জাপানে নতুন প্রজাতির ধারালো নখের ডাইনোসর
জাপানে নতুন প্রজাতির ধারালো নখের ডাইনোসর
জাপান ও যুক্তরাষ্ট্রের একদল গবেষক জাপানের উত্তরাঞ্চলের একটি দ্বীপে এক ধরনের নতুন প্রজাতির ডাইনোসরের জীবাশ্মর সন্ধান পেয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে ডাইনোসরটি ৬ কোটি ৬০ লাখ বছর থেকে সাড়ে ১৪ কোটি বছর আগের। ডাইনোসরের দুটি পা। এর প্রত্যেকটিতে আছে ছুরির মতো ধারালো নখ। খবর সিবিসি নিউজ।
আজ যেখানে এশিয়া মহাদেশ, কোটি কোটি বছর আগে সেখানকার বিভিন্ন উপকূলে ঘুরে বেড়াত এমনই ডাইনোসর। লাইভ সায়েন্স-এর এক সাম্প্রতিক রিপোর্ট অনুযায়ী, এমন ডাইনোসরের জীবাশ্মের খোঁজ পেয়েছেন জাপানের হোক্কাইডো বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। হোক্কাইডো অঞ্চলেই সন্ধান মিলেছে তার। প্রথম এ জীবাশ্ম পাওয়া গিয়েছে এশিয়ার উপকূলে, দাবি মার্কিন ও জাপানের গবেষকদের।
গবেষকরা জানিয়েছেন, জীবাশ্মটি নতুন একধরনের ডাইনোসরের প্রজাতি। তারা এর নাম দিয়েছেন, প্যারালিথেরিজিনোসরাস জাপোনিকাস। ডাইনোসরটি থেরিজিনোসর নামক গোষ্ঠীর অন্তর্গত। দ্বিপদী এ ডাইনোসর ক্রিটেসিয়াস যুগের। প্রায় ৩০ ফুট পর্যন্ত লম্বা হতো এরা। ওজন হতো অন্তত তিন টনের মতো।
গবেষকরা আরও জানায়, এশিয়া অঞ্চলের সামুদ্রিক পললভূমিতে পাওয়া প্রথম জীবাশ্ন এটি। জীবাশ্ম বিশ্লেষণ করে জানা যায়, এটি তৃণভোজী ও তিন আঙুল বিশিষ্ট। আর এ ধরনের ডাইনোসরের প্রধান বৈশিষ্ট্য, এদের আছে ধারালো নখ। তবে এই প্রজাতির ডাইনোসর নখ দিয়ে শিকার করার চেয়ে গাছপালা কাটত বেশি।
আরও পড়ুন: পৃথিবীর সবচেয়ে বড় উদ্ভিদের খোঁজ মিলল
লাইভ সায়েন্সের গবেষক রয় এম হাফিংটন বলেছেন, 'আগ্রাসনের মাধ্যম হিসেবে নয়, এ ধারালো নখকে খাদ্য অনুসন্ধানের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করত প্যারালিথেরিজিনোসরাস জাপোনিকাস। ঝোপঝাড় ও গাছকে তারা মুখে তুলে নিত।’
ধারণা করা হয়, এ প্রজাতির ডাইনোসরের মৃত্যু হয়েছিল ভূমিতেই। পরে ভূমি থেকে তা ভেসে যায় সাগরের দিকে। মূলত ২০০৮ সালে জাপানের হোক্কাইডোতে এ জীবাশ্ম আবিষ্কৃত হয়েছিল। গবেষকদের আরেকটি দল খুঁজে পেয়েছিল সেটি। আবিষ্কারের সময়, জীবাশ্মটি একটি কংক্রিটে মোড়ানো ছিল, শক্ত হয়ে যাওয়া খনিজের মতো। আগে বিশ্বাস করা হয়েছিল যে এটি থেরিজিনোসর গোত্রের অন্তর্গত। তাদের তথ্য অনুযায়ী, এ ডাইনোসর ৩০ ফুট পর্যন্ত লম্বা হতো।
কিন্তু এ গবেষকদের তথ্যে প্রমাণ না পাওয়াই আবার গবেষণা শুরু হয়। বিজ্ঞানীরা আবার জীবাশ্মটি দেখার সিদ্ধান্ত নেন। তাদের বিশ্লেষণের ওপর ভিত্তি করে, নতুন গবেষকরা এ সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে, জীবাশ্নটি থেরিজিনোসর নামক গোষ্ঠীর অন্তর্গত।
Tag: English News lid news world
No comments: