Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

মেহেরপুর জেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

মেহেরপুর সদর উপজেলা

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » » » সুটকেসভর্তি অর্থ নিয়ে ফের সমালোচনার মুখে ব্রিটিশ প্রিন্স চার্লস




সুটকেসভর্তি অর্থ নিয়ে ফের সমালোচনার মুখে প্রিন্স চার্লস কাতারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হামাদ বিন জাসিম বিন জাবের আল-থানির কাছ থেকে সুটকেসভর্তি অর্থ নিয়ে ফের বিতর্কের মুখোমুখি হয়েছেন প্রিন্স চার্লস। শনিবার ব্রিটিশ দৈনিক সানডে টাইমসের খবর বলছে, ২০১৫ সালের এক বৈঠকে প্রিন্স অব ওয়েলস নগদ ১০ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার নিয়েছেন। এ ঘটনায় ব্রিটিশ সরকার ও দ্য চ্যারিটি কমিশনকে তদন্তের আহ্বান জানানো হয়েছে। গার্ডিয়ানের খবর বলছে, প্রিন্স চার্লসকে তিন দফায় সব মিলিয়ে ৩১ কোটি ৫০ লাখ ডলার দেওয়া হয়েছে। শেখ হামাদের কাছ থেকে প্রিন্স চার্লস স্বয়ং এসব অর্থ নিয়েছেন। ২০১১ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে তিনি এই অর্থ গ্রহণ করেছেন।

২০১৫ সালে প্রিন্সের লন্ডনের আবাসিক ভবন ক্ল্যারেন্স হাউসে দুই ব্যক্তির মধ্যে একান্ত বৈঠক হয়েছে। তখনই এই অর্থ হস্তান্তরের ঘটনা ঘটেছে বলে খবরে দাবি করা হয়েছে। এক বিবৃতিতে ক্ল্যারেন্স হাউসের মুখপাত্র বলেন, ২০১৫ সালের বৈঠকে দেওয়া অর্থ তাৎক্ষণিকভাবে প্রিন্সের একটি দাতব্য প্রতিষ্ঠানে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। অর্থ হস্তান্তরে কোনো অনৈতিক পথ অবলম্বন করা হয়নি। সঠিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। আরও পড়ুন: রানির পরিবর্তে পার্লামেন্টে ভাষণ দিলেন প্রিন্স চার্লস প্রিন্স চার্লসের পক্ষ থেকে অর্থ গ্রহণ করেছেন তার উপদেষ্টা। তিনি বলেন, হাতে গুণে অর্থ নেওয়া হয়েছে। সেখানে ৫০০ ইউরোর নোটও ছিল, যা এখন বাজারে অচল। রাজপরিবারের জন্য কাজ করা কাউটস ব্যাংককে এই অর্থ সংগ্রহ করতে বলা হয়েছিল। প্রতিটি ইউরো প্রিন্স অব ওয়েলসের দাতব্য তহবিলের অ্যাকাউন্টে জমা দেওয়া হয়েছে। তবে অর্থ গ্রহণে অসৎ পন্থ অবলম্বন করা হয়েছে বলে সানডে টাইমসের খবরে আভাস ছিল না। খবরে বলা হয়েছে, শেখ হামাদের সঙ্গে প্রিন্স চার্লসের বৈঠক অফিশিয়াল নথিভুক্ত করা হয়নি। রাজপরিবারের উপহার গ্রহণের নীতিতে বলা আছে, দাতব্য তহবিলের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে রাজপরিবারের সদস্যরা চেক গ্রহণ করতে পারবেন। দ্য কমিটি অন স্ট্যান্ডার্ডস ইন পাবলিক লাইফের সাবেক প্রধান স্যার আলিস্টার গ্রাহাম বলেন, এ ঘটনার প্রকাশ সত্যিকার অর্থে বেদনাদায়ক। রাজপরিবারের এভাবে অর্থ গ্রহণের খবর সবার কাছে অবিশ্বাস্যই লেগেছে। এর মধ্য দিয়ে রাজপরিবার ও রাজনীতিবিদদের মধ্যে কোনো পার্থক্য নির্ণয় করতে পারছি না। তিনি বলেন, যদি কাতারি সরকার প্রিন্স চার্লসকে কোনো উপহার দিতে চান, সে ক্ষেত্রে যথাযথ প্রক্রিয়া আছে এবং তা মেনেই অর্থ হস্তান্তর হতে পারে। এভাবে প্রিন্সের হাতে বিপুল নগদ অর্থ হস্তান্তরের কোনো মানে হয় না। আরও পড়ুন: কাতার থেকে স্যুটকেসভর্তি ইউরো নিয়েছেন প্রিন্স চার্লস সমালোচকরা বলছেন, এ ঘটনায় ব্রিটেনের ভবিষ্যৎ রাজার বিচারবিবেচনা নিয়ে মারাত্মক উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে যেখানে কাতারের মানবাধিকার নিয়ে বিশ্বজুড়ে ব্যাপক সমালোচনা চলছে, সেখানে প্রিন্স চার্লস এই অর্থ গ্রহণ করায় মানুষের সন্দেহের কেন্দ্রবিন্দুতে পড়েন তিনি। ব্রিটিশ সরকারের সাবেক মন্ত্রী নোরম্যান বাকের বলেন, বদ্ধকক্ষে এভাবে সুটকেসভর্তি অর্থ হস্তান্তরের ঘটনায় কেবল দক্ষিণ আমেরিকার মাদক কারাবারিদের কাছ থেকেই প্রত্যাশা করা যায়। ব্রিটিশ সিংহাসনের কোনো উত্তরসূরির কাছ থেকে এমন কিছু অপ্রত্যাশিত। এতে বোঝা যায়, প্রিন্স চার্লস ভালো উদ্দেশ্য নিয়ে এসব অর্থ গ্রহণ করেননি।






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply