Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

সাম্প্রতিক খবর


খেলাধুলা

বিনোদন

ফিচার

mujib

w

যাবতীয় খবর

জিওগ্রাফিক্যাল

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » » নেত্রকোনায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, পানিবন্দি তিন লক্ষাধিক মানুষ




নেত্রকোনায় পানিবন্দি মানুষ। ছবি : নেত্রকোনায় বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। জেলার সব কয়টি নদ-নদীর পানি বেড়ে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর ফলে জেলার ১০টি উপজেলার নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এ ছাড়া পানিবন্দি হয়ে পড়েছে তিন লক্ষাধিক মানুষ। বন্যাকবলিত এসব এলাকায় বিশুদ্ধ খাবার পানি ও গৃহপালিত খাদ্যের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। এদিকে, জেলার মোহনগঞ্জের রাজিবপুর গ্রামে গতকাল রোববার বিকেলে পানিতে ডুবে একজনের মৃত্যু হয়েছে। গবাদি পশুর জন্য ঘাস কাটতে গিয়ে পানিতে পড়ে মারা যান তিনি। এরই মধ্যে বন্যার পানিতে নেত্রকোনা-কলমাকান্দা, নেত্রকোনা-মোহনগঞ্জের রেলপথসহ জেলার অভ্যন্তরীণ সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। এ ছাড়া জেলার ১০ উপজেলার মধ্যে বিদ্যুৎবিহীন রয়েছে সাত উপজেলা। খালিয়াজুরী উপজেলায় ৭০টি গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ৫২টি আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে এলাকাবাসী। এদিকে, জেলার হাওর উপজেলা খালিয়াজুরীতে বন্যায় আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধার এবং তাদের চিকিৎসাসেবা দিতে কাজ করছে সেনাবাহিনী। খালিয়াজুরীর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ এইচ এম আরিফুল ইসলাম জানান, ইউএনও’র কার্যালয় এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। খালিয়াজুরী সদর ও আশপাশের গ্রামের বাসিন্দারা গরু, ছাগল, হাঁস-মুরগি এবং সহায়-সম্পদ নিয়ে সেখানে আশ্রয় নিয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রে শুকনো খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে। যদিও ইউএনও’র বাসভবনের নিচতলায়ও কোমড় পর্যন্ত পানি উঠে গেছে। কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিভিন্ন অফিসে ও হাসপাতাল ভবনে রাতযাপন করছেন। গতকাল রোববার সকাল থেকে ১০৪ জন সেনাসদস্য উদ্ধার অভিযান ও ত্রাণ কাজে সহায়তা শুরু করেছে। জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, জেলার ১০টি উপজেলার ৬২টি ইউনিয়ন বন্যাকবলিত হয়েছে। এ পর্যন্ত বন্যাদুর্গত মানুষদের জন্য ৩২৪টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় এক লাখ পাঁচ হাজার ৯৩৫ জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রে শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে। এরই মধ্যে বারহাট্টা উপজেলার বন্যা দুর্গতদের মধ্যে সহায়তা ও ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেছেন নেত্রকোনার জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ। এ সময় অন্যদের মধ্যে বারহাট্টা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাইনুল হক কাশেম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান খাইরুল কবির খোকন, এসিল্যান্ড সানজিদা চৌধুরী, ওসি (তদন্ত) আশরাফুল ইসলাম, বাউসি ইউপি’র চেয়ারম্যান শাসছুল হক, প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ জানান, জেলার কংস, সোমেশ্বরী, উব্দাখালি, ধনুসহ বেশিরভাগ নদ-নদীর পানি বিভিন্ন পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বইছে। বন্যাকবলিত এলাকায় বিতরণের জন্য ১০০ মেট্রিকটন চাল, ২০ লাখ টাকা ও পাঁচ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য জেলা ও উপজেলায় কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এম এল সৈকত জানান, আগামী ২৪ ঘণ্টায় ভারতের চেরাপুঞ্জিতে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। সেক্ষেত্রে নদ-নদীর পানি বেড়ে যাবে। ফলে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হবে






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply