Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

সাম্প্রতিক খবর


খেলাধুলা

বিনোদন

ফিচার

mujib

w

যাবতীয় খবর

জিওগ্রাফিক্যাল

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » » লালমনিরহাটে বিপদসীমার ওপরে প্রবাহিত তিস্তা ও ধরলা নদীর পানি




পাহাড়ি ঢল ও ভারি বৃষ্টিপাতে লালমনিরহাট জেলায় প্রবাহিত তিস্তা ও ধরলা নদীর পানি শুক্রবার ভোররাত থেকে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিলো, তবে বেলা ১২টা থেকে পানি কমতে শুরু করলেও রাতে ফের বাড়ার সম্ভবনা আছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। ভোরে তিস্তা নদীর পানি ১৪ সেন্টিমিটার ও ধরলা নদীর পানি ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিলো। এতে জেলার ৫ উপজেলার তিস্তা ও ধরলা নদীর কূলবর্তী নিম্নাঞ্চলের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। তিস্তা নদীর পানির প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ রাখতে তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে দিয়ে পানি প্রত্যাহার করা হচ্ছে। শুক্রবার বেলা ১২টায় তিস্তা ব্যারেজের ডালিয়া পয়েন্টে ও ধরলা নদীর শিমুলবাড়ি পয়েন্টে তিস্তা ও ধরলা নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। তবে রাতে পুনরায় পানির প্রবাহ বাড়তে পারে। এদিকে তিস্তা ও ধরলা পাড়ের কূলবর্তী গ্রামগুলোতে পানি ডুকে পড়ায় মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। উঠতি ফসল বাদাম, ভূট্টা, শাকসব্জি ফসলের ক্ষতি হয়েছে। জেলা সদরের ধরলা নদীর ব-দ্বীপ চর ফলিমারীতে পানি উঠেছে। এই চরের ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। চরের জনসাধারণকে অন্যত্র উচু জায়গায় সরিয়ে নেয়া হয়েছে। আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘন্টায় উজানের ভারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। তিস্তার চরাঞ্চল ও নদী তীরবর্তী এলাকার রাস্তা-ঘাট ডুবে গিয়ে চরাঞ্চলের মানুষ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। সংস্কারের অভাবে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধগুলো। পানিবন্দি পরিবার গুলো ঘর-বাড়ি ছেড়ে অনেকে উঁচু বাঁধ বা পার্শ্ববর্তী গ্রামে আশ্রয় নিয়েছে। বৃদ্ধ, বৃদ্ধা, নারী, শিশু, গবাদি পশু-পাখি নিয়েও পানিবন্দি মানুষ পড়েছে চরম বিপাকে। জেলা প্রশাসক, জেলা ত্রাণ ও পুর্নবাসন দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, তিস্তা নদীর বাম তীরে পাটগ্রাম উপজেলা দহগ্রাম ইউনিয়ন। হাতীবান্ধা উপজেলার সানিয়াজান, গড্ডিমারী, সিংগিমারী, সির্ন্দুনা, পাটিকাপাড়া, ডাউয়াবাড়ি ইউনিয়ন। আদিতমারী উপজেলার মহিষখোঁচা ইউনিয়ন, নামুড়ি, ভাদাই। সদর উপজেলার খুনিগাছ ও রাজপুর, গোকুন্ডা, মোগলহাট, কুলাঘাট ইউনিয়নে নদীর পানি প্রবেশ করছে। পানি বন্দি মানুষের খোঁজ খবর রাখছে প্রশাসন হচ্ছে। ইতোমধ্যে শুকনো খাবার ও চাল সরকারি সহায়তা হিসেবে বরাদ্দ করা হয়েছে।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply