ৩ মে ঈদ হবে। এর আগের দিন মে দিবসের বন্ধ রয়েছে। সব মিলিয়ে আগামী বুধবার (৪ মে) পর্যন্ত সরকারি ছুটি রয়েছে। এরপর বৃহস্পতিবার একদিন খোলার পর আবার দুইদিনের সাপ্তাহিক ছুটি। এ হিসেবে এবারের ঈদে টানা ছুটি পড়ছে। এ ছুটির দিনগুলোকে পর্যটন ব্যবসায়ীরা ভালো সুযোগ দেখছেন।